Archive for December 2013
মচমচে ফুলকপি
উপকরনঃ
- ফুলকপির ফুল- ১০-১২ টা (১ ইঞ্চি করে কাটা)
- চালের গুঁড়া - ৪ টেবিল চামচ
- কর্ণফ্লাওয়ার - ১ টেবিল চামচ
- জিরা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১/ ২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
- ডিম - ১ টা
- সয়া সস- ১ চা চামচ
- চিনি - ১/২ চা চামচ
- লবণ - ১/২ চা চামচ + ১ চা চামচ
- পানি - ৩ টেবিল চা চামচ (ব্যাটার বানানোর জন্য)
- তেল- ডুবো তেলে ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ
- একটি বাটিতে চালের গুঁড়া, কর্ণফ্লাওয়ার, জিরা গুঁড়া, লাল মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, ১/২ চা চামচ লবণ ও চিনি নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে রাখুন।
- অন্য একটি বাটিতে ডিম বিট করে তাতে সয়া সস ও পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
- এবার ডিমের মিশ্রনটি চালের গুঁড়ার মিশ্রনের সাথে দিয়ে ব্যাটার বানিয়ে নিন এবং ১০-১২ মিনিট রেখে দিন।
- একটি পাত্রে পানি ও ১ চা চামচ লবণ দিয়ে ফুটাতে দিন। পানি ফুটে উঠলে তাতে ফুলগুলো দিয়ে দিন এবং ৫-৬ মিনিট বা ফুল হাল্কা নরম না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করুন।তারপর ছাকনিতে ফুলগুলো পানি ঝরিয়ে রাখুন।
- এবার প্যানে ভাজার জন্য তেল গরম করুন। তেল গরম হলে একটি ফুল ব্যাটারে ডুবিয়ে সাবধানে তেলে ছাড়ুন। সব পাশ হাল্কা বাদামী করে ভেজে তুলুন। (ভাজার সময় তাড়াহুড়া করবেন না, তাহলে মচমচে হয়ে উঠবে না) ভাজা হয়ে গেলে পেপার টাওয়েলে বা টিস্যুতে তুলে নিন। এভাবে সব ফুলগুলো ভেজে গরম গরম নাস্তায় অথবা খিচুড়ির সাথে পরিবেশন করুন।
ফ্রাইড রাইস
উপকরণ :
- বাসমতি চাল - ২ কাপ
- চিংড়ি (মাঝারি)-১০/১২ টি
- পেঁয়াজ (কিউব করে কাটা )- ১/২ কাপ
- ডিম -৩টি (ফেটানো)
- আদা বাটা - ২ চা চামচ
- রসুন বাটা -২ চা চামচ
- গাজর (কিউব করে কাটা)-১/২ কাপ (optional)
- বরবটি (ছোট করে কাটা )-১/২ কাপ (optional)
- ফুলকপি (কিউব করে কাটা)-১/২ কাপ(optional)
- মটরশুটি -১/২ কাপ (optional)
- সুইট কর্ণ -১/২ কাপ (optional)
- কাঁচা মরিচ - ২/৩ টি
- টেস্টিং সল্ট -১/২ চা চামচ
- লবন - ২ চা চামচ বা আপনার স্বাদ মত
- সয়া সস - ঢেড় টেবিল চামচ
- তেল - ১/৪ কাপ
- একটি প্যানে ৩ কাপ পানি সিদ্ধ কারে করে তাতে সব সবজি ও এক চিমটি লবন দিয়ে ৩-৪ মিনিট সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখুন। চাল ধুয়ে ৫-৬ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ করা ভাতের পানি ফেলে দিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে পানি ভাল করে ঝরিয়ে নিন।
