Archive for May 2011
কবুতরের মাংস
উপকরণ :
- কবুতর -২টি
- পেয়াজ-মাঝারি ১ টি (কুচানো )
- হলুদের গুড়া -১/২ চা চামচ
- লাল মরিচের গুড়া -১/২ চা চামচ
- জিরার গুড়া -১/২ চা চামচ
- ধনিয়া গুড়া -১/২ চা চামচ
- গরম মসলা গুড়া -১/২ চা চামচ
- আদা বাটা -১চা চামচ
- রসুন বাটা -১/২ চা চামচ
- তেল - ৪-৫ টেবিল চামচ
- লবন - ৩/৪ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ মত
পদ্ধতি :
ঝাল পাকোড়া
উপকরনঃ
- ময়দা - ১/২ কাপ
- Egg- 1ডিম - ১ টা
- পেঁয়াজকুচি- ১/৪ কাপ
- কাঁচামরিচকুচি-১ টা বা পছন্দমত
- আদাকুচি- ১ চা চামচ
- রান্না করা মাংসের কিমা- ২ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
- ধনিয়াপাতাকুচি- ১ টেবিলচামচ (ইচ্ছা)
- বেকিং পাউডার - ১/২ চা চামচ
- লবণ - ১/২ চা চামচ অথবা স্বাদমত
- কুসুম গরম পানি - আনুমানিক ১/৪ কাপ মত
- তেল - ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- একটি প্যানে ১/২ টেবিল চামচ তেল গরম করে বিট করা ডিমটি দিন এবং ঝুরি করে ভেজে একটি বাটিতে নিন।
- ডিমের সাথে তেল ও পানি ছাড়া বাকি সব উপকরন নিয়ে মিশান। তারপর আস্তে আস্তে পানি দিয়ে মিশাতে থাকুন। (মিশ্রণটির ঘনত্ব খুব বেশি পাতলা বা ঘন হবে না।)
- এবার কড়াইয়ে মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে গেলে মিশ্রণটি থেকে হাত বা চামচ দিয়ে ছোট ছোট বল আকারে ৪-৫ টা পাকোড়া তেলে ছাড়ুন। পাকোড়াগুলো ফুলে উঠলে উল্টিয়ে দিন এবং উভয় পাশ হাল্কা বাদামী করে ভাজুন।
- পাকোড়া ভাজা হয়ে গেলে টিস্যু বা পেপার টাওয়েলে তুলে নিন। এভাবে সব পাকোড়া ভেজে গরম পরিবেশন করুন সস বা কেচাপ দিয়ে।
পোলাও
উপকরণ :
- বাসমতি চাল-২ কাপ
- পেয়াজ -বড় আকারের ১টি (কুচানো)
- আদা বাটা - ১ বা ১/২ চা চামচ
- এলাচ-৪-৫ টি
- দারচিনি -৩টি
- তেজপাতা - ৩টি
- কাঁচা মরিচ -৩-৪ টি
- ঘি/তেল-৩ টেবিল চামচ
- জাফরান / ফুড কালার -১ চিমটি (২ চা চামচ পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে )
- পেয়াজ ভাজা -১/৪(সাজানোর জন্যে))
- লবন -৩/৪ চা চামচ বা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
- গরম পানি -আনুমানিক ৪ কাপ
- চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
- পাত্রে ঘি গরম করে তেতে এলাচ দারচিনি ও তেজপাতা দিয়ে কিছু সময় নাড়ুন.তারপর পেয়াজ কুঁচি দিয়ে নাড়তে থাকুন সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত।এরপর আদা বাটা দিয়ে একমিনিট নাড়তেথাকুন।
- এখন চাল দিয়ে একমিনিটে নাড়ুন (অথবা যতক্ষণ পর্যন্ত চাল ঝরঝরে না হয় এবং সুগন্ধ বের না হওয়া পর্যন্ত ). তারপর তাতে গরম পানি, লবন, কাঁচা মরিচ দিয়ে চাল সিদ্ধ হবার জন্যে ঢেকে দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে।
