Archive for 2011
ডিমের পুডিং
উপকরণঃ
- দুধ - ৪ কাপ
- ডিম - ৪টি
- চিনি- ৬ টেবিল চামচ + ২ টেবিল চামচ
- ৪ কাপ দুধকে ফুটিয়ে ২ কাপ করে ঠান্ডা করুন।
- একটি প্যানে ২ টেবিল চামচ চিনি এবং ১ টেবিল চামচ পানি যোগ করে মাঝারি তাপে ক্যারামেল তৈরি করুন । ক্যারামেল তৈরি হলে চুলা থেকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যে পাত্রে পুডিং তৈরি করবেন (বেকিং প্যান) সে পাত্রে ক্যারামেল ঢেলে দিন। এরপর ক্যারামেল একপাশে ঠান্ডা হতে রাখুন।
- এবার ব্লেন্ডারে ডিম, চিনি এবং দুধ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। (মিশ্রণ তৈরি করতে হ্যান্ড মিক্সারও ব্যবহার করতে পারেন) এরপর মিশ্রণটি ক্যারামেল করে রাখা বেকিং প্যানে ঢেলে দিন। (ডিমের মিশ্রণটি ক্যারামেলের উপর ঢালার আগে দেখে নিন ক্যারামেল পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়েছে কিনা, নাহলে তা ডিমের মিশ্রনের সাথে মিশে যাবে এবং পুডিং এর উপর ক্যারামেলের স্তরটি থাকবে না।)
- আপনি চুলায় অথবা ওভেনে আপনার পুডিং তৈরি করতে পারেন।
- ***চুলায় তৈরির পদ্ধতিঃ আপনার পুডিং প্যানটি বসানো যায় মতো এমন একটি পর্যাপ্ত বড় সসপ্যান নিন এবং এতে ফুটন্ত পানি নিন (সসপ্যানে ততটুকু পরিমান পানি নিন যতটুকু পানির মাঝে আপনার পুডিং প্যানটি বসালে প্যানটির অর্ধেক মত পানিতে ডুবে থাকবে এবং প্যান পানিতে ভাসবে না। প্যান পানির মাঝে সঠিক ভাবে বসানোর জন্য আপনি চাইলে একটি স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন।) এবার পুডিং প্যানটি সসপ্যানের মাঝে বসিয়ে দুটি প্যানই ঢেকে দিন এবং মাঝারি তাপে ৪০-৪৫ মিনিট চুলায় রাখুন। ( মাঝে মাঝে সস প্যানের পানি দেখে নিন। প্রয়োজনে আরো পানি যোগ করুন।)
- ***ওভেনে তৈরির পদ্ধতিঃ আপনি যদি ওভেনে পুডিং তৈরি করতে চান তাহলে ওভেন ৩৫০ ফা এ প্রীহিট করে নিন। এখন পুডিং প্যানের চেয়ে বড় একটি প্যান নিন এবং এতে ফুটন্ত পানি নিন (প্যানে ততটুকু পরিমান পানি নিন যতটুকু পানির মাঝে আপনার পুডিং প্যানটি বসালে প্যানটির অর্ধেক মত পানিতে ডুবে থাকবে এবং প্যান পানিতে ভাসবে না।) এখন পুডিং প্যানটি বড় প্যানে বসিয়ে দুটি প্যানই ঢেকে দিন এবং ওভেনে ৪৫-৬০ মিনিটমত বেক করুন।
- একটি ছুরি দিয়ে পুডিং হয়েছে কিনা দেখুন। ছুরির মাথা পুডিং এর মাঝে হাল্কা করে ঢোকান; যদি ছুরিটির মাথা পরিষ্কার বের হয়ে আসে, তাহলে পুডিং তৈরি হয়ে গেছে। আর যদি ছুরিতে আঠালো ডিমের মিশ্রন লেগে থাকে তাহলে পুডিংটি আরও ৫-১০ মিনিটের জন্য চুলায় বা ওভেনে রেখে দিন এবং একই ভাবে ছুরি দিয়ে পরীক্ষা করুন।
- পুডিং তৈরি হয়ে গেলে তা ঠাণ্ডা করে নিন । তারপর সাবধানে প্যানের প্রান্ত বরাবর পুরো পুডিং এর চারপাশে ছুরি দিয়ে পুডিংটি আলাদা করে নিন। তারপর প্যানের উপর একটি প্লেট বসিয়ে প্যানটি প্লেটটির উপর উল্টিয়ে পুডিংটি প্লেটে নিয়ে নিন।
- পুডিংটি পছন্দমত আকারে কেটে পরিবেশন করুন।
আনারস ইলিশ
উপকরনঃ
- ইলিশ মাছ- ১ টা (প্রায় ৯০০ গ্রাম)
- পাকা আনারস - ১/২ (প্রায় ৫০০ গ্রাম)
- পেঁয়াজকুচি - ২ টা মাঝারি আকারের
