Archive for May 2013

গরুর মাংসের কারি

উপকরণ:
  • গরুর মাংস - ২ পাউন্ড    
  • পেয়াজ বাটা - ২ টেবিল চামচ 
  • পেয়াজ  (কাটা)- ১/২ কাপ 
  • রসুন বাটা - ১ টেবিল চামচ
  • আদা বাটা - ১ টেবিল চামচ
  • হলুদ গুড়া - ১ চা চামচ
  • লালমরিচ গুড়া - ১ চা চামচ
  • গরম মশলা গুড়া - ১ চা চামচ
  • জিরা গুড়া - ১ চা চামচ
  • গোলমরিচ - ১/২ চা চামচ
  • লবঙ্গ - ২-৩ টা 
  • এলাচ - ২-৩ টা 
  • দারচিনি - ২-৩ টা 
  • তেজপাতা  - ২ টা 
  • লবন - ২ চা চামচ 
  • তেল - ১/২ কাপ 
  • আলু (ঐচ্ছিক) - মাঝারি আকারের ২টা
পদ্ধতি:
  1. আপনার গরুর মাংস পছন্দমতো  আকারে কেটে নিন। তারপর ভালো করে ধুয়ে পানি ছেঁকে নিন।
  2. সমস্ত মশলা বাটা, গুড়া আর লবন (কাটা পেয়াজ ও গোটা মশলা বাদে) মাংসে যোগ করুন আর ভালোভাবে মিশান।এভাবে ২০-৬০ মিনিট রেখে দিন যাতে করে মসলা মাংসে ঢুকে যায়।
  3. এখন একটি প্রেসার কুকারে তেল দিয়ে মাঝারি তাপে গরম করুন। এতে গোটা মশলাগুলো দিয়ে ৫ সেকেন্ড ভাজুন, এরপর কাটা পেয়াজ দিন আর পেয়াজ বাদামী না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। 
  4. তারপর এতে মাংস দিয়ে ২০-৩০ মিনিট সিদ্ধ করুন।প্রয়োজনে একটু পানি যোগ করতে পারেন কিন্তু বেশি পানি দেবেন না।
  5. এখন মাংসে আলু যোগ করে নাড়ুনএবং ২ কাপ গরম পানি দিয়ে ফুটে না উঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  6. এরপর প্রেসার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দিন এবং ৪-৫ টি শিস বা ২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  7. চুলা বন্ধ করে দিয়ে প্রেসার কুকারের চাপ কমা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  8. এখন ঢাকনা খুলে নিন আর ভাত/রুটি/পরোটার সাথে আপনার মাংস পরিবেশন করুন।

কাঁচকি মাছের তরকারী

উপকরণ:
  • কাঁচকি মাছ - ৩০০ গ্রাম 
  • পেয়াজ (কাটা) - ১ কাপ 
  • রসুন - ৩-৪ কোয়া 
  • টমেটো - ১ টা  মাঝারি আকারের 
  • কাচামরিচ - ২-৩ টা (ঐচ্ছিক)
  • ধনে পাতা (কাটা) - ১/৪ কাপ (ঐচ্ছিক)
  • হলুদ গুড়া - ১/২ চা চামচ 
  • লালমরিচ গুড়া - ১ চা চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী 
  • জিরা গুড়া - ১/২ চা চামচ 
  • লবন - ১ চা চামচ 
  • তেল - ৪ টেবিল চামচ 
  • পানি - ১/২ কাপ 
প্রণালী:
  1. মাছ পরিস্কার করে ধুয়ে নিন।তারপর ১/৪ চা চামচ হলুদ গুড়া ও ১/৪ চা চামচ লবন যোগ করে আস্তে আস্তে মিশন আর একপাশে রাখুন।
  2. এখন পেয়াজ, রসুন, টমেটো আর ধনে পাতা কেটে নিন।
  3. একটি কড়াইতে মাঝারি তাপে তেল গরম করুন।
  4. তেল গরম হলে এতে কাটা রসুন দিয়ে ৫ সেকেন্ড ভাজুন, তারপর পেয়াজ দিয়ে নাড়ুন।
  5. পেয়াজ নরম হয়ে আসলে একটু পানি যোগ করুন। তারপর এতে বাকি হলুদের গুড়া, লালমরিচ গুড়া, জিরা গুড়া ও লবন দিয়ে নাড়ুন।
  6. যখন তেল মশলা থেকে আলাদা হয়ে আসবে, তখন মাছ দিয়ে দিন আর কড়াইতে  চড়িয়ে দিন।৩-৪ মিনিট পর নাড়ুন  এবং আরো ৪ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  7. এখন টমেটো, কাচামরিচ ও পানি যোগ করে সিদ্ধ করুন। তারপর ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ২০ মিনিট রাখুন।
  8. এরপর ধনে পাতা দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। কড়াইতে ঢাকনা দিয়ে ৩-৪ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  9. এখন আপনার কাচকি মাছ প্রস্তুত।গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

