Archive for June 2011
ডিমের পানতোয়া পিঠা
উপকরণঃ
- ডিম- ২ টি
- ময়দা- ২ কাপ
- চিনি- ২ এবং ১/২ টেবিল চামচ
- পানি-১ এবং ৩/৪ কাপ
- লবন-১/৪ চা চামচ
- তেল-১ টেবিল চামচ ডিম পোঁচ এর জন্য + ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- ময়দা, চিনি ও লবন একটি বাটিতে নিয়ে পানি দিয়ে মিশ্রন তৈরী করে একপাশে রাখুন।
- প্যানে ১ চা চামচ তেল গরম করে ডিম পোঁচ করুন। লক্ষ্য রাখবেন ডিমের কুসুম যেন নরম না থাকে।
- এবার ডুবো তেলে ভাজার জন্য মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তৈরি করা মিশ্রণের মধ্যে পোঁচ করা ডিম ডুবিয়ে গরম তেলের মধ্যে দিয়ে দুই পাশ হাল্কা বাদামি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
- ভাজা হয়ে গেলে তেল থেকে উঠিয়ে পেপার টাওয়েল এর উপর রাখুন অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য। তারপর এটিকে আবার মিশ্রণ এর মধ্যে ডুবিয়ে তেলে ভাজুন। এইভাবে ৪-৫ বার মত ভাজুন।
- ভাজা শেষে ছুরি দিয়ে কেটে পরিবেশন করুন মজাদার ডিমের পানতোয়া পিঠা।
দুধ লাউ
উপকরণ:
- লাউ (ঝুরি করা)- ২ কাপ
- দুধ - ২ লিটার
- চিনি - ১ কাপ বা আপনার স্বাদ মতো
- এলাচ গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- ঘি - ২ টেবিল চামচ
- এলমন্ড (কুচি করা) - ৩ চা চামচ (সাজানোর জন্য)
- লাউ এর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে ভালোভাবে ঝুরি করে নিন।
- একটি পাত্রে ৫-৬ কাপ পরিমাণ পানি ফুটিয়ে তাতে ঝুরি করা লাউ দিয়ে ৭-৮ মিনিট মাঝারি আঁচে ফুটিয়ে ছাকনিতে ঢেলে পানি ঝরিয়ে নিন ।
- পাত্রে ঘি গরম করে তাতে লাউ দিয়ে ১০ মিনিট ভেজে নামিয়ে রাখুন ।
- আর একটি পাত্রে দুধ সিদ্ধ হয়ে কমে অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যেন নিচে পুড়ে না যায়।
- তারপর চিনি ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে প্রায় ১০ মিনিট এর মতো নাড়ুন।
- এবার তাতে ভাজা লাউ দিয়ে আরও ১০-১৫ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন।
- রান্না শেষে প্যান থেকে পরিবেশন পাত্রে নামিয়ে কুচি করা এলমণ্ড দুধ লাউ এর উপর ছড়িয়ে দিন এবং ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
পাকান পিঠা
উপকরনঃ
|
- চালের গুঁড়া, ময়দা, চিনি, লবণ, বেকিং পাউডার বাটিতে নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
- কলা ছিলে ভাল করে ভর্তা করে নিন। তাতে শুকনা মিশ্রণ থেকে অল্প অল্প দিয়ে মাখাতে থাকুন এবং পানি দিয়ে খামি করতে থাকুন। খামি খুব ভাল করে মাখিয়ে ১/ ২ ঘন্টা মত ঢেকে রাখুন।
- এবার খামি থেকে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন। প্লেটে তেল মাখিয়ে তাতে বল রেখে আঙ্গুল দিয়ে চেপে চেপে পাতলা ডিম্বাকারের পিঠা বানিয়ে নিন। (ছবির মত করে)