- পোলাও প্রায় হয়ে এলে আঁচ কমিয়ে দিতে হবে ও তাতে ফুড কালার দিয়ে আবার ঢেকে দিয়ে কম আঁচে রান্না করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত পোলাও ভালোভাবে সিদ্ধ না হয়।
- পরিবেশন করার আগে সাবধানে নেড়ে পোলাও এর উপর পেয়াজ ভাজা ছড়িয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
কেক
উপকরনঃ
প্রণালীঃ- ডিম- ৪টি
- ময়দা-১. ৫ কাপ
- চিনি-১ কাপ
- বেকিং পাউডার-১ চা চামচ
- ,গুঁড়া দুধ-২ টেবিল চামচ
- দুধ-১ কাপ
- তেল- ৩/৪ কাপ
- ঘী-১/৪ চা চামচ
- লবন-১/৪ চা চামচ
- ভানিলা-১ চা চামচ
- এলাচের গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- এলমণ্ড-৩/৪ টি ( কুচানো)
- তেল- ব্রাশ করার জন্য
- ময়দা,গুঁড়া দুধ,বেকিং পাউডার ,এলাচ গুড়া একটা পাত্রে নিয়ে ভালভাবে মিশাতে হবে।
- অন্য একটি পাত্রে ডিম ভালভাবে ফেটে নিন। তারপর দুধ,তেল,চিনি,ঘী, ভ্যানিলা, লবন আবার ভালকরে ফেটাতে হবে। এই ফেটানো মিশ্রণটিতে অল্প অল্প করে ময়দার মিশ্রণ দিয়ে ভালভাবে মেশান।
- ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৯০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ওভেন প্রিহিট করুন ।বেকিং প্যানে তেল ব্রাশ করে মিশ্রণটি ঢেলে দিন।মিশ্রণটির উপর এলমণ্ড কুঁচি ছড়িয়ে দিন।
- এখন পাত্রটি ওভেনে দিয়ে ৩০-৪০ মিনিট বেক করুন। ভাল ফলাফলের জন্য ২৫ মিনিট পর চামচ কেক এর ভিতর দিয়ে বের করে যদি দেখেন যে চামচ পরিষ্কার আছে তাহলে কেক হয়ে গেছে।
- ওভেন থেকে কেক বের করে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন ।
লুতফুন্নেসা হক
(Columbia, SC, USA)
Mango Lassi(আমের লাচ্ছি)
উপকরণ :
পদ্ধতি :- পাকা আম মাঝারি আকারের ১টি বা ১/২ কাপ মেঙ্গ পাল্প
- টকদই - ১ কাপ
- চিনি -৩ টেবিল চামচ বা আপনার স্বাদ মত
- পানি- ১/২ কাপ
- কুচানো বাদাম - ১ চা চামচ (optional)
- বরফ -২ টুকরা
- আমের খোসা ছাড়িয়ে আম ছোট টুকরা করে কেটে ব্লেন্ড করুন।
- তারপর মেঙ্গ পাল্প এর মধ্যে টকদই , পানি ও চিনি দিয়ে ব্লেন্ড করুন
- এখন লাচ্ছি গ্লাসে ঢেলে বরফ ও বাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন।
কচু শাকে চিংড়ি
উপকরণ:
- কচু শাক -২৫০গ্রাম
- চিংড়ি -১৫০ গ্রাম (ছোট আকারের )
- পেয়াজ -১ কাপ( কুচানো)
- রসুন-১২-১৪ কোয়া ( কুচানো)
- কাঁচা মরিচ -৬-৭টি বা আপনার স্বাদ মত (মরিচ গুলো মাঝ থেকে চিরে দিতে হবে )
- হলুদের গুড়া-১/৪চা চামচ
- তেল -আনুমানিক ৩ টেবিল চামচ
- লবন-৩/৪ চা চামচ বা আপনার স্বাদ মত
- কচু শাক ধুয়ে ভালোভাবে কেটে ফ্রাইপ্যান এ দিয়ে তাতে ১/২ চা চামচ লবন,কাঁচা মরিচ,এবং ১/২ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন ও অল্প আঁচে রান্না করুন এবং মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। ভাল করে নেড়ে পেস্ট এর মত হলে নামিয়ে নিন।
