Archive for 2012

কাচ্চি বিরিয়ানি

উপকরণ:
  • খাসির মাংস-১ কেজি
  • বাসমতী চাল-১/২ কেজি
  • আলু - ৩ টি মাঝারি আকারের (৪ টুকরা করে কাটা)
  • পেঁয়াজ- ১ কাপ(কুঁচি করা)
  • টক দই-১ কাপ
  • দুধ-১ কাপ
  • দারুচিনি-৪ টুকরা 
  • এলাচ-৫-৬ টি
  • লবঙ্গ-৩-৪ টি
  • তেজপাতা-৪ টি
  • রসুন বাটা- দেড় টেবিল চামচ 
  • আদা বাটা-দেড় টেবিল চামচ  
  • গরম মশলার গুঁড়া-১ চা চামচ
  • জিরার গুঁড়া-১ চা চামচ 
  • লাল মরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • গোল মরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • জয় ফল গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • জয়ত্রী গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • আলুবোখারা- ৭-৮ টি
  • কিসমিস -১০ টি
  • কেওড়া জল- ১/২ টেবিল চামচ 
  • চিনি-১ চা চামচ
  • ঘি- ১/২ কাপ 
  • তেল- ২ টেবিল চামচ 
  • লবন- ২ টেবিল চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
পদ্ধতি:
  • মাংস ভাল করে পরিষ্কার করে এবং ধুয়ে বড় ছাকনিতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন।
  • একটি ভারি ওভেনে দেওয়া যাবে এমন পাত্র নিন এবং এর নিচে মাংস ছড়িয়ে দিন। মাংসে টক দই, লবণ, চিনি, অর্ধেক ঘি,আদা বাটা, রসুন বাটা, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ,তেজপাতা এবং সব গুঁড়া মশলা দিন। মাংস এবং বাকি সব উপকরণ ভাল করে মেশান এবং ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন।
  • একটি প্যানে তেল গরম করে আলু হালকা বাদামি করে ভেজে তুলে রেখে দিন। এরপর কেটে রাখা পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা তৈরি করুন।
  • চাল ধুয়ে রান্না করুন। অর্ধেক রান্না হলে নামিয়ে চাল থেকে পানি ঝরিয়ে ফেলুন।
  • এখন মাংসের উপরে দুধ ঢেলে দিন এবং এর উপরে অর্ধেক হওয়া ভাত ছড়িয়ে দিন।এরপর একে একে ভাজা আলু, পেঁয়াজ বেরেস্তা,বাকি ঘি,আলুবোখারা,কিসমিস,কেওড়া জল ভাতের উপরে ছড়িয়ে দিন।
  • পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে ভাল করে বন্ধ করুন। প্রয়োজনে ময়দার গোলা দিয়ে ভাল করে সিল করে দিন।
  • এখন ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট এ ওভেন প্রিহিট করুন। পাত্রটি ওভেন এ দিন এবং ২০ মিনিট রান্না করুন। এরপর তাপমাত্রা কমিয়ে ৩৫০ ডিগ্রী করে দিন এবং ৪৫-৫০ মিনিট রান্না করুন।
  • এরপর ওভেন বন্ধ করে দিন এবং পাত্রটিকে আর ৩০ মিনিট ওভেন এর ভেতর এ রেখে দিন।
  • এখন সতর্কতার সাথে ঢাকনা খুলুন এবং ধীরে ধীরে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত বিরিয়ানি মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। 

সেমাই জর্দা

উপকরণ:


  • সেমাই-২০০ গ্রাম 
  • দুধ-১ কাপ
  • ডিম-২ টি
  • চিনি-১/২ কাপ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
  • ঘি -১/২ কাপ
  • এলাচ- ২ টি
  • দারুচিনি-১ টুকরা
  • তেজপাতা-১ টি
  • লবঙ্গ-২ টি
  • কিসমিস -১০/১২ টি
  • এলমণ্ড(Almond)কুঁচি -২টেবিল চামচ
  • পেস্তা বাদাম কুঁচি-১ টেবিল চামচ
  • লবন- ১/৪ চা চামচ
পদ্ধতি:
  • প্যানে মাঝারি আঁচে সেমাই হালকা বাদামি রঙ ধারন করা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। চুলা থেকে নামিয়ে একটি পাত্রে রাখুন।
  • একটি বাটিতে ডিম ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এর সাথে দুধ,চিনি এবং লবন মিশিয়ে আবারও ভাল করে ফেটিয়ে নিন।
  • প্যানে ঘি গরম করুন। গরম ঘি এ এলাচ,দারুচিনি,লবঙ্গ,তেজপাতা, কিসমিস, অর্ধেক almond এবং অর্ধেক পেস্তাবাদাম কুঁচি দিয়ে নাড়ুন। এখন এর মধ্যে সেমাই দিয়ে ১ মিনিট এর মত নাড়ুন।এরপর দুধ, ডিম, চিনি মেশানো মিশ্রণ টি ঢেলে দিন এবং নাড়ুন যেন দুধ এবং সেমাই ভাল ভাবে মিশে যায়। পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ১ মিনিট পর ঢাকনা খুলে আবার নাড়ুন।
  • ঘি উপরে উঠে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। বাকি almond এবং পেস্তা বাদাম কুঁচি উপরে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

    মাছ রসুনের ভর্তা

    পরিমান-৪-৫ জন 

    উপকরণ:
    • তেলাপিয়া ফিলে -২ টুকরা মাঝারি (আপনি অন্য কোন মাছের ফিলে বা কাঁটা ছাড়া মাছ ব্যবহার করতে পারেন)
    • রসুনের কোয়া-১২-১৫ টি(কুচি করা)
    • পেঁয়াজ-আধা কাপ(কুচি করা)
    • কাঁচা মরিচ-৫-৬ টুকরা অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী(আস্ত শুকনা মরিচ ভেজে গুড়া করেও ব্যবহার করতে পারেন)
    • হলুদ গুঁড়া-১/২ চা চামচ 
    • মরিচের গুড়া-১/২ চা চামচ 
    • ধনে পাতা-২ টেবিল চামচ(অপ্সনাল) 
    • সরিষার তেল- আনুমানিক ৩ তেবিল চামচ
    • লবন-১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী 
    পদ্ধতি:
    • মাছের ফিলেতে হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়া,১/২ চা চামচ লবণ ভাল করে মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। 
    • প্যান এ তেল গরম করুন। মাছের মাখিয়ে রাখা ফিলে দিন এবং উভয় পাশ বাদামি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। প্যান থেকে মাছ নামিয়ে অন্য একটি পাত্রে রাখুন।
    • প্যানের মধ্যে অবশিষ্ট তেলে কাটা পেঁয়াজ, রসুন, ১/২ চা চামচ লবণ এবং কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ এবং রসুন নরম হয়ে এলে ভাজা মাছ দিয়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন। মাছগুলোকে ভেঙে দিন।৩-৪ মিনিট ভাজুন। প্যান থেকে নামিয়ে পাত্রে রাখুন। ধনে পাতা কুচি দিয়ে হাত দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। পরিবেশনের জন্য ছোট ছোট বল তৈরি করে পরিবেশন করতে পারেন।

    ধন্যবাদ :
     ইসরাত জাহান (দিশা) 
    (Columbia, SC, USA)

