Archive for 2015
রকমারি ফলের চাটনি
উপকরনঃ
- কাঁচা আম (কিউব করে কাটা) - ১ কাপ
- আনারস (কিউব করে কাটা)- ১ কাপ
- টমেটো (কিউব করে কাটা)- ১ ও ১/২ কাপ
- আলু বোখারা- ৭-৮ টা
- কিসমিস - ১০-১৫ টা
- আস্ত লাল মরিচ (অর্ধেক করে কেটে নিন) - ৩-৪ টা
- পাঁচ ফোড়ন - ১/২ চা চামচ
- গোল মরিচ - ১/৪ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- লবন ১ চা চামচ বা স্বাদমত
- চিনি - ২ টেবিল চামচ
- তেল - ৪ টেবিল চামচ
প্রণালীঃ
- পাত্রে তেল গরম করে পাঁচ ফোড়ন দিয়ে কয়েক সেকেন্ড পর আস্ত লাল মরিচ দিন এবং কয়েক সেকেন্ড ভাজুন।
- এবার কাঁচা আম, আনারস, টমেটো একে একে দিন। গোলমরিচ গুঁড়া, লবন, লাল মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভাল করে নেড়ে দিন। অল্প একটু পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ফলগুলো নরম হয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন।
- ঢাকনা খুলে ভাল করে নেড়ে দিন যেন ফলগুলো ভাঙ্গা ভাঙ্গা হয়ে যায়। এবার আলু বোখারা, কিসমিস ও চিনি দিয়ে নেড়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে আরও ৫ মিনিটমত রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিন।
- রকমারি ফলের এই চাটনি উপভোগ করুন খিছুড়ি, পোলাও বা বিরিয়ানীর সাথে।
ধন্যবাদান্তে
গোপা রানী নন্দী
South Carolina, USA
আস্ত মুরগির রোস্ট
উপকরনঃ
- আস্ত রোস্টের মুরগী - ২টা (৫০০ গ্রাম)
- পেঁয়াজ বাটা - ১ টেবিল চামচ
- আদা বাটা - ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা- ১ ও ১/২ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ বাটা- ১ টেবিল চামচ
- কাজু বাদাম বাটা- ১ টেবিল চামচ
- নারিকেল বাটা- ১ টেবিল চামচ
- টক দই (কাঁটা চামচ দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন )- ২ টেবিল চামচ
- জিরা বাটা - ১/২ টেবিল চামচ
- তেজপাতা- ২ টা
- ছোট এলাচ- ৩ টা
- বড় এলাচ- ১ টা
- দারচিনি (১/২ ইঞ্চি আকারের)- ২ টা
- লবঙ্গ - ৪ টা
- লবন ১ চা চামচ বা স্বাদমত
- তেল- ২ টেবিল চামচ + ১/২ কাপ
- পানি - প্রায় ২ কাপ
- পেঁয়াজকুচি - ১/২ কাপ
প্রণালীঃ
- মুরগী ধুয়ে কাপড় বা টিস্যু দিয়ে ভাল করে পানি শুকিয়ে নিন। মুরগীর পা দুটো সুতা দিয়ে বেঁধে নিন।
- বড় একটি পাত্রে মুরগী দুইটা নিয়ে একে একে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, কাজু বাদাম বাটা, নারিকেল বাটা, টক দই, জিরা বাটা, তেজপাতা, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, লবন ও ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে আধা ঘন্টা মেরিনেট করে রাখুন।
- মখিয়ে রাখা মুরগীতে ২ কাপ মত পানি দিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে রান্না করুন।
- মাংস সিদ্ধ হলে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন।
- এবার অন্য একটি প্যানে ১/২ কাপ তেল গরম করে তাতে রান্না করে রাখা আস্ত মুরগী দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে আবার ঝোলের মাঝে রেখে দিন।
- তারপর গরম তেলে পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি করে ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে অর্ধেক বেরেস্তা সাজানোর জন্য তুলে রাখুন।
- বাকী পেঁয়াজ বেরেস্তা তেল সহ রান্না করে রাখা মুরগীর উপর ঢেলে দিন।
- তারপর পাত্রটি আবার চুলায় দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন।