- কাঁচামরিচকুচি- ৭-৮ টা (মাঝখানে চিরে নিন)
- হলুদ গুঁড়া - ১ চা চামচ + ১ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া - ১ চা চামচ
- রসুন বাটা - ১ টেবিল চামচ
- লেবুর রস - ২ টেবিল চামচ
- সরিষা বাটা- ৩/৪ চা চামচ
- চিনি - ১ চা চমচ (ইচ্ছা)
- তেল - ১ কাপ
- লবণ - ২ চা চামচ
পদ্ধতিঃ
- মাছ কেটে ভাল করে ধুয়ে নিন। ১ চা চামচ হলুদ, ১ চা চামচ লবণ ও লেবুর রস দিয়ে মাছ মাখিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।
- আনারস গ্রেট করে নিন।
- প্যানে ১/২ কাপ তেল গরম করে মাছগুলো হাল্কা ভেজে তুলুন।
- বাকি তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তারপর রসুন বাটা, জিরার গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, লবণ ও কাঁচামরিচ দিয়ে ভালকরে কষান। কষানো হলে গ্রেট করা আনারস দিয়ে নেড়ে দিন এবং ১ কাপ মত পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে মাছগুলো দিয়ে সাবধানে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। পানি শুকিয়ে ঝোল ঘন হয়ে উঠা পর্যন্ত রান্না করুন।
- ঝোল ঘন হয়ে আসলে সরিষা বাটা ও চিনি দিয়ে নেড়ে দিন। আরও ২-৩ মিনিট মত রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিন।
- গরম ভাত বা খিচুড়ির সাথে পরিবেশন করুন আনারস ইলিশ।
ফলি মাছের দোপেঁয়াজা
উপকরণ ঃ
- ফলি মাছ -৬টি মাঝারি আকারের (আনুমানিক ৬০০ গ্রাম)
- টমেটো -মাঝারি আকারের ২ টি ( প্রতিটি ৪-৬ টুকরো করে রাখুন)
- পেঁয়াজকুচি - ২ কাপ
- হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ + ১চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ + ১চা চামচ
- জিরা গুঁড়া-১ চা চামচ
- রসুন বাটা -১ এবং ১/২ চা চামচ
- তেল -১/২ কাপ
- লবণ - ১ চা চামচ + ৩/৪ চা চামচ বা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
- মাছ ধুয়ে অর্ধেক করে কেটে নিন। তাতে ১ চা চামচ হলুদ, ১ চা চামচ লাল মরিচের গুড়া এবং লবন দিয়ে মাখিয়ে রাখুন।
- প্যানে ৪ চা চামচমত তেল গরম করে মাছগুলো উভয় পিঠ বাদামী করে ভেজে উঠিয়ে নিন।
- বাকি তেল প্যানে দিয়ে পেঁয়াজ নরম করে ভেজে নিন। তারপর মাছ ছাড়া বাকি উপকরণগুলো দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়ুন।
- এবার ১/২ কাপ পানি প্যানে দিয়ে ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলা দিয়ে দিন এবং সাবধানে নেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।
- মাছের ঝোল ঘন হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে দিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।
ইলিশ মাছে কচুর লতি
উপকরনঃ
- কচুর লতি - ৫০০ গ্রাম
- ইলিশ মাছ - ৪ টুকরা
- জিরা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- ধনিয়া গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১ চা চামচ
- পেঁয়াজ - ১ টা মাঝারি আকারের
- কাঁচামরিচ - ৭-৮ টা
- লবণ - ১ চা চামচ বা স্বাদমত
- তেল- ৬ টেবিল চামচ
- লতি ছিলে ধুয়ে নিন এবং ৩ ইঞ্চিমত আকারে কেটে রাখুন।