ফ্রুট কাস্টার্ড

উপকরনঃ 
  • দুধ- ১ লিটার 
  • ডিমের কুসুম - ২ টি 
  • কাস্টারড পাউডার - ৩ টেবিল চামচ
  • চিনি - ১/২ কাপ অথবা আপনার স্বাদ মত
  • কিসমিস - ২ টেবিল চামর
  • বাদাম কুঁচি - ২ টেবিল চামচ 
  • ফল -(কলা, আম, আপেল, আঙ্গুর ইত্যাদি)- আনুমানিক ২ কাপ ছোট টুকরা করে কাটা (অধিক পানি জাতীয় ফল না দেয়া ভাল, যেমন- তরমুজ 
পদ্ধতি:
  • একটি বাটিতে ডিমের কুসুম নিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এখন এর মধ্যে কাস্টারড পাউডার দিয়ে ভাল ভাবে বিট করুন।
  • একটি পাত্রে দুধ এবং চিনি ঢেলে মাঝারি আঁচে চুলায় দিন। 
  • দুধ  ক্রমাগত নাড়তে থাকুন এবং কাস্টার্ড পাউডার ও ডিমের কুসুমের মিশ্রণটি আস্তে আস্তে দুধের মধ্যে ঢেলে দিন। 
  • ফুটে ওঠা পর্যন্ত ক্রমাগত নাড়ুন।
  • চুলা বন্ধ করে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা করুন। এরপর ফ্রিজে রাখুন চিল করার জন্য। 
  • পরিবেশনের ঠিক পূর্বে ফল,বাদাম এবং কিসমিস দিন। বেশিক্ষণ আগে ফল দিলে কাস্টার্ড পাতলা হয়ে যাবে এবং ফলের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে। 

সাবুদানার বড়া

উপকরন:
  • সাবুদানা- ১/২ কাপ
  • আলু- ১ মাঝারি সাইজের
  • কাঁচামরিচ কুচি - ২ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ
  • ধনিয়াপাতা কুচি - ২ টেবিল চামচ(ইচ্ছা)
  • আদা বাটা-১ চা চামচ
  • রসূন বাটা- ১ চা চামচ
  • চালের গুঁড়া- ৩ টেবিল চামচ
  • জিরার গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
  • গরম মশলার গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
  • চাট মশলার গুঁড়া - ১/২ চা চামচ(ইচ্ছা)
  • লেবুর রস- ২ চা চামচ
  • লবণ- ২ চা চামচ বা স্বাদমত
  • তেল- ডুবু তেলে ভাজার জন্য
প্রণালী :
  1. সাবুদানা পানিতে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। 
  2. আলু সিদ্ধ করে গ্রেটার দিয়ে গ্রেট করে নিন।

  3. এবার সাবুদানার পানি ঝরিয়ে আলুর সাথে মেশান।
  4. তেল ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে ভাল করে মেশান।
  5. মেশান হলে ছোট ছোট বল মত বানিয়ে একটু চেপে দিন। এভাবে সব চপ বানান।
  6. পাত্রে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে ৩-৪ টা  চপ তেলে ছেড়ে উভয় পাশ হালকা বাদামী করে ভেজে তুলুন (ভাজার সময় তাড়াহুড়া করবেন না, তাহলে ভিতরে কাঁচা থেকে যাবে।)
  7. ভাজা হয়ে গেলে কিচেন টিস্যুতে তুলে নিন। এভাবে বাকি চপগুলো ভেজে  নিন।
  8. গরম গরম চাটনি বা সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