- প্যানে তেল গরম করুন। তেল ভালভাবে গরম হলে একটি পিঠা দিন। পিঠা কয়েক সেকেন্ড তেলের নিচে থেকে ফুলে উঠলে উল্টিয়ে দিন এবং আরও কয়েক সেকেন্ড ভেজে পেপার টাওয়েল বা টিস্যুতে উঠিয়ে নিন। (পিঠা খুব বেশিক্ষন ভাজবেন না তাহলে শক্ত হয়ে যেতে পারে)
- এভাবে বাকি পিঠাগুলো ভেজে নিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন। (টিপস)


টিপসঃ
পিঠা ঠান্ডা হয়ে গেলে শক্ত হয়ে যেতে পারে। একটি সসপ্যানে ফুটন্ত পানির উপর স্টিমার বা একটি ছাকনি বসিয়ে দিন। তাতে পিঠাগুলো রেখে ঢাকনা দিয়ে ৫-৮ মিনিট স্টিম করে নিয়ে পিঠা পরিবেশন করুন।

বুন্দিয়ার লাড্ডু
উপকরনঃ
পদ্ধতিঃ
- বেসন- ১ কাপ
- ঘি/ তেল/ গলিত মাখন- ১ টেবিল চামচ
- পানি - ১/২ কাপ
- কমলা / লাল খাবারের রঙ - ১/৪ চা চামচ
- তেল- ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- চিনি - দেড় কাপ
- পানি - ১ কাপ
- এলাচ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ(ঐচ্ছিক)
- বুন্দিয়া বানানোর চামচ (ছিদ্র বিশিষ্ট এক প্রকারের সমতল চামচ )
![]() |
বুন্দিয়া বানানোর চামচ |
- একটি বাটিতে বেসন, ঘি এবং পানি নিয়ে ভাল ভাবে মেশান যেন মিশ্রনে কোন দানা না থাকে।
- এখন অর্ধেক মিশ্রন অন্য একটি বাটিতে নিন এবং একটি বাটির মিশ্রনে খাবারের রং মেশান। এবার মিশ্রন দুইটি ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
- এখন একটি প্যানে চিনি এবং পানি নিয়ে গরম করুন । যখন সিরা ফুটতে শুরু করবে তখন তাপ কমিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিন।
- অন্য একটি প্যানে মাঝারি তাপে তেল গরম করুন । যখন তেল পর্যাপ্ত পরিমান গরম হবে,তখন বুন্দিয়া বানানোর চামচটি তেলের উপর ধরে রেখে এর উপর অল্প বেসনের মিশ্রণটি দিয়ে ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে মিশ্রন তেলে পড়ে ছোট ছোট বলের আকার ধারন করে। তেলে পর্যাপ্ত বুন্দিয়া হলে মিশ্রন দেওয়া বন্ধ করুন এবং বুন্দিয়াগুলো সুন্দর বাদামী রং ধারন করা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
- ভাজা হয়ে গেলে বুন্দিয়া তেল থেকে তুলে নিয়ে সিরাতে দিন। একইভাবে অবশিষ্ট মিশ্রন দিয়ে বুন্দিয়া তৈরি করে সিরাতে ঢেলে দিন। তারপর বুন্দিয়া সিরাতে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
- সব বুন্দিয়া তৈরি হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিন এবং সব বুন্দিয়া সিরাতে ভালো করে মেশান। তারপর সিরাতে মেশানো বুন্দিয়া একটি প্লেটে তুলে নিন এবং নেড়ে সামান্য ঠান্ডা করে নিন যেন হাত দিয়ে ধরতে পারেন।
- এরপর পরিমান মতো বুন্দিয়া হাতের তালুতে নিয়ে দুই হাত দিয়ে চিপে বল (লাড্ডু) তৈরি করুন। লাড্ডুর বুন্দিয়া শক্তভাবে লেগে থাকার জন্য ভালো ভাবে হাত দিয়ে চেপে দিন। একইভাবে সব লাড্ডু তৈরি করুন।
- সব লাড্ডু বানানো হলে পরিবেশন করুন মজাদার বুন্দিয়ার লাড্ডু।
লটিয়া মাছের তরকারী
উপকরণ:
- লটিয়া মাছ -৩০০ গ্রাম
- পেয়াজ -মাঝারি ১টি (কুচানো)
- টমেটো -মাঝারি ১টি (কুচানো)