- রান্না হয়ে গেলে পরিবেশন পাত্রে নিয়ে উপরে তুলে রাখা পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
মিষ্টিকুমড়া দিয়ে পুঁই শাক
উপকরনঃ
- পুঁই শাক - ২০০ গ্রাম
- মিষ্টিকুমড়া (কিউব করে কাটা)- ১ কাপ
- চিংড়ি (মাঝারি আকারের)- ৭- ৮ টা
- রসুনকুচি - ১/২ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজকুচি - ২ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ(মাঝখানে চিরে নিন)- ৪-৫ টা
- আস্ত জিরা - ১/৪ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- লবন - ১ চা চামচ বা সাদ্মত
- চিনি - ১/২ চা চামচ
- তেল - ২ টেবিল চামচ
প্রণালীঃ
- পুঁই শাক ধুয়ে কুচি করে নিন।
- প্যানে তেলে গরম করে জিরার ফোড়ন দিন। তারপর রসুনকুচি ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- এবার চিংড়ি ও মিষ্টিকুমড়া দিয়ে লবন ও হলুদ গুঁড়া ছড়িয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ৫ মিনিট মত ভাজুন।
- তারপর পুঁই শাককুচি ও কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে দিন।
- প্যানে ঢাকনা দিয়ে মিষ্টিকুমড়া সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- ঢাকনা তুলে চিনি ছড়িয়ে দিয়ে কয়েক সেকেন্ড পর চুলা বন্ধ করে দিন।
- গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন পুঁই শাক মিষ্টিকুমড়ার তরকারি।
সরষে বেগুন
উপকরনঃ
- বেগুন - ১ টা মাঝারি আকারের (প্রায় ২০০ গ্রাম)
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- সাদা সরিষা বাটা - ২ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ বাটা- ১ চা চামচ
- নারিকেল কুচানো - ১ টেবিল চামচ
- কালিজিরা - ১/২ চা চামচ
- লবন- ১ চা চামচ
- তেল - ১/২ কাপ
প্রণালীঃ
- বেগুন ধুয়ে ১/২ ইঞ্চি আকারের স্লাইস করে নিন।
- বেগুনের টুকরাগুলো বাটিতে নিয়ে লাল মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া ও ১/২ চা চামচ লবন দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।
- প্যানে তেল গরম করে বেগুনের স্লাইসগুলো উভয় পাশে হালকা বাদামি করে ভেজে টিস্যুতে উঠিয়ে নিন অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য (টুকরাগুলো খুব বেশি যেন নরম হয়ে না যায় লক্ষ্য রাখতে হবে)।
- এবার প্যানে বাকি তেল গরম করে তাতে কালিজিরা দিয়ে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে সরিষা বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, কুচানো নারিকেল ও ১/২ চা চামচ লবন দিয়ে কষিয়ে নিন।
- মসলা থেকে তেল আলাদা হয়ে আসলে ১/৪ কাপ মত পানি দিয়ে ভাল করে মসলার সাথে মেশান।
- এবার সাবধানে ভাজা বেগুনগুলো মসলাতে দিয়ে ঢাকা দিয়ে ৩-৪ মিনিট রান্না করুন।
- ঝোল ঘন হয়ে আসলে বেগুনগুলো পরিবেশন পাত্রে তুলে নিন। উপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে সাজিয়ে পোলাও বা খিচুড়ির সাথে পরিবেশন করুন সরষে বেগুন।
শুঁটকি ভুনা
- শুঁটকি মাছ- ১০০ গ্রাম (ছুরি শুঁটকি বা লইট্টা শুঁটকি)
- রসুনকুচি- ২ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজকুচি- ১/৪ কাপ
- টমেটোকুচি - ১/৪ কাপ
- কাঁচামরিচ - ৩-৪ টা
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- ধনিয়া গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- তেল- ৪ টেবিল চামচ
- লবন- ১/২ চা চামচ বা স্বাদমত
- ধনেপাতাকুচি - ১ টেবিল চামচ
প্রণালীঃ
- শুঁটকি মাছ ৩-৪ মিনিট টেলে নিয়ে পানিতে ৩-৪ মিনিট সিদ্ধ করে নিন।