    বাঁধাকপির নিরামিষ

    1
    ৬-৮ জনের পরিবেশন উপযোগী

    উপকরণ :
    • পাতলা করে কুচি করা বাঁধাকপি -অর্ধেক (আনুমানিক ৬-৮ )
    • মাঝারি আকারের আলু - ২ টা (ছিলে ছোট টুকরা করে নিন )
    • হলুদের গুঁড়া - ১ চা চামচ + ১/৪ চা চামচ
    • কাঁচা মরিচ- ৬-৭ টা বা আপনার পছন্দ অনুযায়ী (মাঝখানে চিরে নিন )
    • আস্ত লাল মরিচ-৪-৫ টা
    • জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
    • আদা বাটা - ১ চা চামচ
    • তেজপাতা- ২ টা  
    • পাঁচ ফোঁড়ন - ১ চা চামচ
    • চিনি - ১/২ চা চামচ (ইচ্ছা )
    • তেল - আনুমানিক ৬-৮ টেবিল চামচ 
    • লবন- ১ চা চামচ + ১/৪ চা চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী 
    পদ্ধতি :
    • একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করুন। আলুর টুকরাগুলো তেলে দিন এবং  ১/৪ চা চামচ ও ১/৪ চা চামচ লবন দিয়ে হালকা বাদামী করে ভেজে নিযে পাত্র থেকে উঠিয়ে একপাশে রাখুন।  
    • এখন পাত্রে বাকি তেলটুকু গরম করুন। গরম তেলে পাঁচ ফোঁড়ন দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। তারপর তেজপাতা, আস্ত লাল মরিচ দিয়ে হালকা ভেজে নিন।
    • এবার বাঁধাকপি কুচি এবং বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। মশলা বাঁধাকপির  সাথে ভালভাবে মিশে গেলে ভাজা আলুর টুকরা গুলো দিযে নাড়ুন। পাত্রটি ঢেকে দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫/২০ মিনিট অথবা সিদ্ধ না হহওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। 
    • রান্না হয়ে গেলে পাত্র থেকে নামানুর আগে চিনি ছিটিয়ে দিন।
    • গরম গরম সাদা ভাত, রুটি, পরোটা বা লুচির সাথে পরিবেশন করুন বাঁধাকপির নিরামিষ।

    দই বেগুন


    ৪ জনের পরিবেশন উপযোগী

    উপকরণ:
    • বড় বেগুন -১ টি (আনুমানিক ৪০০-৫০০ গ্রাম )
    • মরিচের গুঁড়া-১/৪ চা চামচ
    • হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ(ভাজার জন্য)+১/৪ চা চামচ
    • জিরার গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
    • ধনিয়া গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
    • আদা বাটা- ১/৪ চা চামচ
    • টক দই-২০০ গ্রাম
    • পেঁয়াজ বাটা-১ টেবিল চামচ
    • এলাচ -২ টি 
    • কাঁচা মরিচ -৪ টি 
    • চিনি - ১ চা চামচ 
    • লবন-১/২ চা চামচ (ভাজার জন্য )+১/২ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী 
    • তেল - বেগুন ভাজার জন্য + ৩ টেবিল চামচ 
    পদ্ধতি:
    • বেগুনটি গোল চাক চাক করে কেটে, ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। 
    • বেগুনের টুকরা গুলোতে ১/২ চা চামচ লবন এবং ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া ভাল করে মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।
    • প্যান এ তেল গরম করুন এবং বেগুনের টুকরা গুলো উভয় পাশ বাদামি না হওয়া পর্যন্ত ভাল করে ভাজুন। 
    • টক দই ভাল করে ফেটিয়ে রাখুন। পাত্রে ৩ টেবিল চামচ তেল গরম করুন। এলাচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। এরপর ১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়া, ১/২ চা চামচ লবন, মরিচের গুঁড়া, জিরার গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, আদা বাটা, পেঁয়াজ বাটা এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে সামান্য পানি দিন। 
    • পাত্রে তেল ভেসে উঠলে ফেটান টক দই, চিনি এবং ১/২ চা চামচ লবন দিয়ে অল্প আঁচে নাড়ুন। 
    • ভাজা বেগুনের টুকরো গুলো দিয়ে মশলার সাথে ভাল করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
    • অল্প আঁচে কয়েক মিনিট রান্না করুন। মাখা মাখা হলে নামিয়ে ফেলুন। 
    • পোলাও, বিরিয়ানি অথবা পরটার সাথে পরিবেশন করুন।