আপেল এর হালুয়া

উপকরণ:

  • আপেল - ৪ টি
  • চিনি - ১/২ কাপ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
  • ঘি - ২ টেবিল চামচ
  • গুড়ো দুধ - ২ - ৩ টেবিল চামচ
  • লবঙ্গ - ১২ টি

পদ্ধতি:

  • আপেল ধুয়ে খোসা ফেলে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন।
  • একটি পাত্রে প্রায় ৩ কাপ  পানি নিয়ে মাঝারি আঁচে চুলায় দিন।পানিতে বলক উঠলে আপেল যোগ করুন এবং আপেল সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
  • সিদ্ধ আপেল ব্লেন্ডারে দিয়ে পেষ্ট তৈরী করুন।
  • একটি পাত্রে ঘি ঢেলে মাঝারি আঁচে গরম করুন। ঘি গরম হলে আপেলের পেষ্ট দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
  • এবার চিনি ও গুড়ো দুধ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন।হালুয়া পাত্রের গা ছেড়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
  • হালুয়া থেকে ছোট ছোট বল তৈরী করুন। প্রতিটি বলের মাঝেএকটি করে লবঙ্গ বসান।
  • তৈরী হয়ে গেল মজাদার আপেল হালুয়া।

পাউরুটির পুডিং


উপকরণ :
  • দুধ- ৫ কাপ
  • ডিম - ৪ 
  • চিনি - ৩/৪ কাপ বা স্বাদমত  
  • চিনি - ৩ টেবিল চামচ (ক্যারামেলের জন্য)
  • পাউরুটি - ৬-৭ টুকরা (এখানে আমরা ক্রিসেন্ট ব্রেড ব্যবহার করেছি। )
  • ঘি- ২ টেবিল চামচ 
  • কিসমিস- ১৫/১৬ টুকরা 
  • কাগজি বাদাম কুচি (এলমন্ড ) - ৪/৫ টা 
  • পেস্তা বাদাম কুচি - ৬/৭ টুকরা  
প্রণালী :
  1. দুধ সিদ্ধ করে ৪ কাপ মত ঘন করে ঠান্ডা করে নিন।
  2. যেই পাত্রে পুডিং বানাবেন সেইটাতে ৩ টেবিল চামচ চিনি ও ৪ টেবিল চামচ মত পানি দিয়ে মাজারি আঁচে চুলায় দিন। সাবধানে পাত্রটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চিনির ক্যারামেল তৈরী করুন। ক্যারামেল হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করতে দিন। (পুডিং এর পাত্রটি চুলার উপরে দেয়া না গেলে আলাদা পাত্রে ক্যারামেল করে দ্রুত পুডিং এর পাত্রে ঢেলে দিন )
  3. পাউরুটি  ছোট ছোট টুকরা করে পাত্রের ক্যারামেলের উপরে সাজিয়ে দিন। এবার ঘি গলিয়ে পাউরুটির উপর ছড়িয়ে দিন। তারপর কিসমিস, বাদাম কুচি গুলো উপরে ছড়িয়ে দিয়ে একপাশে রাখুন।
  4. এবার ঠান্ডা করা দুধের সাথে ডিম, চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন যেন দানা দানা না থাকে। মিশ্রণটি পাউরুটি সাজানো পুডিং এর পাত্রে ঢেলে দিন। আপনি চাইলে পুডিং চুলায় বা ওভেনে বানাতে পারেন।