- ছাঁকনি দিয়ে পানি ছেঁকে ফেলে মাছগুলো হাত দিয়ে ভেঙ্গে দিন। চাইলে বড় কাঁটা নিয়ে ফেলতে পারেন।
- এবার প্যানে তেল গরম করে রসুনকুচি দিয়ে কিছুক্ষন ভাজুন। তারপর পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন।
- পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে টমেটোকুচি, আস্ত কাঁচামরিচ, লাল মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া ও লবন দিয়ে তেল উঠে আসা পর্যন্ত কষাতে থাকুন।
- কষানো হয়ে গেলে সিদ্ধ করে রাখা মাছগুলো দিয়ে কিছুক্ষন নাড়ুন। তারপর অল্প পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।
- ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে কিছুক্ষন নাড়ুন। পানি শুকিয়ে আসলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
- সাদা ভাত বা খিছুড়ির সাথে পরিবেশন করুন শুঁটকি ভুনা।
ডিম মটরশুঁটির তরকারি
উপকরনঃ
- ডিম -৪ টা (ভাল করে সিদ্ধ করে কুচি করে নিতে হবে)
- মটরশুঁটি - ১/২ কাপ
- টমেটোকুচি- ২টা
- পেঁয়াজকুচি - ১ টা মাঝারি আকারের
- কাঁচামরিচ- ৩ টা(মাঝখানে চিরে নিন)
- লাল মরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- আদা বাটা - ১ চা চামচ
- রসুন বাটা- ১ চা চামচ
- এলাচ - ২ টা
- দারচিনি- ২ টা
- তেজপাতা - ১ টা
- তেল -আনুমানিক ৩ টেবিল চামচ
- লবন - ৩/৪ চা চামচ বা স্বাদমত
- পাত্রে তেল গরম করে আস্ত গরম মসলাগুলো দিয়ে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করুন। তারপর পেঁয়াজকুচি দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- এবার লবন ও একে একে বাকি সব মসলা দিয়ে ১ মিনিট মত নাড়ুন। তারপর টমেটো ও মটরশুঁটি দিয়ে নাড়ুন।
- ১/২ কাপ পানি দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। পানি কমে তেল ভেসে উঠলে কুচানো সিদ্ধ ডিম দিয়ে সাবধানে নেড়ে দিন। ৩-৪ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিন।
- গরম গরম ভাত, রুটি বা পরটার সাথে পরিবেশন করুন ডিম মটরশুঁটির তরকারি।
চিচিঙ্গা ভাজি
উপকরনঃ
- চিচিঙ্গা - ২ টা
- ডিম- ২ টা (ফেটানো)
- পেঁয়াজকুচি - ১ টা মাঝারি আকারের
- কাঁচামরিচ - ৫-৬ টা
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- লবন - ৩/৪ চা চামচ বা স্বাদমত
- চিচিঙ্গা ধুয়ে ছিলে পাতলা করে কেটে নিন (বিচি ফেলে দিন)।
- কড়াই এ তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি দিন। পেঁয়াজ একটু নরম হয়ে আসলে চিচিঙ্গা দিয়ে কাঁচামরিচ, হলুদ ও লবন দিয়ে ভালকরে নেড়ে দিন। কিছুক্ষন পর ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে চিচিঙ্গা সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- তারপর ঢাকনা খুলে ফেটানো ডিম দিয়ে ভাল করে নেড়ে ২-৩ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দিন।
- সাদা ভাত বা রুটির সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম ভাজি।
ফুসকা
উপকরনঃ
ফুসকার জন্যঃ
ফুসকার জন্যঃ
- সুজি- ১ কাপ
- ময়দা- ১/২ কাপ
- বেকিং সোডা - ১/২ চা চামচ
- তালমাখনা - ১ ও ১/২ চা চামচ
- লবন - ১/৪ চা চামচ
- কুসুম গরম পানি - ১/২ কাপ
- তেল - ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- আলু- ৩ টা মাঝারি আকারের
- কাঁচামরিচকুচি - ৫ টা
- পেঁয়াজকুচি - ১ টা
- ধনেপাতা কুচি - ২ টেবিল চামচ
- লবন- ১/২ চা চামচ
- তেঁতুল - ৫০ গ্রাম
- ভাজা জিরার গুঁড়া - ৩/৪ চা চামচ
- ভাজা লাল মরিচ গুঁড়া -১/৪ চা চামচ