    কলার পিঠা

    উপকরণ:
    • পাকা কলা - ১ টা 
    • চালের গুড়া  - ৩/৪ কাপ 
    • আটা  - ২ টেবিল চামচ
    • ডিম -  ১ টা 
    • গুড়- ৫ টেবিল চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী (১/২ কাপ পানিতে ভেজানো)
    • চিনি - ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক )
    • লবন - ১/৪ চা  চামচ 
    • বেকিং পাউডার  - ১/৪ চা  চামচ
    • তেল  - ডুবো তেলে ভাজার জন্য
    পদ্ধতি:
    • পাকা কলা একটি পাত্রে নিয়ে ভর্তা করুন। গুড় মেশানো পানি, চালের গুড়া, আটা, লবন, বেকিং পাউডার ,কলার সাথে যোগ করুন এবং ভালোভাবে মেশান।
    • একটি পাত্রে ডিম নিন এন্ড ভালোভাবে ফেটান। তারপর ডিম কলার মিশ্রনের সাথে যোগ করুন।
    • সমস্ত উপাদান মিশিয়ে পিঠা তৈরি করুন এবং ১৫ মিনিট আলাদা করে রেখে দিন।
    • এখন একটি ফ্রাইং প্যানএ তেল গরম করুন।তেল গরম হলে এক চামচ পিঠা নিয়ে সাবধানে তেলে দিন এবং ভাজুন।একি ভাবে আরো ৩-৪ টা পিতা তেলে ভাজুন।
    •  
    • ভাজার সময় তাড়াহুড়া করবেন না, সেক্ষেত্রে পিঠার ভেতরে কাচা থেকে যেতে পারে।
    • পিঠার দুইপাশ সুন্দর বাদামী রঙ হলে তেল থেকে তুলে নিন এবং পেপার টাওয়েলের উপর রাখুন যাতে তেল শুষে যায়। 
    • বাকি পিঠাগুলু একিভাবে ভাজুন এবং পরিবেশন করুন।

    লাল শাক ভাজি

    উপকরনঃ
    • লাল শাক- ১ আঁটি 
    • পেঁয়াজ কুঁচি - ১ টি 
    • কাঁচা মরিচ - ৪-৫ টি অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী (ফালি করা) 
    • রসুন কুঁচি - ৫-৬ কোয়া
    • তেল - ৪-৫ টেবিল চামচ 
    • লবন - ১/২ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
    পদ্ধতি:
    • শাক ভাল করে পরিষ্কার করে ধুয়ে,কেটে,কাঁচা মরিচ এবং লবন দিয়ে  সিদ্ধ করে নিন । 
    • কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ এবং রসুন হালকা বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এখন শাক দিয়ে আরও ৩-৪ মিনিট অথবা পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ভাজুন। 
    • সাদা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। 

    নুডলসের পাকোড়া



    উপকরনঃ 

    • ম্যাগী অথবা রামেন নুডলস -  ১ প্যাকেট (৩ থেকে ৩.৫ আউন্স এর প্যাকেট ) 
    • পেঁয়াজ কুঁচি - ১/৪ কাপ 
    • টমেটো কুঁচি - ১/৪ কাপ
    • কাঁচা মরিচ কুঁচি - ২ টেবিল চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
    • ধনিয়া পাতা কুঁচি- ২ টেবিল চামচ(না হলেও চলবে)
    • ডিম- ১ টি(ফেটান )
    • বেকিং পাউডার - ১/৪ চা চামচ
    • ময়দা - আড়াই টেবিল চামচ 
    • লবন- ১/৪ চা চামচ
    • তেল - ডুবো তেলে ভাজার জন্য 
    ** আপনি আপনার পছন্দ মত যেকোনো সবজি যেমন গাজর,বাধাকপি, বরবটি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া চাইলে মাংসের কিমা অথবা চিংড়ি ও দিতে পারেন।  
    পদ্ধতি:
    • পাত্রে দেড় কাপ পানি ফুটান। পানি ফুটে উঠলে প্যাকেট এর নুডলস এবং মশলা দিয়ে দিন এবং ৩ মিনিট এর মত সিদ্ধ করুন। চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন।
    • সিদ্ধ করা নুডলস  একটি বাটিতে নিন। অতিরিক্ত পানি ফেলে দিন।
    •  নুডলসের সাথে ডিম, টমেটো কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ কুঁচি, ধনিয়া পাতা ,বেকিং পাউডার,লবন এবং ময়দা দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। যদি বেশি পানি পানি মনে হয় তাহলে আরও কিছু ময়দা দিন।
    • প্যানে তেল গরম করুন। তেল ভালভাবে গরম হলে ছোট ছোট বল করে তেলে ছাড়ুন। উভয় পাশ বাদামি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ধীরে ধীরে ভাজুন, তাড়াহুড়া করলে ভেতরে কাঁচা থেকে যেতে পারে। 
    • প্যান থেকে পাকোড়া তুলে কিচেন পেপার এ রেখে অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নিন। 
    • যেকোনো মজাদার কেচাপ এর সাথে পরিবেশন করুন। 