- একটি পাত্রে ১ লিটার মত পানি ফুটিয়ে তাতে লতিগুলো দিয়ে দিন এবং ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
- পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ একসাথে বেটে নিন।
- মাছ ধুয়ে ১/২ চা চামচ হলুদ ও ১/৪ চা চামচ লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিন। প্যানে ২ টেবিল চামচ মত তেল গরম করে মাছগুলো হাল্কা ভেজে তুলুন।
- বাকি তেল প্যানে গরম করে সব মসলা দিয়ে দিন। মসলা একটু কষিয়ে তাতে লতিগুলো দিন এবং নেড়ে দিন। এবার ১/২ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন এবং পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- তারপর আরও ১ কাপ মত পানি দিয়ে ফুটিয়ে তুলুন। ফুটে উঠলে মাছগুলো দিয়ে সাবধানে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। ঝোল ঘন হয়ে তেল উপরে উঠে আসলে চুলা বন্ধ করে দিন।
- গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
আস্ত ফুলকপি ভুনা
উপকরনঃ
টিপসঃ
- আস্ত ফুলকপি - ১ টা মাঝারি আকারের
- টমেটোকুচি- ২ টা মাঝারি আকারের
- মটরশুঁটি - ১ কাপ
- পেঁয়াজকুচি- ২ কাপ
- হলুদ গুঁড়া - ৩/৪ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া - ১ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ বা পছন্দমত
- রসুন বাটা - ১ টেবিল চামচ
- তেল- ৫ টেবিল চামচ
- লবণ- ২ চা চামচ বা স্বাদমত
পদ্ধতিঃ
- ফুলকপি ধুয়ে নিচের পাতার অংশটুকু কেটে ফেলে দিন। এবার একটি বড় পাত্রে পানি সিদ্ধ করে তাতে ১ চা চামচ লবণ ও ফুলকপি দিয়ে ১০-১৫ মিনিটমত মাঝারি আঁচে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঠান্ডা হতে রাখুন।
- একটি বড় প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ নরম করে ভাজুন। তারপর বাকি মসলাগুলো দিয়ে ২-৩ মিনিট কষান। মসলাতে অল্প পানি দিয়ে ফুটে উঠলে সিদ্ধ ফুলকপিটি দিয়ে দিন এবং সাবধানে ফুল্কপির গায়ে মসলা মাখিয়ে দিন। তারপর ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে ১০ মিনিটমত রান্না করুন।(টিপস)
- ফুলকপি ভুনা খিচুড়ি বা পোলাও এর সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
- ফুলকপি রান্না করার আগে তেলে হাল্কা বাদামী করে ভেজে নিতে পারেন।
- আপনি চাইলে ফুলকপি বেকও করতে পারেন। সিদ্ধ ফুল্কপিটি বেকিং ট্রেতে বসিয়ে কষানো মসলাগুলো গায়ে মাখিয়ে দিন। তারপর ৪০০ ডিগ্রী ফা. এ ২০-২৫ মিনিট বেক করুন।
আমের চাটনি
উপকরনঃ
- কাঁচা আম - ৬০০ গ্রাম
- ভাজা লাল মরিচ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
- ভাজা পাঁচ ফোড়ন গুঁড়া - ১ চা চামচ
- ভাজা জিরা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- চিনি- ১/২ কাপ বা স্বাদমত
- সরিষার তেল- ১ টেবিল চা চামচ
- বিট লবণ- ১ চিমটি
- লবণ - ১ চা চামচ
- আম ছিলে গ্রেট করে নিন।
- গ্রেট করা আম মাঝারি আঁচে নরম হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। তারপর ছাকনিতে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