- প্যান এ ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে ফেটানো ডিম দিয়ে ডিমের ঝুরি তৈরী করে তুলে রাখুন।
- এবার বাকি তেল মাঝারি আঁচে গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে নাড়তে থাকুন পেঁয়াজ নরম না হওয়া পর্যন্ত। তারপর তাতে আদা বাটা, রসুন বাটা ও চিংড়ি দিয়ে ২ মিনিট নাড়ুন। তারপর সব সবজি , কাঁচা মরিচ, লবন, টেস্টিং সল্ট , সয়া সস দিয়ে প্রায় ২ মিনিট এর মত নাড়ুন।
- এরপর ভাত ও ডিমের ঝুরি দিয়ে সবজির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- প্যান ঢেকে দিয়ে ১৫/২০ মিনিট অল্প আঁচে রাখুন। পুনরায় নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে উপভোগ করুন সুস্বাদু ফ্রাইড রাইস।
সবজি বিরিয়ানি
উপকরণ:
- বাসমতি চাল- ৩ কাপ
- বেবী কর্ণ - ১/২ কাপ
- ফুলকপি - ১/২ কাপ
- বরবটি -১/২ কাপ
- গাজর- ১/২ কাপ
- মটরশুঁটি - ১/২ কাপ
- ধনেপাতা কুচি - ১/২ কাপ
- কাজু বাদাম - ১০ টা
- টক দই - ২ টেবিল চামচ
- টমেটো - ১ (ব্লেন্ড করে রাখুন)
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
- ধনিয়া গুঁড়া ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ
- আদা বাটা- ১ চা চামচ
- পেঁয়াজ বাটা - ১ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ
- কাঁচামরিচ - ৫-৬ টা
- তেল / ঘি - ৩/৪ কাপ (ঘি হলে ভাল হয়)
- আলু বোখারা - ৫-৬ টা
- লবণ - ১ ও ১/২ চা চামচ
- আস্ত গরম মসলা (এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ) - ৪ টুকরা
- তেজপাতা - ২ টুকরা
- জাফরান - ১ চিমটি
পদ্ধতি:
- সব সব্জি ভাল করে ধুয়ে কিউব করে কেটে নিন। এবার ১/২ চা চামচ লবণ ও হলুদ দিয়ে সব্জিগুলো অল্প ঘিতে হাল্কা করে ভেজে একটি প্লেটে তুলে রাখুন।
- এবার চাল ধুয়ে ছাকনিতে পানি ঝরাতে দিন। একটি বড় পাত্রে ৬ কাপ পানি ফুটান। পানি ফুটতে শুরু করলে ধুয়ে রাখা চাল দিয়ে দিন। ১/২ চা চামচ লবণ ও সব আস্ত মসলাগুলো দিয়ে ভাত ফুটিয়ে নিন। (ভাত ৮০% মত হওয়াতে হবে) তারপর ভাত ছাকনিতে নিয়ে পানি ঝরাতে রাখুন।
- যেই পাত্রে বিরিয়ানি করবেন তাতে ঘি/তেল গরম করে পেঁয়াজ বাদামী করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে অর্ধেক ভাজা পেঁয়াজ একটি প্লেটে তুলে রাখুন।
- বাকি পেঁয়াজের মাঝে সব বাটা মসলা, গুঁড়া মসলা, ব্লেন্ড টমেটো ও লবন দিয়ে ভাল করে তেল আলাদা হয়ে আসা পর্যন্ত কষান। তারপর টক দই দিয়ে মসলার (টিপস) সাথে ভাল করে মিশান।
- এবার কাজু বাদাম ও ভাজা সব্জিগুলো দিয়ে আস্তে আস্তে মসলার সাথে ভাল করে মিশান। অল্প পানি দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিয়ে ৫-৬ মিনিট বা সবজি হাল্কা নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। তারপর অর্ধেক ধনেপাতা কুচি দিয়ে আরও ১ মিনিট কম আঁচে রান্না করুন।