- রসুন বাটা -১ চা চামচ
- কাঁচা মরিচ বাটা -২ চা চামচ বা আপনের স্বাদ অনুযায়ী (বাটা মরিচ দিতে না চাইলে আপনি কাঁচা মরিচ চিরে দিতে পারেন )
- হলুদের গুড়া-১/২চা চামচ
- জিরার গুড়া -১/২চা চামচ
- লবন-১/২চা চামচ
- ধনিয়া পাতা (কুচানো )-১চা চামচ(optional)
- তেল-৩ চা চামচ
- আপনার পছন্দমত মাছ কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- প্যানে তেল গরম করে তাতে পেয়াজ কুঁচি এবং অর্ধেক টমেটো কুঁচি দিয়ে ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে তাতে রসুন বাটা,কাঁচা মরিচ বাটা,হলুদের গুড়া,জিরার গুড়া ও লবন দিয়ে নাড়তে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তেল ভেসে না উঠে ।
- এখন মসলার মধ্যে মাছ দিয়ে সাবধানে নাড়ুন। তারপর অর্ধেক কাপ পানি দিয়ে ঢেকে ৬-৭ মিনিট রান্না করে মাছগুলো সাবধানে উল্টে দিয়ে (যদি তরকারি খুব শুকনা হয়ে যায় তবে তাতে অল্প পানি মেশাতে পারেন ) তাতে বাকি টমেটো ও ধনিয়া পাতা দিয়ে ঢেকে দিয়ে আবার ১০-১২ মিনিট রান্না করুন।
- তারপর চুলা থেকে নামিয়ে সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
বেসনে কুমড়া
উপকরণ :
- মিষ্টি কুমড়া -২০০গ্রাম
- বেসন -১/২ কাপ
- চালের গুঁড়া -২চা চামচ
- আদা বাটা- ১/২ চা চামচ
- রসুন বাটা - ১/২চা চামচ
- হলুদের গুঁড়া -১/৪চা চামচ
- লাল মরিচের গুঁড়া -১/২চা চামচ
- জিরার গুঁড়া -১/২চা চামচ
- বেকিং পাউডার -৩/৪চা চামচ
- লবন - ১/২চা চামচ
- গরম পানি -আনুমানিক ৪/৫ টেবিল চামচ
- তেল -ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- মিষ্টি কুমড়া ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ১/২ সেঃমিঃ এর মতো পাতলা করে কেটে নিয়ে কুমড়ার টুকরার উপর লবন ছিটিয়ে নিন।
- একটি পাত্রে বেসন , চালের গুঁড়া , আদা বাটা , রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া ,লাল মরিচের গুঁড়া ,জিরার গুঁড়া, বেকিং পাউডার ও লবন দিয়ে ভালিভাবে একসাথে মিশিয়ে নিন । তারপর শুকনা মিশ্রণটিতে পানি দিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরী করে ৩০/৩৫ মিনিট এর মত রেখে দিন।
- মাঝারি আঁচে তেল গরম হয়ে এলে তৈরী মিশ্রনের মধ্যে কুমড়ার স্লাইচ ডুবিয়ে তেলে দিন। তারপর আরো ৪/৫ পিচ তেলে দিয়ে সুন্দর বাদামী কালার না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- ভাজা হয়ে গেলে পেপার টাওআল এর উপর রাখুন অতিরিক্ত তেল শুষে নেবার জন্য। একইভাবে সব কুমড়ার স্লাইচ ভাজুন।
- উপভোগ করুন খিচুড়ী ,সাদা ভাত বা কেচআপ এর সাথে।
চিংড়ি বড়া
উপকরণ :
- ছোট আকারের চিংড়ি - ২০০ গ্রাম
- মসুরের ডাল -১/২ কাপ
- চালের গুড়া -১ চা চামচ
- পেঁয়াজকুচি -মাজারি সাইজের ১ টি
- কাঁচা মরিচ - ২ টি
- হলুদের গুড়া -১/৪ চা চামচ
- জিরার গুড়া- ১/৪ চা চামচ
- আদা বাটা -১/২ চা চামচ
- রসুন বাটা -১/২ চা চামচ
- বেকিং পাউডার -১/৪ চা চামচ