- এখন চিংড়ি ধুয়ে নিন.প্যান এ তেল গরম করে পেয়াজ ও রসুন দিয়ে নাড়তে থাকুন। তারপর ভাজা হয়ে এলে তাতে চিংড়ি ও বাকি লবন ও হলুদের গুড়া দিয়ে অল্প আঁচে ২-৩ মিনিট ধরে নাড়তে থাকুন। তারপর তাতে কচু শাক দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন।
- প্যান থেকে নামিয়ে সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
সজনে ডাটার তরকারী
উপকরণঃ
- সজনে ডাটা -৫০০গ্রাম
- আলু-১ টি (খোসা ছাড়ানো ও স্লাইস করে কাটা)
- পেঁয়াজ -মাঝারি আকারের ১ টি (বাটা)
- কাঁচা মরিচ-৬-৮ টি ( বাটা)
- জিরার গুরা- ৩/৪ চা চামচ
- ধনিয়া গুঁড়া - ৩/৪ চা চামচ
- সরিষার দানা -১ চা চামচ (বাটা)
- হলুদের গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- লবন-৩/৪ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ মত
- তেল-১/৪ কাপ
পদ্ধতি :
- প্রথমে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ বেটে নিন।
- সজনে ডাটার খোসা ছাড়িয়ে ৩ ইঞ্চি করে কেটে নিন।
- প্যানে তেল হালকা গরম করে তাতে ডাটা ও সব উপকরণ একসাথে দিয়ে একমিনিট নেড়ে তাতে এক কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিয়ে রান্না করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত পানি শুকিয়ে না যায়।
- এরপর তেল ভেসে না উঠা পর্যন্ত নেড়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। আরো দেড় কাপ পানি দিয়ে ৬-৭ মিনিট রান্না করুন।
- সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
লবঙ্গ লতিকা
উপকরণঃ
- কুরানো নারিকেল - ২কাপ
- চিনি - ১/২ কাপ বা আপনার পছন্দমত
- মাখন / ঘি /তেল - ১/২ টেবিল চামচ + ২ টেবিল চামচ
- এলাচ - ২ টি
- দারুচিনি - ১টি স্টিক
- লবঙ্গ - ১০ -১৫ টি
- ময়দা - ১ কাপ
- লবন - ১/২ চা চামচ
- গরম পানি প্রায় ১/২ কাপ বা এর চেয়েও কম
- তেল- ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- একটি প্যানে ১/২ টেবিল চামচ ঘি/তেল দিয়ে মাঝারি তাপে গরম করুন। এখন তেলে এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে তা হাল্কা ভেজে নিন। এরপর নারিকেল, চিনি এবং লবণ দিয়ে মেশান এবং মাঝারি তাপে রেখে দিন। মাঝে মাঝে নারিকেলের মিশ্রনটা নাড়তে হবে। মিশ্রনটা থেকে পানি শুকিয়ে ঝরঝরা হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে রেখে দিন ।
- খামির তৈরির জন্য একটি বাটির মধ্যে ময়দা, ২ টেবিল চামচ ঘি / তেল আর লবন নিন এবং ভাল ভাবে মেশান। তারপর এতে ধীরে ধীরে গরম পানি দিন এবং ভালো করে মাখাতে থাকুন। খামির তৈরি হয়ে গেলে তা ছোট ছোট বলে ভাগ করুন ।