- বিরিয়ানি লেয়ার করে দমে দেয়ার জন্য, অর্ধেক সব্জি পাত্র থেকে উঠিয়ে রাখুন। প্রথমে পাত্রের অর্ধেক সব্জির উপর অর্ধেক রান্না করে রাখা ভাত দিন। কাঁচামরিচ, আলুবোখারা, বাকি ধনেপাতাকুচি ও ভাজা পেঁয়াজগুলো ভাতের উপর বিছিয়ে দিন। তারপর বাকি সব্জিগুলো দিয়ে তার উপর সব ভাত দিয়ে দিন।
- জাফরান ১ চা/ চামচ পানিতে মিশিয়ে ভাতের উপর ছিটিয়ে দিন। তারপর পাত্রের ঢাকনা ভাল করে আটকিয়ে দিন যেন ভাপ বের হতে না পারে। খুব অল্প আঁচে আনুমানিক ১০ মিনিট মত বিরিয়ানি দমে দিন।
- বিরিয়ানি হয়ে গেলে, পরিবেশন করার আগে ঢাকনা খুলে আস্তে আস্তে সব্জি ও ভাত নিচ থেকে উপর পর্যন্ত ভাল করে করে মিশিয়ে নিন। কাবাব বা ডিমের কোরমা অথবা আপনার পছন্দের যে কোনো কিছু দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সব্জি বিরিয়ানি।
টিপস:
যেকোনো রকম গরম মসলাতে টক দই দেয়ার আগে তা একটি আলাদা পাত্রে নিয়ে কাঁটাচামচ দিয়ে ভালকরে বিট করে নিন। তাহলে এটা মসলাতে সুন্দরভাবে মিশে যাবে এবং দানা-দানা হয়ে থাকবে না।
যেকোনো রকম গরম মসলাতে টক দই দেয়ার আগে তা একটি আলাদা পাত্রে নিয়ে কাঁটাচামচ দিয়ে ভালকরে বিট করে নিন। তাহলে এটা মসলাতে সুন্দরভাবে মিশে যাবে এবং দানা-দানা হয়ে থাকবে না।
মুরগীর রোষ্ট
উপকরণ :
- রোস্টের মুরগি- ১ টি ( ৬০০ গ্রাম)
- পেয়াজ- দেড় কাপ (কুঁচি করা)
- পেয়াজ বাটা -১ চা চামচ
- টক দই - ৩ চা চামচ
- আদা বাটা-১ চা চামচ
- রসুন বাটা-১ চা চামচ
- জিরার গুড়া- ১ চা চামচ
- ধনিয়া গুড়া -১ চা চামচ
- জয়ত্রী গুড়া -১/২ চা চামচ এর কম
- এলাচ - ৪-৫ টি
- দারচিনি -৩ টি
- কাঁচা মরিচ -৬ টি
- চিনি -১ চা চামচ
- লবন- ১ চা চামচ বা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
- তেল -দেড় কাপ
পদ্ধতিঃ
- মুরগী ৪ টুকরা করে কেটে ধুয়ে নিয়ে তাতে সব গুঁড়া এবং বাটা উপকরন,লবন এবং টক দই দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
- পাত্রে ১ কাপ তেল গরম করে মুরগি হাল্কা করে ভেজে তুলে রাখুন।
- ১/২ কাপ তেল গরম করে তাতে কাটা পেয়াজ, দারচিনি, এলাচ দিয়ে বাদামি না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন এরপর বাকি বাটা মশলা দিয়ে কষিয়ে নিন। তারপর ভাজা চিকেন দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত তেল ভেসে না উঠে।
- এক কাপ পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। ৫ মিনিট পর চিনি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করতে থাকুন ঝোল ঘন হওয়া পর্যন্ত ।
- চুলা থেকে নামিয়ে পোলাও এর সাথে পরিবেশন করুন ।.