- এবার প্যানে সরিষার তেল গরম করে আমসহ সব মসলা দিয়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন। চাটনি ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
- ঠান্ডা করে আমের চাটনি পরিবেশন করুন। অতিরিক্ত চাটনি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
খাসির মাংসের দোপেঁয়াজা
উপকরণঃ
- খাসির মাংস - ৫০০ গ্রাম
- পেঁয়াজকুচি - ৫০০ গ্রাম
- মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ৩/৪ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া - ১ চা চামচ
- ধনিয়া গুঁড়া - ১ চা চামচ
- এলাচ - ৫ টুকরা
- দারচিনি - ২ টুকরা
- তেজপাতা - ২ টুকরা
- আদা বাটা - ১ চা চামচ
- রসুন বাটা - ১ চা চামচ
- ঘি - ১/২ কাপ
- টক দই- ১ ১/২ কাপ (ভাল করে বিট করে নিন।)
- ধনিয়া পাতাকুচি - ১/২ কাপ
- লবন- ১ চা চামচ
- খাসির মাংস ছোট করে কেটে, ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
- মাঝারি আঁচে পাত্রে ঘি গরম করে অর্ধেক পেঁয়াজকুচি দিন এবং বাদামি করে ভেজে পাত্র থেকে তুলে রাখুন।
- এবার বাকি পেঁয়াজকুচি ঘিতে দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তারপর এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভাজুন।
- খাসির মাংস ও বাকি সব মসলা (টক দই ও ধনিয়া পাতা ছাড়া) ঘিতে দিয়ে ভালকরে নাড়ুন জেন সব মসলা মাংসের সাথে মিশে। এবার ঢাকনা দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিন এবং পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন।
- এবার বিট করে রাখা টকদই দিয়ে ভালকরে নেড়ে দিন এবং ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন (দরকার হলে অল্প গরম পানি যোগ করুন।)।
- তুলে রাখা পেঁয়াজ বেরেস্তাটুকু মাংসের উপরে দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট চুলায় রাখুন।
- এবার ধনিয়াপাতাকুচি উপরে ছড়িয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
- খাসির মাংসের দোপেঁয়াজা গরম গরম পোলাউ বা খিচুড়ির সাথে পরিবেশন করুন।
চিকেন মাঞ্চুরিয়ান
উপকরন :
- হাড়ছাড়া মুরগির বুকের মাংস - ৫০০ গ্রাম
- কর্ণ ফ্লাউয়ার -২ টেবিল চামচ + ২ টেবিল চামচ
- ময়দা - ২ টেবিল চামচ
- ডিম - ১টি (ফেটানো )
- গোল মরিচ -১/২ চা চামচ
- রসুন -৬ কোয়া (ভালভাবে কুচানো )
- আদা- ২ টেবিল চামচ (ভালভাবে কুচানো )
- কাঁচা মরিচ - ৬ টি
- চিকেন স্টক - ১ কাপ
- সয়া সস -৩ চা চামচ
- চিনি -১/৪ চা চামচ
- আজিনমত ( টেস্টিং সল্ট ) -১/৮ চা চামচ
- পেঁয়াজ - ১ টি মাঝারি (কুচানো)
- ধনিয়া পাতা -২ টেবিল চামচ (কুচানো )
- তেল - ১ কাপ + ৩ টেবিল চামচ
- লবন- আনুমানিক ১/২ চা চামচ বা আপনার স্বাদ মত
- মুরগির মাংস ১ ও ১/২ ইঞ্চি স্কোয়ার করে কেটে ধুয়ে নিয়ে তাতে ২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাউয়ার, ১/২ চা চামচ লবন ,১/২ চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়া, ময়দা ,১ চা চামচ সয়া সস ও ফেটানো ডিম দিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে নিন।