    খেজুরের হালুয়া

    উপকরনঃ
    • খেজুর - ৫০০ গ্রাম 
    • দুধ - ১/২ লিটার 
    • এলাচ - ৩ টি 
    • গুঁড়া দুধ - ১/২ কাপ 
    • ঘি - ১/৪ কাপ 
    • কিসমিস - ১৪-১৫ টি 
    • এলমণ্ড কুঁচি - ২-৩ টেবিল চামচ
    ** সাধারনত খেজুরের হালুয়ায় চিনি দেয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আপনি যদি বেশী মিষ্টি চান তাহলে আপনার স্বাদ অনুযায়ী চিনি দিতে পারেন। 
    পদ্ধতি:
    • খেজুর থেকে বীজ ফেলে ৩০ মিনিট দুধে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ব্লেন্ডার এ দিয়ে পেস্ট করুন।
    • প্যানে মাঝারি আঁচে ঘি গরম করে এলাচ দিন। এরপর খেজুরের পেস্ট দিয়ে নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে গুঁড়া দুধ দিন। 
    • ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে ঘি ভেসে উঠলে নামিয়ে ফেলুন।  
    • বাদাম এবং কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। 

    বেগুন আলুতে কুমড়ো বড়ি

    উপকরনঃ
    • বেগুন-১ টি মাঝারি ( চারকোনা করে কাটুন ) 
    • কুমড়ো বড়ি- ১২- ১৫ টি
    • আলু - ১ টি মাঝারি ( ছোট টুকরা করা )
    • পেঁয়াজ বাটা - ৩ টেবিল চামচ
    • লাল মরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
    • হলুদের গুঁড়া- ৩/৪ চা চামচ
    • জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
    • রসুন বাটা - ১ চা চামচ
    • আদা বাটা -১ চা চামচ
    • তেল - ৪ টেবিল চামচ + ২ টেবিল চামচ
    • লবন- ১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
    পদ্ধতি:
    • প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে কুমড়ো বড়ি বাদামি করে ভেজে তুলুন। 
    • পাত্রে ৪ টেবিল চামচ তেল গরম করুন। সমস্ত গুঁড়া এবং বাটা মশলা দিন। লবন দিয়ে ভাল করে নেড়ে মশলা কষিয়ে নিন। আনুমানিক ৩/৪ কাপ পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে বেগুন,আলু এবং কুমড়ো বড়ি দিন। পানি শুকিয়ে গেলে ভাল করে কষিয়ে নিন। এরপর ২ কাপ এর মত পানি দিয়ে ঢেকে দিন।
    • সবজি সিদ্ধ এবং ঝোল ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। 
    • সাদা ভাত অথবা রুটির সাথে পরিবেশন করুন। 

    স্ট্রবেরি স্মুদি



    উপকরণ :

    • স্ট্রবেরি - ৪ টুকরা (মাঝারি আকারের)
    • ভেনিলা  আইসক্রীম- ৩ স্কুপ 
    • মিস্টি দই  - ২ টেবিল চামচ
    • হেভি হুইপিং ক্রিম - ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা )
    • চিনি- ২ চা চামচ  বা স্বাদ অনুযায়ী 
    • ঠান্ডা পানি- ১/৪ কাপ (চাইলে দুধও দেওয়া যায়।)
    • বরফ কুচি- ২ টুকরা 

    পদ্ধতি :

    • স্ট্রবেরি ভালোভাবে ধুয়ে দুই টুকরা করে কেটে নিন।
    • সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারের কাপে নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
    • বরফ কুচি দিয়ে স্মুদি পরিবেশন করুন। 

    - Copyright © টক ঝাল মিষ্টি - Powered by Blogger - Thanks to Johanes Djogan -