পালং-পুটি
উপকরনঃ
পদ্ধতিঃ
- পালং শাক- ৫০০ গ্রাম
- পুটিমাছ- ৩০০ গ্রাম
- কাঁচামরিচ - ৮/৯ টুকরা
- রসুনকুচি- ১ কোয়া
- পেঁয়াজকুচি- ১/৪ কাপ
- তেল- ৪ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
- লবণ- ১/৪ চা চামচ বা স্বাদমত
পদ্ধতিঃ
- পালং শাক ধুয়ে কেটে নিন। মাছগুলো ভাল করে ধুয়ে হলুদ, মরিচ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন।
- একটি প্যানে শাক, কাঁচামরিচ, অর্ধেক রসুনকুচি ও অর্ধেক পেঁয়াজকুচি নিন এবং ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে চুলায় দিন। মাঝে মঝে নেড়ে দিন। শাক কিছুটা নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করে একটি প্লেটে উঠিয়ে রাখুন।
- এবার প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে মাখানো মাছগুলো দিয়ে দিন এবং এক মিনিট করে উভয় পাশ ভাজুন। মাছ ভাজা হয়ে গেলে প্লেটে তুলে রাখুন।
- প্যানে বাকি তেলটুকু দিয়ে রসুনকুচি দিন এবং ১৫ সেকেন্ডমত ভাজুন। তারপর পেয়াজকুচি দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন।
- পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে ভাজা মাছ ও শাক দিয়ে সাবধানে মিশিয়ে নিন। এবার অল্প পানি দিয়ে প্যানটি ঢেকে দিয়ে ৩-৪ মিনিটমত রান্না করুন।
- রান্না হয়ে গেলে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন পালং-পুটি।
ডালপুরি
উপকরনঃ
পুরের জন্যঃ
ভাজার জন্য:পুরের জন্যঃ
- মসুর ডাল - ১/৪ কাপ
- হলুদ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
- জিরার গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া/ ভাঙ্গা লাল মরিচ- ১ চা চামচ
- তেল - ১/২ টেবিল চা চামচ
- লবন - ১/৪ চা চামচ অথবা স্বাদমত
- পেঁয়াজকুচি - ১ টেবিল চামচ
- ময়দা - ১ কাপ
- তেল- ২ টেবিল চামচ
- লবন- ১/৪ চা চামচ অথবা স্বাদমত
- কুসুম গরম পানি- পরিমানমত
- তেল - ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি দিন এবং নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে পুরের বাকি সব উপকরন দিয়ে কিছুক্ষন ভেজে ১ কাপ মত পানি দিন এবং ডাল সিদ্ধ হয়ে শুকনো হয়ে উঠা পর্যন্ত মাঝারি আঁচে রান্না করুন। (খেয়াল রাখবেন ডালে যেন কোনো পানি না থাকে) ডাল হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে একপাশে রাখুন।
- এবার একটি বাটিতে ময়দা ও লবণ নিয়ে মিশান। তারপর ২ টেবিল চা চমচ তেল দিয়ে ভাল করে মিশান যেন তেল ময়দার সাথে ভালভাবে মিশে যায়। মিশানো হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ময়দা মিশাতে থাকুন খামি হয়ে উঠা পর্যন্ত। খামি ভালভাবে মাখাতে হবে যেন তেল-তেলে হয়ে উঠে।
- খামি থেকে ছোট ছোট আকারের বল বানিয়ে রাখুন। এবার একটি বল নিয়ে হাত দিয়ে এমনভাবে চেপ্টা করুন যেন মাঝের অংশটা সাইড থেকে একটু মোটা থাকে। তারপর বলের অর্ধেকের চেয়ে একটু কম করে ডালের পুর মাঝে দিন এবং সাইডগুলো সব একত্র করে মুড়ে দিন যেন পুরটুকু বলের ভিতরে থাকে। (লক্ষ্য রাখবেন যেন বলের মাঝে কোনো বাতাস না থাকে।) এভাবে সব বলগুলোর ভিতরে পুর ভরে রাখুন।