- লবন- ১ চা চামচ
- বীট লবন- ১/৪ চা চামচ
- চিনি - ২ চা চামচ
- একটি বাটিতে সুজি, ময়দা, লবন, বেকিং সোডা ও তালমাখনা নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মাখিয়ে শক্ত ডো তৈরি করুন। মাখানো হলে আধা ঘন্টা ঢেকে রেখে দিন।
- আলু ভাল করে সিদ্ধ করে ছিলে ভর্তা করে নিন। তাতে কাঁচামরিচ, লবন, পেঁয়াজ, ধনেপাতাকুচি দিয়ে মিশিয়ে একপাশে রাখুন।
- তেঁতুল ১ কাপ পানিতে আধা ঘন্টা মত ভিজিয়ে রেখে তা থেকে তেঁতুলের ক্বাথ বের করে নিন। তারপর তাতে সসের সব উপকরণ দিয়ে ভালভাবে বিট করে নিন।
- এবার মেখে রাখা ডো থেকে ৬ টা বল করে নিন।
- এক একটি বল থেকে রুটি বেলে দেড় ইঞ্ছি ব্যাসের কুকি কাটার বা গোল কিছু নিয়ে ছোট ছোট আকারে কেটে নিন। এভাবে সব গুলি রুটি থেকে ছোট রুটি কেটে নিন।
- কড়াই এ তেল গরম করুন। তেল ভালভাবে গরম হলে ফুসকাগুলো একটা একটা দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলুন।
- সব ভাজা হয়ে গেলে ফুসকা নিয়ে মাঝখানে ছিদ্র করুন। তাতে আলুর মেখে রাখা পুর দিয়ে তেঁতুলের সস দিয়ে পরিবেশন করুন।
কিমা মুগ পোলাও
উপকরনঃ
- কিমা (গরুর বা খাসির)- ১ কাপ
- চিনিগুঁড়া/কালিজিরা/ বাসমতি চাল- ১ কাপ
- মুগ ডাল- ১/৩ কাপ (হালকা করে ভেজে নিবেন।)
- পেঁয়াজকুচি- ১ কাপ
- হিজলি বাদামকুচি (Cashew nut)- ২ টেবিল চামচ
- টমেটোকুচি - ১ টা মঝারি আকারের
- পেঁয়াজ বাটা - ২ টেবিল চামচ
- আদা বাটা- ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
- জয়ফল গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- জয়ত্রী গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- লবন- ২ চা চামচ বা স্বাদমত
- কাঁচা মরিচ - ৫-৬ টা
- ছোট এলাচ- ২ টা
- বড় এলাচ - ১ টা
- তেজপাতা - ২ টা
- দারচিনি- ১ টা ১ ইঞ্ছি আকারের
- তেল- ১/২ কাপ
- ঘি- ২ টেবিল চামচ
প্রনালিঃ
- কিমা ধুয়ে ছাকনিতে পানি ঝরাতে রাখুন। তারপর বাটিতে নিয়ে পেঁয়াজকুচি থেকে কাঁচামরিচ পর্যন্ত সব উপকরণ দিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিন।
- চাল ও ডাল ধুয়ে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছাকনিতে নিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
- একটি বড় পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ও আস্ত গরম মসলাগুলো দিয়ে বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার টমেটোকুচি ও বাদামকুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন।
- টমেটো নরম হয়ে আসলে মাখিয়ে রাখা কিমা দিয়ে দিন এবং তেল মসলা থেকে আলাদা হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। অল্প একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন এবং ৫ মিনিট মত রান্না করুন।
- কিমাতে পানি থাকলে ঢাকনা খুলে পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন।
- এবার পানি ঝরিয়ে রাখা চাল ও ডাল দিয়ে ৫ মিনিট মত ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে ৩ কাপ মত পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট মত রাখুন। তারপর উপরে ঘি ছড়িয়ে দিয়ে ভালভাবে ঢেকে দিন যেন ভাপ বের হতে না পারে।
- ২০ মিনিট মত কম আঁচে পোলাও ভাপে রাখুন।
- সাবধানে পাত্রের ঢাকনা খুলে পোলাও মিশিয়ে নিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।
পেঁপের সেমাই
Click here for English.
উপকরনঃ
- কাঁচা পেঁপে কুচানো - ২ কাপ
- দুধ- ৫০০ মি.লি.