- প্যানে মাঝারি আঁচে ১ কাপ তেল গরম করে মাংসের টুকরা বাদামি না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন ও ভাজা হয়ে গেলে অতিরিক্ত তেল শুষে নেবার জন্য কিচেন টিস্যুর উপরে রাখুন ।
- মাঞ্চুরিয়ান সস এর জন্য প্যানে ৩ টেবিল চামচ তেল মাঝারি আঁচে গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি , আদা কুঁচি , রসুন কুঁচি দিয়ে হাল্কা বাদামি না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন । তারপর তাতে কাঁচা মরিচ ও ধনিয়া পাতা দিয়ে ১ মিনিট এর মত রান্না করুন ।
- চুলার আঁচ কমিয়ে তাতে চিকেন স্টক , বাকি সয়া সস , লবন , চিনি, গোল মরিচের গুঁড়া, আজিনমত (টেস্টিং সল্ট ) দিন ও ফুটে উঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ।
- স্টক এর মধ্যে ফ্রাইড চিকেন দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন ।
- ১/৪ কাপ পানিতে ২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাউয়ার মিশিয়ে চিকেন এর মধ্যে দিয়ে আবার ২-৩ মিনিট রান্না করুন ।
- তৈরি চিকেন মাঞ্চুরিয়ান গরম গরম পরিবেশন করুন ।
ডিমের পানতোয়া পিঠা
উপকরণঃ
- ডিম- ২ টি
- ময়দা- ২ কাপ
- চিনি- ২ এবং ১/২ টেবিল চামচ
- পানি-১ এবং ৩/৪ কাপ
- লবন-১/৪ চা চামচ
- তেল-১ টেবিল চামচ ডিম পোঁচ এর জন্য + ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- ময়দা, চিনি ও লবন একটি বাটিতে নিয়ে পানি দিয়ে মিশ্রন তৈরী করে একপাশে রাখুন।
- প্যানে ১ চা চামচ তেল গরম করে ডিম পোঁচ করুন। লক্ষ্য রাখবেন ডিমের কুসুম যেন নরম না থাকে।
- এবার ডুবো তেলে ভাজার জন্য মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তৈরি করা মিশ্রণের মধ্যে পোঁচ করা ডিম ডুবিয়ে গরম তেলের মধ্যে দিয়ে দুই পাশ হাল্কা বাদামি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
- ভাজা হয়ে গেলে তেল থেকে উঠিয়ে পেপার টাওয়েল এর উপর রাখুন অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য। তারপর এটিকে আবার মিশ্রণ এর মধ্যে ডুবিয়ে তেলে ভাজুন। এইভাবে ৪-৫ বার মত ভাজুন।
- ভাজা শেষে ছুরি দিয়ে কেটে পরিবেশন করুন মজাদার ডিমের পানতোয়া পিঠা।
দুধ লাউ
উপকরণ:
- লাউ (ঝুরি করা)- ২ কাপ
- দুধ - ২ লিটার
- চিনি - ১ কাপ বা আপনার স্বাদ মতো
- এলাচ গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- ঘি - ২ টেবিল চামচ
- এলমন্ড (কুচি করা) - ৩ চা চামচ (সাজানোর জন্য)
- লাউ এর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে ভালোভাবে ঝুরি করে নিন।
- একটি পাত্রে ৫-৬ কাপ পরিমাণ পানি ফুটিয়ে তাতে ঝুরি করা লাউ দিয়ে ৭-৮ মিনিট মাঝারি আঁচে ফুটিয়ে ছাকনিতে ঢেলে পানি ঝরিয়ে নিন ।
- পাত্রে ঘি গরম করে তাতে লাউ দিয়ে ১০ মিনিট ভেজে নামিয়ে রাখুন ।
- আর একটি পাত্রে দুধ সিদ্ধ হয়ে কমে অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যেন নিচে পুড়ে না যায়।
- তারপর চিনি ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে প্রায় ১০ মিনিট এর মতো নাড়ুন।