- রুটি বেলার পিঁড়িতে একটি বল নিয়ে সাবধানে ডালপুরি পুরু করে বেলে নিন(বেলার সময় হাল্কা ময়দা ব্যবহার করতে পারেন) এভাবে সব ডালপুরিগুলো বেলে রাখুন।
- কড়াইয়ে ভাজার জন্য মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে উঠলে সাবধানে একটি পুরি তেলে ছাড়ুন। খুন্তি দিয়ে পুরিটি আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে নাড়তে থাকুন ফুলে না উঠা পর্যন্ত। পুরি ফুলে উঠালে অপর পাশে উল্টিয়ে দিন এবং হাল্কা বাদামী রঙ করে ভেজে তুলুন। ভাজা হয়ে গেলে একটি টিস্যু বা পেপার টাওয়েলে উঠিয়ে নিন।
- বাকিডালপুরিগুলো এভাবে ভেজে গরম গরম সস বা কেচাপ দিয়ে পরিবেশন করুন।
আপেলের আচার
উপকরনঃ
- আপেল - ৩ টা
- আস্ত লাল মরিচ- ৬/৭ টা
- ভিনেগার- ৩/৪ কাপ
- চিনি- ১ কাপ বা স্বাদমত
- এলাচ- ৩ টা
- দারচিনি- ২টা
- তেজপাতা- ২ টা
- আদাকুচি - ১ টেবিল চামচ
- লবন- ১/২ চা চামচ বা স্বাদমত
- আপেল ভাল করে ধুয়ে মুছে নিন। তারপর প্রতিটি আপেল ৮ টুকরা করে কেটে রাখুন।
- আচারে ঝাল চাইলে আস্ত মরিচগুলো হাল্কা টেলে নিয়ে কয়েকটুকরা করে রাখুন।
- এবার একটি পাত্রে (ভারি তলাযুক্ত পাত্র হলে ভাল হয়) আপেল, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা, আদাকুচি ও লবন দিয়ে কম আঁচে চুলায় দিন। ঢাকনা দিয়ে আপেল কিছুটা নরম হয়ে উঠা পর্যন্ত রান্না করুন।
- আপেল নরম হয়ে উঠলে ভিনেগার দিয়ে দিন এবং ৫-৬ মিনিট রান্না করুন। তারপর চিনি, মরিচের টুকরাগুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন এবং মাঝারি আঁচে চুলায় রাখুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যেন নিচে লেগে না যায়।
- আচারের পানি শুকিয়ে ঘন হয়ে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিন।
- ঠান্ডা করে শুকনো বয়ামে উঠিয়ে নিন এবং পরিবেশন করুন খিচুড়ি, পোলাউ বা বিরিয়ানির সাথে।
বেগুনের টক ভাজি
উপকরনঃ
ইশিতা রহমান
(Columbia, SC, USA)
- বেগুন - ২০০ গ্রাম
- অ্যাপেল চাইডার ভিনেগার/ সাদা ভিনেগার - ২ চা চামচ
- সয়া সস - ২ চা চামচ
- ব্রাউন সুগার - ২ চা চামচ (চাইলে চিনিও ব্যবহার করতে পারেন)
- আস্ত লাল মরিচ - ৪ টা
- পেঁয়াজকুচি - ১/৪ কাপ
- রসুনকুচি - ১ টেবিল চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- লবন - ১/ চা চামচ অথবা স্বাদমত
- তেল - ৫ টেবিল চামচ
- বেগুন ভাল করে ধুয়ে কিউব করে কেটে নিন। একটি বাটিতে ভিনেগার, সয়া সস, গোলমরিচ ও লবন মিশিয়ে একপাশে রাখুন।
- একটি প্যানে ৩ টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে বেগুনের টুকরাগুলো দিন এবং হাল্কা নরম করে ভেজে পাত্রে তুলে রাখুন।