- এখন একটি বল রুটি বেলার পিঁড়িতে নিয়ে নিয়ে ছোট আকারের রুটি তৈরি করুন। রুটি তৈরির সময় প্রয়োজনে ময়দা ব্যবহার করুন । এখন রুটির ধার একটি ছুরি দিয়ে কেটে বর্গাকার করে নিন। এবার রুটির মাঝ বরাবর অল্প পরিমান নারকেলের মিশ্রন রেখে রুটির প্রতিটি কোণা চারপাশ থেকে ভাজ করে মাঝখানে নিয়ে আসুন এবং মাঝখানে একটি লবঙ্গ দিয়ে ভাজগুলো আঁটকে দিন। লবঙ্গ এমন ভাবে ঢোকাবেন যেন এর উপরের অংশটা বাইরে থাকে। (ভিডিও দেখুন) একই ভাবে বাকি পুলিগুলি তৈরি করে ফেলুন।
- একটি প্যানে তেল গরম করুন। গরম তেলে একটি পুলি ছেড়ে দিন, যদি এটি কয়েক সেকেন্ডের জন্য তেলে ডুবে গিয়ে আবার উপরে উঠে আসে তাহলে বুঝবেন তেল পুরোপুরি গরম হয়েছে। এরপর তেলে আরও কয়েকটি পুলি দিন এবং পুলির উভয় পাশে সুন্দর বাদামি রং আসা পর্যন্ত ধীরে ধীরে ভাজতে থাকুন ।
- পুলি ভাজা হয়ে গেলে প্যান থেকে তুলে একটি পেপার টাওয়ালের ( টিস্যু) উপর রাখুন । বাকি পুলিগুলোও একই ভাবে ভেজে পরিবেশন করুন।
পাটিসাপটা পিঠা
উপকরনঃ
ক্ষীরের জন্যঃ
পদ্ধতিঃ
ক্ষীরের জন্যঃ
- দুধ - ২ লিটার
- চিনি - ১ কাপ অথবা আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী
- কোড়ানো নারকেল - ১ কাপ (আপনি যদি শুধু মাত্র দুধের ক্ষীর চান তাহলে নারকেল দিবেন না)
- তেল - ২ টেবিল চামচের মতো
- লবন - ১/৪ চা চামচ
- চালের গুড়া - ১ কাপ
- চিনি - ১/৪ কাপ
- দুধ ২ কাপের মতো ( গরম )
- ময়দা - ২ টেবিল চামচ
- ডিম - ২টি ( বিট করা )
পদ্ধতিঃ
- একটি ভারী প্যানে দুধ ফুটিয়ে নিন। যখন দুধ ফুটে উঠবে চুলার তাপ মাঝারি করে দিন এবং দুধ অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত এটি ফোটান। দুধে চিনি দিন এবং মাঝে মাঝে তা নাড়ুন, নাহলে প্যানের নিচে দুধ পুড়ে যাবে ।
- দুধ কমে ১/২ লিটার মত ( ২ কাপ ) হয়ে গেলে কোড়ানো নারকেল দিয়ে দিন এবং নেড়ে দিন। ক্ষীর ঘন হয়ে নরম মসৃন বাদামি মিশ্রন হবে। এবার মিশ্রণটি প্যান থেকে নিয়ে এক পাশে রাখুন ।
- একটি বাটিতে চালের গুঁড়া, ময়দা, লবণ এবং চিনি নিয়ে ভাল ভাবে মেশান । তারপর ধীরে ধীরে ময়দায় গরম দুধ যোগ করুন, একটি হ্যান্ড বীটার দিয়ে বীট করুন। এবার এতে বীট করা ডিম যোগ করে মসৃন হয়ে আসা পর্যন্ত আবার বীট করুন। লক্ষ্য রাখবেন ব্যাটারে যেন কোন দানা না থাকে। এটি ২৫-৩০ মিনিট রেখে দিন ।
- এখন একটি প্যান নিন এবং এতে খুব হাল্কা করে তেল ব্রাশ করে গরম করুন। (আপনি চাইলে ব্রাশের পরিবর্তে কিচেন টিস্যু বা পাতলা সুতি কাপড় ব্যবহার করতে পারেন)
- যখন প্যানটি ভাল করে গরম হবে তখন একটি বড় গোল চামচ দিয়ে এক চামচমত ব্যাটার প্যানের মাঝ বরাবর ঢেলে দিয়ে প্যানটি সাবধানে ঘোরান যেন একটি গোল পাতলা রুটির মতো স্তর তৈরি হয়। তাপ কমিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করুন। যখন রুটিটি প্যানের পাশ থেকে আলদা হয়ে আসবে তখন তা প্যান থেকে তুলে নিয়ে একটি প্লেটের উপর নিন। এবার এর এক প্রান্তে একটি লাইনের মতো করে পরিমান মতো ক্ষীর দিন। এরপর ক্ষীর দেয়া প্রান্তটা থেকে রুটিটি ভাঁজ করে রোলারের মতো ঘুরিয়ে অন্য প্রান্তে নিয়ে রোল তৈরি করুন।