- এবার তাতে ভাজা লাউ দিয়ে আরও ১০-১৫ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন।
- রান্না শেষে প্যান থেকে পরিবেশন পাত্রে নামিয়ে কুচি করা এলমণ্ড দুধ লাউ এর উপর ছড়িয়ে দিন এবং ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
পাকান পিঠা
উপকরনঃ
|
- চালের গুঁড়া, ময়দা, চিনি, লবণ, বেকিং পাউডার বাটিতে নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
- কলা ছিলে ভাল করে ভর্তা করে নিন। তাতে শুকনা মিশ্রণ থেকে অল্প অল্প দিয়ে মাখাতে থাকুন এবং পানি দিয়ে খামি করতে থাকুন। খামি খুব ভাল করে মাখিয়ে ১/ ২ ঘন্টা মত ঢেকে রাখুন।
- এবার খামি থেকে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন। প্লেটে তেল মাখিয়ে তাতে বল রেখে আঙ্গুল দিয়ে চেপে চেপে পাতলা ডিম্বাকারের পিঠা বানিয়ে নিন। (ছবির মত করে)
- প্যানে তেল গরম করুন। তেল ভালভাবে গরম হলে একটি পিঠা দিন। পিঠা কয়েক সেকেন্ড তেলের নিচে থেকে ফুলে উঠলে উল্টিয়ে দিন এবং আরও কয়েক সেকেন্ড ভেজে পেপার টাওয়েল বা টিস্যুতে উঠিয়ে নিন। (পিঠা খুব বেশিক্ষন ভাজবেন না তাহলে শক্ত হয়ে যেতে পারে)
- এভাবে বাকি পিঠাগুলো ভেজে নিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন। (টিপস)
টিপসঃ
পিঠা ঠান্ডা হয়ে গেলে শক্ত হয়ে যেতে পারে। একটি সসপ্যানে ফুটন্ত পানির উপর স্টিমার বা একটি ছাকনি বসিয়ে দিন। তাতে পিঠাগুলো রেখে ঢাকনা দিয়ে ৫-৮ মিনিট স্টিম করে নিয়ে পিঠা পরিবেশন করুন।
বুন্দিয়ার লাড্ডু
উপকরনঃ
পদ্ধতিঃ
- বেসন- ১ কাপ
- ঘি/ তেল/ গলিত মাখন- ১ টেবিল চামচ
- পানি - ১/২ কাপ
- কমলা / লাল খাবারের রঙ - ১/৪ চা চামচ
- তেল- ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- চিনি - দেড় কাপ
- পানি - ১ কাপ
- এলাচ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ(ঐচ্ছিক)
- বুন্দিয়া বানানোর চামচ (ছিদ্র বিশিষ্ট এক প্রকারের সমতল চামচ )
বুন্দিয়া বানানোর চামচ |
- একটি বাটিতে বেসন, ঘি এবং পানি নিয়ে ভাল ভাবে মেশান যেন মিশ্রনে কোন দানা না থাকে।
- এখন অর্ধেক মিশ্রন অন্য একটি বাটিতে নিন এবং একটি বাটির মিশ্রনে খাবারের রং মেশান। এবার মিশ্রন দুইটি ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
- এখন একটি প্যানে চিনি এবং পানি নিয়ে গরম করুন । যখন সিরা ফুটতে শুরু করবে তখন তাপ কমিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিন।
- অন্য একটি প্যানে মাঝারি তাপে তেল গরম করুন । যখন তেল পর্যাপ্ত পরিমান গরম হবে,তখন বুন্দিয়া বানানোর চামচটি তেলের উপর ধরে রেখে এর উপর অল্প বেসনের মিশ্রণটি দিয়ে ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে মিশ্রন তেলে পড়ে ছোট ছোট বলের আকার ধারন করে। তেলে পর্যাপ্ত বুন্দিয়া হলে মিশ্রন দেওয়া বন্ধ করুন এবং বুন্দিয়াগুলো সুন্দর বাদামী রং ধারন করা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
- ভাজা হয়ে গেলে বুন্দিয়া তেল থেকে তুলে নিয়ে সিরাতে দিন। একইভাবে অবশিষ্ট মিশ্রন দিয়ে বুন্দিয়া তৈরি করে সিরাতে ঢেলে দিন। তারপর বুন্দিয়া সিরাতে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