    *** চুলায় বানানোর প্রণালী :
    আপনার পুডিং এর পাত্রের চেয়ে বড় একটি পাত্রে এমন পরিমান সিদ্ধ গরম পানি  নিন যেন পুডিং এর পাত্রটি পানিতে বসালে নিচের অংশ পানিতে ডুবে থাকে কিন্তু পাত্রটি ভেসে না উঠে। এবার পুডিং এর পাত্রটি পানিতে বসিয়ে দুটো পাত্রই ঢেকে দিয়ে (আপনি চাইলে পুডিং পাত্রের নিচে একটি স্ট্যান্ড দিতে পারেন যেন না নড়ে) প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট সিদ্ধ করুন (মাঝে দুই একবার পানি চেক করুন, প্রয়োজন হলে অল্প পানি যোগ করুন।)
    *** ওভেনে বানানোর প্রণালী:
    ওভেনে বেক করতে চাইলে ওভেন ৪০০ ডিগ্রী ফা এ প্রিহিট করে নিন। এবার আপনার পুডিং এর পাত্রের চেয়ে বড় একটি ওভেনপ্রুফ পাত্রে এমন পরিমান সিদ্ধ গরম পানি  নিন যেন পুডিং এর পাত্রটি পানিতে বসালে নিচের অংশ পানিতে ডুবে থাকে কিন্তু পাত্রটি ভেসে না উঠে। এবার পুডিং এর পাত্রটি পানিতে বসিয়ে দুটো পাত্রই ঢেকে দিন (আপনি চাইলে পুডিং পাত্রের নিচে একটি স্ট্যান্ড দিতে পারেন যেন না নড়ে)। এবার পানিসহ পাত্রটি ওভেনে ঢুকিয়ে ৪৫-৫০ মিনিট বেক করুন।শেষে উভয়  পাত্রের ঢাকনা খুলে দিয়ে ১০ মিনিট মত ওভেনে রাখুন যেন উপরে সুন্দর গোল্ডেন কালার হয়।
  5. পুডিং নামানোর আগে ছুরির মাথা ঢুকিয়ে চেক করুন। ছুরিটি যদি পরিষ্কারভাবে বের হয়ে আসে তাহলে পুডিংটি নামিয়ে ফেলতে পারেন আর যদি পুডিংটি তখনও নরম মনে হয় তাহলে আরো ৫-১০ মিনিট চুলায় বা ওভেনে রাখুন।
  6. পুডিংটি হয়ে গেলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রাখুন। এবার একটি ছুরি দিয়ে পাত্রের পাশ থেকে পুডিং ছাড়িয়ে দিন। তারপর যেই প্লেটে পুডিং পরিবেশন করবেন তা পাত্রটির উপরে দিয়ে আস্তে করে উল্টিয়ে দিন যেন পুডিং প্লেটে চলে আসে।
  7. পুডিং আপনার পছন্দমত আকারে কেটে পরিবেশন করুন।

আস্ত তেলাপিয়া ভাজা

উপকরণঃ 
  • আস্ত তেলাপিয়া- ১ টি ( আনুমানিক ৩৫০-৪০০ গ্রাম)
  • পেঁয়াজ কুঁচি- ১ কাপ
  • কাঁচা মরিচ- ৩-৪ টি
  • লাল মরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী 
  • হলুদের গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
  • লেবুর রস- ১ টেবিল চামচ
  • অয়েস্টার সস- ১ টেবিল চামচ
  • ময়দা- ৩ টেবিল চামচ
  • লবন- ১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
  • তেল-ডুবো তেলে ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ
  • মাছ ভাল করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। মাছের দুই পাশেই হালকা করে ছুরি দিয়ে চিরে দিন।
  • একটি বাটিতে লাল মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, আদা বাটা, লেবুর রস, অয়েস্টার সস এবং লবন নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং পেস্টটি ভাল করে মাছে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
  • প্যানে তেল গরম করুন। মাছটি ময়দায় গড়িয়ে তেলে ছাড়ুন। হালকা আঁচে উভয় পাশ বাদামি করে ভেজে তুলুন।
     
  • প্যানের অবশিষ্ট তেলে পেঁয়াজ এবং মরিচ কুঁচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে তুলুন এবং মাছের উপরে ছড়িয়ে দিন। 