- একই ভাবে বাকি পিঠাগুলো তৈরি করুন। সব পিঠা তৈরি হয়ে গেলে পরিবেশন করুন।
ডিম মটরশুঁটির তরকারি
উপকরণ :
|
- প্যান এ তেল গরম হয়ে এলে এলাচ ,তেজপাতা ,দারচিনি, কুচানো পেয়াজ দিয়ে নাড়তে থাকুন পেয়াজ নরম না হওয়া পর্যন্ত।
- সব গুড়া ও বাটা মসলা ও লবন দিয়ে ১ মিনিট নেড়ে মটরশুটি ও টমেটো দিয়ে নেড়ে ১/২ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন।
- পানি একদম কমে এলে কুচি করা ডিম দিয়ে মশলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন এবং অল্প আঁচে আনুমানিক ৩-৪ মিনিট এর মত রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিন।
- ডিম মটরশুটির তরকারি সাদা ভাত, রুটি বা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন।
কাঁচা আমের শরবত
উপকরণ :
- কাঁচা আম - বড় ১ টি
- চিনি - ৫-৬ টেবিল চামচ
- গোল মরিচের গুড়া - ১/২ চা চামচ
- বীট লবন -১/২ চা চামচ
- কাঁচা মরিচ - ২ টি
- লবন -১/২ চা চামচ
- পানি - আনুমানিক ২ ও ১/২ কাপ
পদ্ধতি :
- আমের খোসা ছিলে ধুয়ে ৬-৮ টুকরা করে কেটে আমের আটি ফেলে দিন।
- প্যান এ পানি গরম করে আম সিদ্ধ করে ব্লেন্ডার এ দিয়ে সব উপকরণ মিশিয়ে একসাথে ব্লেন্ড করুন।
- বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।
চিকেন ফ্রাই
উপকরণ :
পদ্ধতি :
- মুরগি -ছোট আকারের ১ টি
- লেবুর রস - ২ টেবিল চামচ
- আদা বাটা -১চা চামচ
- রসুন বাটা - ১চা চামচ
- জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
- ধনিয়া গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- গরম মশলা গুঁড়া -১ চা চামচ
- গোল মরিচের গুঁড়া -১ চা চামচ
- ডিম - ২ টি (ফেটানো )
- ব্রেড ক্রাম্ব -১ কাপ
- লবন - ১ চা চামচ বা আপনের স্বাদ মত
- তেল -ডুবো তেলে ভাজার জন্য - আনুমানিক ২ কাপ
পদ্ধতি :
- মুরগি ৮ টুকরা করে ধুয়ে নিন। ডিম, ব্রেড ক্রাম্ব ও তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে মুরগি ভালোভাবে মাখিয়ে ২ ঘণ্টা রাখুন।
- ফেটানো ডিমের মধ্যে মাংস ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্ব দিয়ে মাখিয়ে নিন।
- মাঝারি আঁচে তেল গরম করে মুরগির টুকরাগুলা তেলের মধ্যে দিয়ে অল্প আঁচে গাড় বাদামী না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- প্যান থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
চিচিঙ্গা ভাজি
উপকরনঃ
- চিচিঙ্গা - ২টি
- ডিম- ২টি (ফেটানো)
- পেঁয়াজকুচি - মাঝারি ১টি
- কাঁচা মরিচকুচি - ৫-৬টি
- হলুদ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
- লবন - ৩/৪ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