- সব বুন্দিয়া তৈরি হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিন এবং সব বুন্দিয়া সিরাতে ভালো করে মেশান। তারপর সিরাতে মেশানো বুন্দিয়া একটি প্লেটে তুলে নিন এবং নেড়ে সামান্য ঠান্ডা করে নিন যেন হাত দিয়ে ধরতে পারেন।
- এরপর পরিমান মতো বুন্দিয়া হাতের তালুতে নিয়ে দুই হাত দিয়ে চিপে বল (লাড্ডু) তৈরি করুন। লাড্ডুর বুন্দিয়া শক্তভাবে লেগে থাকার জন্য ভালো ভাবে হাত দিয়ে চেপে দিন। একইভাবে সব লাড্ডু তৈরি করুন।
- সব লাড্ডু বানানো হলে পরিবেশন করুন মজাদার বুন্দিয়ার লাড্ডু।
লটিয়া মাছের তরকারী
উপকরণ:
- লটিয়া মাছ -৩০০ গ্রাম
- পেয়াজ -মাঝারি ১টি (কুচানো)
- টমেটো -মাঝারি ১টি (কুচানো)
- রসুন বাটা -১ চা চামচ
- কাঁচা মরিচ বাটা -২ চা চামচ বা আপনের স্বাদ অনুযায়ী (বাটা মরিচ দিতে না চাইলে আপনি কাঁচা মরিচ চিরে দিতে পারেন )
- হলুদের গুড়া-১/২চা চামচ
- জিরার গুড়া -১/২চা চামচ
- লবন-১/২চা চামচ
- ধনিয়া পাতা (কুচানো )-১চা চামচ(optional)
- তেল-৩ চা চামচ
- আপনার পছন্দমত মাছ কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- প্যানে তেল গরম করে তাতে পেয়াজ কুঁচি এবং অর্ধেক টমেটো কুঁচি দিয়ে ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে তাতে রসুন বাটা,কাঁচা মরিচ বাটা,হলুদের গুড়া,জিরার গুড়া ও লবন দিয়ে নাড়তে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তেল ভেসে না উঠে ।
- এখন মসলার মধ্যে মাছ দিয়ে সাবধানে নাড়ুন। তারপর অর্ধেক কাপ পানি দিয়ে ঢেকে ৬-৭ মিনিট রান্না করে মাছগুলো সাবধানে উল্টে দিয়ে (যদি তরকারি খুব শুকনা হয়ে যায় তবে তাতে অল্প পানি মেশাতে পারেন ) তাতে বাকি টমেটো ও ধনিয়া পাতা দিয়ে ঢেকে দিয়ে আবার ১০-১২ মিনিট রান্না করুন।
- তারপর চুলা থেকে নামিয়ে সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
বেসনে কুমড়া
উপকরণ :
- মিষ্টি কুমড়া -২০০গ্রাম
- বেসন -১/২ কাপ
- চালের গুঁড়া -২চা চামচ
- আদা বাটা- ১/২ চা চামচ
- রসুন বাটা - ১/২চা চামচ
- হলুদের গুঁড়া -১/৪চা চামচ
- লাল মরিচের গুঁড়া -১/২চা চামচ
- জিরার গুঁড়া -১/২চা চামচ
- বেকিং পাউডার -৩/৪চা চামচ
- লবন - ১/২চা চামচ
- গরম পানি -আনুমানিক ৪/৫ টেবিল চামচ
- তেল -ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- মিষ্টি কুমড়া ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ১/২ সেঃমিঃ এর মতো পাতলা করে কেটে নিয়ে কুমড়ার টুকরার উপর লবন ছিটিয়ে নিন।
- একটি পাত্রে বেসন , চালের গুঁড়া , আদা বাটা , রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া ,লাল মরিচের গুঁড়া ,জিরার গুঁড়া, বেকিং পাউডার ও লবন দিয়ে ভালিভাবে একসাথে মিশিয়ে নিন । তারপর শুকনা মিশ্রণটিতে পানি দিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরী করে ৩০/৩৫ মিনিট এর মত রেখে দিন।