পায়েস

উপকরণ:
  • দুধ - ১ লিটার
  • বাসমতি চাল - ১/৪ কাপ
  • চিনি -  ৩/৪ কাপ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
  • লবণ - ১ চিমটি 
  • কাজু বাদাম কুঁচি - ৫ টি
  • কিসমিস  - ৬-৭ টি
  • এলাচ - ২-৩ টি
পদ্ধতি:
  • চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
  • পাত্রে দুধ ঢেলে ফুটে উঠা না পর্যন্ত বেশি আঁচে জ্বাল দিন। ফুটে উঠলে জ্বাল কমিয়ে দিন।
  • এবার দুধের সাথে সব উপকরণ (চিনি বাদে) মিশিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করুন এবং মাঝে মাঝে বিটার দিয়ে নেড়ে দিন। (বিটার চাল গুলো ভেঙ্গে দিতে সাহায্য করবে) ।



                                                  


  • চাল নরম হয়ে এলে চিনি দিয়ে আপনার পছন্দ মত ঘনত্ব না পাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। 
  • এবার পাত্র থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশণ করুন।



শাহী টুকরা (Shahi Tukra)

উপকরণ:
  • পাউরুটি - ২ টুকরা
  • দুধ - ৪ কাপ
  • কনডেন্স মিল্ক - ১/২ কাপ
  • এলাচ গুড়া - ১/৪ চা চামচ
  • ডিম - ১
  • চিনি - ১ টেবিল চামচ
  • লবন - ১/৪ চা চামচ
  • তেল - ৪ টেবিল চামচ
  • Oil - 4 Tbs
  • বাদাম (কাটা) - ১/৪ কাপ
পদ্ধতি:
  • একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচদুধ আলাদা করে রেখে বাকি দুধ একটি প্যানএ নিন। এতে এলাচ গুড়া যোগ করে সিদ্ধ করুন এবং প্রায় এক কাপে নিয়ে আসুন। সিদ্ধ করার সময় ক্রমাগত নাড়তে থাকুন, অথবা দুধ পুড়ে যেতে পারে।
  • এরপর কনডেন্স মিল্ক যোগ করে আবার সিদ্ধ করুন।
  • এখন পাউরুটির টুকরাগুলু একটি প্যান  বা টোস্টার-এ হালকা বাদামী রং করে টোস্ট করুন। টুকরাগুলুকে ৪ টি চতুষ্কোণ টুকরায় অথবা ২ টি ত্রিভুজাকার টুকরায় কাটুন।
  • এখন আলাদা করে রাখা দুধে ডিমটি যোগ করে ফেটিয়ে নিন। এর সাথে চিনি আর লবন ভালকরে মিশান।
  • একটি পাত্রে তেল নিয়ে মাঝারি তাপে গরম করুন। তেল গরম হলে একটি পাউরুটির টুকরা ডিমের মিশনে হালকা করে চুবিয়ে তেলে  দিন এবং দুই পাশ বাদামি রং না আশা পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা হলে এটি তুলে একটি পেপার টাওয়েলে রাখুন। একইভাবে বাকি টুকরাগুলু ভেজে নিন।
  • সব ভাজা পাউরুটি একটি থালায় নিয়ে একসারিতে সাজান। তারপর সিদ্ধ করা দুধের অর্ধেক এর উপর ঢেলে দিয়ে ঢাকনা দিন এবং ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • এখন বাকি অর্ধেক দুধ পাউরুটির উপর ছড়িয়ে দিন এবং বাদাম ছিটিয়ে সাজান। 
  •  আপনার শাহী টুকরা পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

সাঁজের পিঠা (Sanjer Pitha)



উপকরণ :
  • ময়দা - ১  কাপ 
  • দুধ  - ১ কাপ 
  • ডিম - ১ টা 
  • চিনি - ১/৪ কাপ বা স্বাদ অনুযায়ী 
  • লবন - ১/৪ চা চামচ 
  • বেকিং পাউডার - ১/২ চা চামচ
  • তেল - প্রায় ৪ কাপ 
  • সাঁজ (ছবি দেখুন) 

** পিঠার মিশ্রণ ঘন হয়ে গেলে দুধ লাগতে পারে 
** পিঠা বানানোর আগে আপনার সাঁজ ২০ মিনিট পানিতে সিদ্ধ করে নিন, এটা  সুন্দর করে পিঠা বানাতে সাহায্য করবে