- চিনি - ১/৪ কাপ বা আপনার স্বাদমত
- এলাচ- ২ টা
- তেজাপাতা - ১টা
- দারচিনি- ১ টা
- লবন- ১ চিমটি
- ঘি -১/২ কাপ
- গুঁড়ো দুধ- ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
- কাঠবাদাম (এলমন্ড) কুচি - ১/৪ কাপ
প্রনালিঃ
- একটি পাত্রে ৪ কাপ মত পানি ফুটান। ফুটে উঠলে তাতে কুচানো পেঁপে ও এক চিমটি লবন দিয়ে ১ মিনিট মত ফুটান। তারপর ঝাঁঝরিতে ঢেলে পানি ঝরিয়ে একপাশে রাখুন।
- দুধ সিদ্ধ করে ৩/৪ অংশ মত করে নামিয়ে রাখুন।
- এবার একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে এলাচ, তেজপাতা, দারচিনি, অর্ধেক এলমন্ডকুচি ও সিদ্ধ করে রাখা পেঁপে দিয়ে ৫ মিনিটমত মাঝারি আঁচে ভাজুন।
- ভাজা হয়ে গেলে ধীরে ধীরে দুধ মিশাতে থাকুন আর নাড়তে থাকুন ( দুধ একসাথে পেঁপেতে দিয়ে দিবেন না তাহলে দুধ ফেটে যেতে পারে)।
- তারপর চিনি দিয়ে নেড়ে দিন এবং ৫ মিনিটমত সিদ্ধ করুন।
- শেষে গুঁড়ো দুধ দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে ১ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দিন।
- পরিবেশন পাত্রে সেমাই ঢেলে উপরে বাকি বাদামকুচি ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু পেঁপের সেমাই।
আচার মাংস
উপকরণঃ
- গরুর মাংস - ১ কেজি
- পেঁয়াজকুচি - ১ কাপ
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১ চা চামচ
- আদা বাটা - ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
- এলাচ - ৭-৮ টা
- দারচিনি - ৪ টুকরা
- তেজপাতা- ৪ টা
- পাঁচ ফোড়ন - ৩ চা চামচ
- টমেটোকুচি - ২ টা বড় আকারের
- টক দই - ১/২ কাপ
- সরিষার তেল - ১/২ কাপ
- লবন - ১ চা চামচ বা স্বাদমত
- গরুর মাংস মাঝারি আকারের করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
- পাত্রে তেল গরম করে এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা ও পাঁচ ফোড়ন দিয়ে ১ মিনিট মত নাড়াচাড়া করুন। এবার পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি করে ভাজুন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে বাকি মসলাগুলো ও টমেটোকুচি দিয়ে কিছুক্ষন কষিয়ে নিন। মসলা থেকে তেল আলাদা হলে গরুর মাংস দিয়ে দিন এবং ভালকরে মসলার সাথে মেশান।
- মাংসের পানি বের হয়ে শুকিয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন। মাঝে মাঝে মাংস নেড়ে দিন যেন নিচে লেগে না যায়। এবার ৩ কাপ মত পানি দিয়ে পাত্র ঢেকে দিন। মঝারি আঁচে মাংস সিদ্ধ হয়ে ঘন হয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন। (আপনি চাইলে প্রেশার কুকারও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাংস কষানো হয়ে গেলে ২ কাপমত পানি দিন। ফুটে উঠলে কুকারের ঢাকনা দিয় ১৫-১৮ মিনিটমত রান্না করুন।)
- রান্না হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন খিচুড়ি বা পরটা দিয়ে।
মগজের কাবাব
- ছাগলের মগজ-২
- পেঁয়াজকুচি- ১ টা মাঝারি আকারের
- রসুন বাটা - ১ চা চামচ
- আদা বাটা- ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- কাঁচামরিচকুচি - ২টা
- ব্রেডক্রাম্ব- ১ কাপ
- ডিম - ২ টা (ফেটিয়ে রাখুন)
- লবন - ১ চা চামচ বা স্বাদমত
- ধনেপাতাকুচি - ২ টেবিল চামচ
- তেল - ডুবো তেলে ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ
- মগজ ভালভাবে ধুয়ে অল্প পানিতে লবন ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। তারপর পানি ঝরিয়ে ঠান্ডা করুন।
- এবার একটি পাত্রে সিদ্ধ করা মগজ নিয়ে তাতে একে একে পেঁয়াজকুচি, কাঁচামরিচকুচি, ধনেপাতাকুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরার গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে নিন।
- তারপর মিশ্রণ থেকে মাঝারি আকারের গোল করে কাবাব বানিয়ে নিন।
- এবার কাবাবগুলো একটা একটা করে ডিমে ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। ভাজার সুবিধার জন্য কাবাবগুলোকে একটি প্লেটে একস্তরে সাজিয়ে কিছুক্ষন ডিপফ্রিযে রেখে দিন।
- কড়াই এ তেল গরম গরম করে কাবাব সোনালি বাদামি করে ভেজে নিন।
- ভাজা হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার মগজের কাবাব।