- এবার প্যানে বাকি তেল দিন। তেল গরম হলে আস্ত লাল মরিচগুলো (ঝাল করতে চাইলে মরিচ ভেঙ্গে টুকরা করে দিতে পারেন)দিয়ে ৫ সেকেন্ড মত ভাজুন। তারপর পেঁয়াজকুচি ও রসুনকুচি দিয়ে নরম হয়ে উঠা পর্যন্ত ভাজুন।
- পেঁয়াজ ভাজা হলে বেগুনগুলো দিন এবং ভিনেগারের মিশ্রনটা দিয়ে ভাল করে মিশান। এবার ঢেকে দিয়ে ৮-১০ মিনিট কম আঁচে রান্না করুন।
- বেগুন নরম হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। পোলাউ, খিচুড়ি অথবা বিরিয়ানির সাথে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের বেগুন ভাজি।
ইশিতা রহমান
(Columbia, SC, USA)
বেগুন ভর্তা
উপকরণঃ
- আস্ত বেগুন - ১ টা (৪০০ গ্রাম)
- সরিষার তেল - ১ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ কুচি - ১/৪ কাপ
- কাঁচামরিচ - ৪-৫ টা (কুচি করে দিতে পারেন অথবা হাল্কা করে টেলে নিয়ে ভর্তা করে দিতে পারেন)
- ধনিয়াপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
- লবণ- ১ চা চামচ অথবা পছন্দমত
- বেগুন নরম হওয়া পর্যন্ত পুড়িয়ে নিন। বিভিন্ন উপায়ে বেগুন পুড়াতে পারেনঃ
- সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে চুলার উপর আগুনে পুড়ানো। বেগুনটা ধুয়ে আগুনের উপর দিয়ে ভাল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চারপাশে পুড়িয়ে নিন।
- ওভেনের ব্রয়লারে দিয়েও বেগুন পুড়াতে পারেন। এজন্য প্রথমে বেগুনের গায়ে ভাল করে তেল ব্রাশ করে নিন। তারপর ফয়েল দিয়ে মুড়িয়ে ৪০-৫০ মিনিট বা নরম হওয়া পর্যন্ত ব্রয়ল করুন।
- আপনি চাইলে বেক করেও বেগুন পুড়াতে পারেন। প্রথমে কাঁটাচামচ দিয়ে বেগুনের গায়ে ভাল করে কেঁচে দিন। তারপর প্রিহিট ওভেনে ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নরম হওয়া পর্যন্ত বেক করুন।
- এই রেসিপির জন্য আমরা বেগুন ব্রয়লারে দিয়ে পুড়িয়েছি। (নিচের ছবিতে পুরো প্রণালী দেখুন।)
- বেগুন পুড়া হয়ে গেলে ওভেন বন্ধ করে বেগুনটা ঠান্ডা হতে দিন। তারপর মাংসল অংশ থেকে চামড়া আস্তে আস্তে ছাড়িয়ে নিয়ে ভাল করে ভর্তা করে নিন।
- তারপর পেঁয়াজকুচি, মরিচকুচি, লবন ও ধনিয়াপাতাকুচি ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
বাস্বুসা
উপকরনঃ
পদ্ধতিঃ
কেকের জন্যঃ
| চিনির সিরার জন্যঃ
|
- বাটিতে বাটার/ঘি গলিয়ে নিন। তাতে দুধ/ টক দই ও চিনি দিয়ে ভালকরে মিশান। অন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিয়ে দুধের মিশ্রনে মিশিয়ে নিন।
- সুজি, বেকিং পাউডার, জয়ফল গুঁড়া, এলাচ গুঁড়া অন্য একটি শুকনা বাটিতে নিয়ে ভালকরে মিশান যেন বেকিং পাউডার সব জায়গায় মিশে যায়।
- এবার সুজির মিশ্রনটি ডিম-দুধের মিশ্রনের সাথে ভালকরে মিশিয়ে নিন যেন দলা হয়ে না থাকে।
- বেকিং ট্রেতে ঘি/ তেল ব্রাশ করে মিশ্রনটি ঢেলে দিন এবং চামচ দিয়ে উপরটা সমান করে দিন। এবার ট্রেটি ফ্রিজে ১-২ ঘন্টা রেখে দিন।
- এই সময়ের মাঝে পাত্রে চিনি, পানি ও লেবুর রস দিয়ে সিরা ফুটাতে দিন। ফুটে উঠলে মধু দিয়ে মাঝারি আঁচে প্রায় ১০ মিনিট মত সিদ্ধ করুন। তারপর চুলা বন্ধ করে সিরা ঠান্ডা হতে দিন।