পদ্ধতি:
  • একটা গভীর পাত্র  নিন এবং ভাল করে ডিম ফেটিয়ে নিন।
  • পাত্রে দুধ, চিনি, লবন ও বেকিং পাউডার যোগ করে ভালো করে মিশন।
  • এখন আস্তে আস্তে ময়দা যোগ করুন আর ফেটাতে থাকুন। পিঠার মিশ্রন ভালো করে ফেতন যাতে করে ময়দা দুধে মিশে যায় আর এতে কোনো বুদবুদ না থাকে। মিশ্রণটি ২০-৩০ মিনিট এভাবে রেখে দিন।
  • একটি গভীর প্যানএ তেল গরম করুন।তেল গরম হলে সাঁজ এতে ডুবিয়ে রাখুন।এটা  গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে করে পিঠার মিশ্রন সাঁজে লেগে থাকবে।
  • সাঁজ তেলে  ভালোভাবে গরম হলে এটি তেল থেকে তুলে নিন এবং তাড়াতাড়ি ৩/৪ ভাগ সাঁজ পিঠার মিশ্রনে চুবান (ছবি দেখুন) আর ৫ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।সাঁজ পুরাপুরি চুবাবেন না, সেক্ষেত্রে আপনি তেলে  দেয়ার সময় পিঠাকে সাঁজ থেকে আলাদা করতে পারবেন না।
  • এখন সাঁজ পিঠার মিশ্রন থেকে তুলে তাড়াতাড়ি তেলে  ডুবিয়ে দিন।হালকা করে নাড়ুন যাতে করে পিঠা সাঁজ থেকে ছুটে আসে। এরপর সোনালী রং না আসা পর্যন্ত পিঠাকে ভাজুন। পিঠা ভাজার সময় তাড়াহুড়া করবেন না, অন্যথায় পিঠা মচমচে না হতে পারে। পরের পিঠা সাঁজে নেয়ার আগে সাঁজ তেলে  আবার ডুবিয়ে নিন।
  • তেলের তাপমাত্রা খেয়াল করুন যাতে করে বেশি গরম না হয়ে যায়।
  • পিঠা সোনালী রং হয়ে আসলে তেল থেকে তুলে নিন এবং একটি পেপার টাওযেলে রাখুন। একইভাবে বাকি পিঠা বানান। 
  • সাঁজের পিঠা আপনি ৩-৪ সপ্তাহ একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে পারেন।

আস্ত মুরগীর রোস্ট(ওভেন এ বেক করা)

উপকরণঃ 
  • আস্ত মুরগী- ১ টি (আনুমানিক আড়াই পাউন্ড)
  • লাল মরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • হলুদের গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • গরম মশলার গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
  • লেবুর রস- ২ টেবিল চামচ
  • টক দই- ৩ টেবিল চামচ
  • গাজর- ১ টি ( পাতলা চাক চাক করে কাটা) 
  • আলু - ১ টি মাঝারি ( কিউব করে কাটা )
  • রসুন কোয়া - ১০/১২ টি
  • পেঁয়াজ - ১ টি মাঝারি ( ৪-৬ টুকরা করে কাটা) 
  • ঘি অথবা তেল - ৩ টেবিল চামচ  
  • লবন-দেড় চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
পদ্ধতিঃ
 