- চিচিঙ্গা ধুয়ে ছুরি দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন, তারপর দুইভাগ করে বিচি ফেলে দিন এবং পাতলা করে টুকরা করে নিন।
- একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি দিয়ে নরম হয়ে আসা পর্যন্ত নাড়ুন । এবার পেঁয়াজের সাথে ডিম ছাড়া চিচিঙ্গা সহ বাকি সব উপকরণ দিয়ে দিন এবং নেড়ে ভালো ভাবে সব উপকরন মিশিয়ে নিন। এবার প্যানে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন এবং মাঝারি তাপে চিচিঙ্গা নরম হয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন।
- এরপর ফেটানো ডিম দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়ুন এবং প্যান চুলা থেকে নামিয়ে নিন। চিচিঙ্গা ভাজি সাদা ভাত বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করুন।
আম ডাল
উপকরনঃ
- মসুর ডাল - ১ কাপ
- কাঁচা আম - ১ টা মাঝারি আকারের (ছিলে স্লাইস করে নিন )
- পেঁয়াজকুচি - ১ টি ছোট আকারের
- রসুনকুচি - ৬-৭ টুকরা
- কাঁচামরিচ - ৬-৭ টা (মাঝখানে চিরে নিন)
- আস্ত জিরা - ১/২ চা চামচ
- তেল - ৪ টেবিল চামচ
- লবণ - ৩/৪ চা চামচ বা স্বাদমত
- ডাল ভাল করে ধুয়ে সসপ্যানে ২ কাপ পানি দিয়ে ফুটাতে দিন। তাতে লবণ, কাঁচা মরিচ, হলুদ গুঁড়া দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ডাল সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। সিদ্ধ হয়ে গেলে বিটার দিয়ে ডাল ভাল করে ঘুটে নিন। এবার ২ কাপ পানি ও আমের স্লাইসগুলো দিয়ে ডাল আবার সিদ্ধ করুন।
- একটি প্যানে তেল গরম করে আস্ত জিরাগুলো দিয়ে দিন এবং কয়েক সেকেন্ড ভাজুন। তারপর রসুনকুচি ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে হাল্কা বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- ভাজা হয়ে গেলে সিদ্ধ ডাল থেকে ১ টেবিল চামচ মত নিয়ে তেলে দিন এবং নেড়ে দিন। তারপর তা বাকি ডালের মধ্যে ঢেলে দিয়ে ২-৩ মিনিট মত সিদ্ধ করে চুলা বন্ধ করে দিন।
মুগ ডালে মুরগি
উপকরণ :
- মুরগি - ১/২ কেজি
- মুগ ডাল - ১/২ কাপ
- পেঁয়াজ - ১টি মাঝারি (কুচি করা )
- লাল মরিচের গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- হলুদের গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- জিরার গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- গরম মসলার গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- আদা বাটা - ১ চা চামচ
- রসুন বাটা - ১ চা চামচ
- তেল -৩ টেবিল চামচ
- লবণ -১চা চামচ বা আপনার স্বাদ মত
পদ্ধতি :
- প্যান এ মুগ ডাল ১ মিনিট নেড়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ডাল ধুয়ে নিন।
- মুরগির মাংসের টুকরাগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। .