- ট্রে ফ্রিজ থেকে বের করে পছন্দমত আকারে কেটে দিন এবং প্রতিটি টুকরার উপর বাদাম বসিয়ে নিন।
- ওভেন ৩৫০° ফা/১৯০°সে এ প্রিহিট করে ট্রেটি ওভনে দিয়ে দিন এবং ৪০ মিনিট মত বেক করুন। ২৫-৩০ মিনিট পর থেকে কেকটি চেক করুন যেন পুড়ে না যায়।
- কেক হয়ে গেলে ওভেন থেকে বের করে সাবধানে চিনি সিরা কেকের উপর ঢেলে দিন এবং আবার ওভেনে দিয়ে আরও ১৫ মিনিট বেক করুন।
- আগের কেটে দেওয়া আকারে আবার কেটে দিন এবং ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন বাস্বুসা।
দুধ পুলি
উপকরণ:
- নারিকেল (কোরানো) -১ কাপ + ২ টেবিল চামচ
- গুড় - ১ কাপ+ ১/৪ কাপ (টিপস)
- দুধ - ১ লিটার
- এলমন্ড (ছোট করে কাটা) - ২-৩ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
- চালের গুড়া - ১ কাপ (চাইলে ময়দা ব্যবহার করতে পারেন)
- পানি- ১ কাপ
- এলাচ গুড়া - ১/২ চা চামচ (ইচ্ছা)
- লবন - ১/২ চা চামচ
- একটি মাঝারি পাত্রে দুধ ফুটিয়ে ঠান্ডা হতে রাখুন।
- অন্য একটি পাত্রে নারিকেল ও ১/৪ কাপ গুড় নিয়ে মাঝারি আঁচে চুলায় দিন। নারিকেল ও গুড়ের মিশ্রনটি ভালভাবে মিশে শুকনা হয়ে উঠা পর্যন্ত আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন।
- পিঠার খামি করার জন্য অন্য একটি পাত্রে ১ কাপ পানি ও লবন দিয়ে ফুটাতে দিন (ভারি তলাযুক্ত পাত্র হলে ভাল হয়।) পানি ফুটে উটলে আস্তে আস্তে চালের গুড়া দিয়ে নাড়তে থাকুন। চালের গুড়া ও পানি মিশে খামি হয়ে উঠা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এবার খামিটি প্লেটে নিয়ে ভালভাবে মাখুন যেন নরম, মসৃণ হয়ে উঠে এবং আঠালো না থাকে।
- এবার মাখানো খামি থেকে ৩২-৩৫ টা ছোট বল বানিয়ে নিন। একটি বল নিয়ে ছোট রুটি বেলুন। এবার রুটির মাঝে অল্প নারিকেল-গুড়ের মিশ্রন দিয়ে অর্ধচন্দ্রাকারে পুলি পিঠার মুখ ভাল করে আটকিয়ে দিন। (ছবিতে দেখুন) এভাবে অন্য বলগুলো দিয়ে পুলি পিঠা বানিয়ে রাখুন।
- এখন ১ কাপ গুড় ও ২ টেবিল চামচ নারিকেল ঠান্ডা করে রাখা দুধের সাথে মিশিয়ে আবার মাঝারি আঁচে ৫ মিনিট মত ফুটাতে দিন (টিপস)। ইচ্ছা হলে একটু এলাচের গুড়া দিন।
- দুধ ফুটে উঠলে আস্তে আস্তে পুলি পিঠাগুলো দুধের মাঝে দিয়ে দিন। তারপর পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে আরও ১০ মিনিট মত সিদ্ধ করুন। মাঝে মাঝে দুধ নেড়ে দিন যেন নিচে পুড়ে না যায়। চুলার আঁচ একদম কম করে আরও ৫ মিনিট মত পিঠাগুলো চুলায় রাখুন।
- এবার ঠান্ডা করে পাত্রে ঢেলে পরিবেশন করুন মজাদার দুধপুলি।
টিপস:
***গুড়ে পরিবর্তে চিনিও ব্যবহার করা যায়।
***গরম দুধের মাঝে গুড় দিলে দুধ ছানা কেটে যেতে পারে। তাই দুধ ঠান্ডা করে গুড় মিশান।
***গুড়ে পরিবর্তে চিনিও ব্যবহার করা যায়।
***গরম দুধের মাঝে গুড় দিলে দুধ ছানা কেটে যেতে পারে। তাই দুধ ঠান্ডা করে গুড় মিশান।