- মাঝারি আঁচে তেল গরম হয়ে এলে তৈরী মিশ্রনের মধ্যে কুমড়ার স্লাইচ ডুবিয়ে তেলে দিন। তারপর আরো ৪/৫ পিচ তেলে দিয়ে সুন্দর বাদামী কালার না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- ভাজা হয়ে গেলে পেপার টাওআল এর উপর রাখুন অতিরিক্ত তেল শুষে নেবার জন্য। একইভাবে সব কুমড়ার স্লাইচ ভাজুন।
- উপভোগ করুন খিচুড়ী ,সাদা ভাত বা কেচআপ এর সাথে।
চিংড়ি বড়া
উপকরণ :
- ছোট আকারের চিংড়ি - ২০০ গ্রাম
- মসুরের ডাল -১/২ কাপ
- চালের গুড়া -১ চা চামচ
- পেঁয়াজকুচি -মাজারি সাইজের ১ টি
- কাঁচা মরিচ - ২ টি
- হলুদের গুড়া -১/৪ চা চামচ
- জিরার গুড়া- ১/৪ চা চামচ
- আদা বাটা -১/২ চা চামচ
- রসুন বাটা -১/২ চা চামচ
- বেকিং পাউডার -১/৪ চা চামচ
- ধনেপাতাকুচি -২টেবিল চামচ
- লবণ -১/২ চা চামচ
- তেল -ভাজার জন্য
- ডাল ধুয়ে কুসুম গরম পানিতে ২-৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। পরে পানি ফেলে ব্লেন্ড করে নিন। খুব মিহি করে ব্লেন্ড করবেন না। ব্লেন্ড করা ডাল আলাদা পাত্রে রাখুন ।
- চিংড়ি গুলো পরিস্কার করে ধুয়ে নিন । চিংড়ি ও কাঁচা মরিচ একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করুন। (প্রয়োজনে অল্প পানি মেশান)
- পাত্রে বাটা চিংড়ি ও ডাল নিয়ে তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণগুলো একসাথে ভালোভাবে মেশান।
- ফ্রাইপ্যান এ তেল গরম করুন। এক চা চামচের সমান মিশ্রণ নিয়ে গোল করে ফ্রাইপ্যানে দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজুন যতক্ষণ পর্যন্ত দুইপাশ বাদামী না হয়।
- ভাজা হয়ে গেলে বড়াগুলো ফ্রাইপ্যান থেকে নামিয়ে কিচেন টিস্যুর উপরে রাখুন যেন অতিরিক্ত তেল না থাকে।
- গরম গরম পরিবেশন করুন চিংড়ি বড়া।
কমলার জুস
উপকরণঃ
- কমলালেবু - ৪ টি
- চিনি- দুই চা চামচ অথবা আপনার স্বাদমতো
- বরফ টুকরা -৪ টি
পদ্ধতিঃ
- ৩ টি কমলা অর্ধেক করে কেটে লাইম জুসার বা হাত দিয়ে রস বের করুন।
- কমলার রস ব্লেন্ডার এ দিয়ে তাতে চিনি ও বরফ দিয়ে ব্লেন্ড করুন।
- বাকি ১ টি কমলা থেকে হাত দিয়ে রস বের করে দুই ধরণের জুস একসাথে চামচ দিয়ে মিশিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
কুমড়ো ফুলের বড়া
উপকরণ :
- কুমড়ো ফুল -১০টি
- চালের গুড়া -১ / ২ চা চামচ
- বেসন -৩ টেবিল চামচ
- হলুদের গুড়া - ১/৪ চা চামচ
- মরিচের গুড়া -১/২ চা চামচের কম অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
- জিরার গুড়া -১/৪ চা চামচ
- লবণ -১/৪ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
- তেল -ভাজার জন্য
- সবুজ অংশ থেকে ফুল কেটে ভিতরের শাঁস ফেলে দিন।
- ফুলগুলো ধুয়ে নিয়ে একটি পাত্রে ফুল ও তেল ছাড়া সব উপকরণ একসাথে রাখুন । উপকরণ গুলোর সাথে ৩/৪ কাপ পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন যেন মিশ্রণটি খুব বেশি পাতলা না হয়।
- একটি পাত্রে তেল গরম করে ফুলগুলো মিশ্রণটিতে ডুবিয়ে গরম তেলের মধ্যে দিয়ে দুই দিক বাদামী না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- পাত্র থেকে বড়া গুলা উঠিয়ে নিন এবং অতিরিক্ত তেল শুষে নেবার জন্য কিচেন টিসুর উপর রাখুন।
- গরম গরম পরিবেশন করুন।