- একটি প্যান এ তেলগরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পেঁয়াজ নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তারপর তাতে সব গুঁড়া মসলা ও বাটা মসলা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১ মিনিট কষিয়ে নিন ।
- ডাল দিয়ে ১ মিনিট এর মত নেড়ে তাতে মাংস দিয়ে কষাতে থাকুন তেল উপরে ভেসে না উঠা পর্যন্ত।
- তারপর তাতে ৩ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন ও মাঝারি আঁচে রান্না করুন। ডাল ও মাংস সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। আপনার পছন্দ মত ঝোল ঘন হলে নামিয়ে ফেলুন।
- সাদা ভাত বা রুটির সাথে পরিবেশন করুন।
কাঁচা আমের আচার
উপকরণ :
|
- আম ভালোভাবে ধুয়ে কিচেন টাওআল দিয়ে মুছে নিন যেন আমের গায়ে পানি না থাকে।তারপর আমগুলা খোসা সহ ছোট কিউব করে কাটুন।
- প্যান এ মাঝারি আঁচে তেল গরম করে তাতে রসুন কুচি দিয়ে ৩০ সেকেন্ড নাড়ুন। তারপর আমের টুকরাগুলো দিয়ে কিছু সময় নাড়ুন। তারপর সব উপকরণ একের পর এক দিয়ে আমের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঢেকে দিয়ে ১৫ মিনিট বা আম সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- . তারপর চুলা থেকে নামিয়ে আচার ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
- আপনি এটি কাচের বোয়ামে সংরক্ষণ করতে পারেন ।(সংরক্ষণ করার আগে অবশ্যই আচার ঠাণ্ডা করে নিতে হবে )
কাঁচাকলার কাবাব
উপকরনঃ
কাবাবের জন্যঃ
- কাঁচা কলা - ২টি
- আলু - মাঝারি আকারের ১টি
- পেঁয়াজকুচি - মাঝারি আকারের ১টি
- কাঁচা মরিচকুচি - ৪-৫টি
- জিরা গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
- ধনিয়া পাতাকুচি - ২ টেবিল চামচ
- তেল - ১ কাপের মতো (ভাজার জন্য তেল)
- লবন - ১/২ চা চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী
পুরের জন্যঃ
- ডিম - ১টি
- কাঁচা মরিচকুচি - ২টি
- পেঁয়াজকুচি - ১ টেবিল চামচ
- তেল - ১ টেবিল চামচ
পদ্ধতিঃ
- একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ তেল মাঝারি তাপে গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি ও কাঁচা মরিচকুচি দিন এবং নরম হয়ে আসা পর্যন্ত ভাজুন।
- এরপর তাতে ডিম দিয়ে নাড়ুন যেন তা ভালো ভাবে পেঁয়াজ আর কাঁচা মরিচের সাথে মিশে যায়। ডিম ঝুরি হয়ে আসলে নামিয়ে এক পাশে রাখুন।
- কাঁচা কলা এবং আলু নরম না হয়ে আসা পর্যন্ত ভালো ভাবে সেদ্ধ করুন।
- খোসা ছাড়িয়ে কাঁচা কলা এবং আলু ভর্তা করে নিন। এতে কাবাবের সব উপাদান দিয়ে ভালো ভাবে মেশান।
- এবার মিশ্রণটি ৭/৮ অংশে ভাগ করুন। একটি অংশ হাতে নিয়ে চাপ দিয়ে বাটির মতো করুন এবং মাঝখানে পুর দিন। পুরের উপরের অংশ ঢেকে কোনা গুলো আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিয়ে বন্ধ করে দিন।
- একই ভাবে বাকি কাবাবগুলো তৈরি করে ফেলুন।
- প্যানে তেল গরম করে কাবাব সোনালী বাদামি করে ভেজে তুলুন।
- ভাজা হয়ে গেলে গরম গরম কেচাপ বা সস দিয়ে পরিবেশন করুন।