  • মুরগী ভাল ভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। মুরগী চামড়া সহ রাখতে হবে। কাটা চামচ অথবা চিকন ছুরি দিয়ে মুরগীটি ভাল করে কেঁচিয়ে নিন।
  • একটি বাটিতে সমস্ত গুঁড়া এবং বাটা মশলা নিন। এখন এর মধ্যে লেবুর রস, লবন এবং টক দই দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। মুরগীটিকে একটি ওভেন প্রুফ পাত্র বা ট্রেতে রাখুন। প্রথমে তেল অথবা ঘি দিয়ে মুরগীটি ভাল করে মেখে নিন। এরপর ভাল করে মশলা মাখিয়ে দিন। মুরগীর পেটের ভেতরের অংশে এবং সব জায়গায় যাতে মশলা ভাল ভাবে লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য আপনি মুরগীর চামড়া সামান্য ফাঁক করে ফাঁকার ভেতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মশলা মাখিয়ে দিয়ে পারেন।(ছবিটি দেখুন) গাজর, আলু, রসুন কোয়া এবং পেঁয়াজ মুরগীর পেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে পা দুটি সুতা দিয়ে বেঁধে দিন।
  • ডানা দুটি ভাজ করে উপরে উঠিয়ে দিন। মুরগীটি প্লাস্টিক কাভার দিয়ে ঢেকে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে দিন।
  • ওভেন ৩৫০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে প্রিহিট করুন। প্লাস্টিক কাভার খুলে ফয়েল পেপার দিয়ে মুড়ে দিন।
     
  • ট্রে টি ওভেন এ দিয়ে ৩০ মিনিট বেক করুন। এরপর বের করে মুরগী থেকে বের হওয়া জুস একটি চামচ দিয়ে মুরগীর উপরে দিয়ে উল্টে দিন। আবারো ওভেন এ দিয়ে ৩০ মিনিট বেক করুন। এরপর ফয়েল খুলে আরও ১৫ মিনিট বেক করুন। ইতোমধ্যে মুরগীটি পোড়া পোড়া হয়ে উঠবে। ট্রেটি ওভেন থেকে বের করে মুরগীটি উল্টে দিন এবং আরও ১৫ মিনিট বেক করুন। যদি এই সময় এর মধ্যে পোড়া পোড়া না হয় তাহলে আরও কিছু সময় বেশি বেক করুন। হয়ে গেলে ওভেন বন্ধ করে বন্ধ ওভেনে ১৫ মিনিট এর মত রেখে দিন।
  • ওভেন থেকে বের করে মুরগীর পা থেকে সুতা খুলে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ডিমের কোরমা

উপকরণঃ
  • সিদ্ধ ডিম- ৭-৮ টি
  • পেঁয়াজ কুঁচি- ১ টি মাঝারি সাইজের
  • পেঁয়াজ বাটা- ২ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা- ১/২ চা চামচ
  • আদা বাটা- ১/২ চা চামচ
  • কাঁচা মরিচ- ৫-৬ টি
  • জিরার গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • এলাচ- ৪-৫ টি
  • দারুচিনি- ২-৩ টুকরা
  • টক দই- ২ টেবিল চামচ (ফেটান)
  • উষ্ণ গরম দুধ- ১/২ কাপ(আপনি নারিকেলের দুধ ও দিতে পারেন)
  • বাদাম পেস্ট- ১ টেবিল চামচ
  • চিনি- ১ চা চামচ
  • তেল- আনুমানিক ৬ টেবিল চামচ
  • লবন- ১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
পদ্ধতিঃ
  • পাত্রে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে সিদ্ধ ডিম গুলো হালকা বাদামি করে ভেজে তুলুন। ভাজার সময় ১ চিমটি লবন ছিটিয়ে দিন।
  • পাত্রে বাকি তেল দিয়ে এলাচ এবং দারুচিনি দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজ কুঁচি দিন। পেঁয়াজ কুঁচি নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, কাঁচা মরিচ, জিরার গুঁড়া এবং লবন দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন।এর মধ্যে  ফেটান টক দই এবং বাদাম বাটা দিয়ে হালকা আঁচে ২ মিনিট এর মত নাড়ুন। এরপর দুধ দিয়ে ফুটিয়ে তুলুন।
  • এখন ডিম দিয়ে ভাল করে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে কয়েক মিনিট রান্না করুন। এরপর চিনি দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করুন।
     
  • ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন। পোলাও অথবা বিরিয়ানির সাথে পরিবেশন করুন।

তন্দুরি চিকেন

উপকরণঃ 
  • মুরগীর রান/থান(leg-quarters)-৮ টুকরা 
  • লাল মরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
  • জিরার গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • গরম মশলার গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • আদা বাটা - ১ টেবিল চামচ
  • তন্দুরি মশলা- ২ চা চামচ
  • লেবুর রস- দেড় টেবিল চামচ (অথবা ৬ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ দিতে পারেন  )
  • টক দই- 4 টেবিল চামচ
  • তেল অথবা ঘি - ৪ টেবিল চামচ
  • লবন- ১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
পদ্ধতিঃ
  • মুরগীর টুকরা গুলোকে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিন। ছুরি দিয়ে হালকা করে চিরে দিন।
  • সমস্ত উপকরণগুলো একটি বাটিতে নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে মাংসের টুকরা গুলো দিয়ে ভাল ভাবে মশলার সাথে মাখিয়ে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। একটি ওভেনপ্রুফ প্যান অথবা ট্রে নিয়ে তাতে তেল ব্রাশ করে মাংসের টুকরা গুলো ১ লেয়ার এ সাজিয়ে দিন। মশলার গ্রেভি দেয়া যাবে না।
  • ৪০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে ওভেন প্রিহিট করুন। প্যান টি ওভেন এ দিয়ে ৩০ মিনিট বেক করুন। এরপর ট্রে টি বের করে মুরগীর টুকরাগুলি উল্টে দিন। আরও ৩০ মিনিট বেক করুন অথবা মাংসের টুকরাগুলি পোড়া পোড়া হওয়া পর্যন্ত এবং জুস শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত বেক করুন। এরপর ওভেন টি ব্রএল এ দিয়ে আরও ৫-৭ মিনিট বেক করে নামিয়ে ফেলুন। ( বিভিন্ন ওভেন এর তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে, একারনে নামানোর পূর্বে চেক করে নিন।)
  • নান রুটির সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

লটিয়া শুঁটকির তরকারী

উপকরণ :
  • লইট্টা শুটকি-৫০ গ্রাম
  • আলু- ২টি মাঝারি(কিউব করে কাটা)
  • শিম-৫০ গ্রাম (২ ইঞ্চি  করে কাটা)
  • টমেটো – ১টি (চার ভাগ করা)
  • পেঁয়াজ বাটা- ৪চা-চামচ
  • রসুন বাটা-২ চা-চামচ
  • আদা বাটা-২চা-চামচ
  • জিরা গুঁড়া-১ চা-চামচ
  • হলুদ গুঁড়া-১ চা-চামচ
  • শুকনো/লাল মরিচের গুঁড়া- ৩ চা-চামচ অথবা স্বাধমত
  • লবন- ১ চা-চামচ অথবা স্বাধমত
  • তেল- ১/৪ কাপ
  • ধনে পাতা কুচি –২চা-চামচ (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)
প্রনালি:
  1. শুটকি মাছগুলো ছোট(১ ইঞ্চি) করে টুকরা করে কেটে হাল্কা গরম পানিতে ১০মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। আলু , শিম, টমেটো কেটে নিন।
  2. এবার চুলায় মাঝারি আঁচে তেল গরম দিন। তেল গরম হয়ে গেলে  সব বাটা এবং গুড়া মশলা দিয়ে ভাল করে কষান। মশলা তেল ছেড়ে দিলে তাতে আলু আর শিম দিয়ে ভাল করে মেশান।
  3. এখন মাছের টুকরোগুলো দিয়ে সাবধানে মেশান যেন মাছ না ভাঙ্গে। প্রয়োজন মনে করলে অল্প পানি মেশান যাতে মশলা পুড়ে না যায়।
  4. মাঝারি আঁচি ১০মিনিট রান্না করুন। মাঝে মাঝে সাবধানে নাড়াচাড়া করুন যেন মাছ ভেঙ্গে না যায়।
  5. এরপর ২ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন এবং ১০ মিনিট মত রান্না করুন । এরপর ঢাকনা খুলে টমেটো দিয়ে আবার ঢেকে দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। এরপর আলু সেদ্ধ হয়েছে কিনা দেখুন। সিদ্ধ না হলে আরো কিছুক্ষন চুলায় রাখুন। রান্না হয়ে গেলে ধনে পাতে কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
  6. গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

- Copyright © টক ঝাল মিষ্টি - Powered by Blogger - Thanks to Johanes Djogan -