- ধনেপাতাকুচি -২টেবিল চামচ
- লবণ -১/২ চা চামচ
- তেল -ভাজার জন্য
- ডাল ধুয়ে কুসুম গরম পানিতে ২-৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। পরে পানি ফেলে ব্লেন্ড করে নিন। খুব মিহি করে ব্লেন্ড করবেন না। ব্লেন্ড করা ডাল আলাদা পাত্রে রাখুন ।
- চিংড়ি গুলো পরিস্কার করে ধুয়ে নিন । চিংড়ি ও কাঁচা মরিচ একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করুন। (প্রয়োজনে অল্প পানি মেশান)
- পাত্রে বাটা চিংড়ি ও ডাল নিয়ে তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণগুলো একসাথে ভালোভাবে মেশান।
- ফ্রাইপ্যান এ তেল গরম করুন। এক চা চামচের সমান মিশ্রণ নিয়ে গোল করে ফ্রাইপ্যানে দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজুন যতক্ষণ পর্যন্ত দুইপাশ বাদামী না হয়।
- ভাজা হয়ে গেলে বড়াগুলো ফ্রাইপ্যান থেকে নামিয়ে কিচেন টিস্যুর উপরে রাখুন যেন অতিরিক্ত তেল না থাকে।
- গরম গরম পরিবেশন করুন চিংড়ি বড়া।
কমলার জুস
উপকরণঃ
- কমলালেবু - ৪ টি
- চিনি- দুই চা চামচ অথবা আপনার স্বাদমতো
- বরফ টুকরা -৪ টি
পদ্ধতিঃ
- ৩ টি কমলা অর্ধেক করে কেটে লাইম জুসার বা হাত দিয়ে রস বের করুন।
- কমলার রস ব্লেন্ডার এ দিয়ে তাতে চিনি ও বরফ দিয়ে ব্লেন্ড করুন।
- বাকি ১ টি কমলা থেকে হাত দিয়ে রস বের করে দুই ধরণের জুস একসাথে চামচ দিয়ে মিশিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
কুমড়ো ফুলের বড়া
উপকরণ :
- কুমড়ো ফুল -১০টি
- চালের গুড়া -১ / ২ চা চামচ
- বেসন -৩ টেবিল চামচ
- হলুদের গুড়া - ১/৪ চা চামচ
- মরিচের গুড়া -১/২ চা চামচের কম অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
- জিরার গুড়া -১/৪ চা চামচ
- লবণ -১/৪ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
- তেল -ভাজার জন্য
- সবুজ অংশ থেকে ফুল কেটে ভিতরের শাঁস ফেলে দিন।
- ফুলগুলো ধুয়ে নিয়ে একটি পাত্রে ফুল ও তেল ছাড়া সব উপকরণ একসাথে রাখুন । উপকরণ গুলোর সাথে ৩/৪ কাপ পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন যেন মিশ্রণটি খুব বেশি পাতলা না হয়।
- একটি পাত্রে তেল গরম করে ফুলগুলো মিশ্রণটিতে ডুবিয়ে গরম তেলের মধ্যে দিয়ে দুই দিক বাদামী না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- পাত্র থেকে বড়া গুলা উঠিয়ে নিন এবং অতিরিক্ত তেল শুষে নেবার জন্য কিচেন টিসুর উপর রাখুন।
- গরম গরম পরিবেশন করুন।
আনারসের জুস
উপকরনঃ
- আনারস - ২ কাপ (ছোটো কিউব করে কাটা)
- চিনি - ২ চা চামচ বা আপনার স্বাদমত
- বিট লবন - ১/৮ চা চামচ
- গোলমরিচ - ১/৮ চা চামচ
- বরফ - ৩-৪ টি
- পানি - ২ ও ১/২ কাপ
পদ্ধতিঃ
- বরফ ছাড়া সব উপকরণ ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি করে ব্লেণ্ড করুন।
- একটি গ্লাসে বরফ দিয়ে জুস পরিবেশন করুন।
চমচম
উপকরনঃ
ছানার জন্য:
মাকসুদা হোসেন
(Portland, Oregon, USA)
ছানার জন্য:
- দুধ -২ লিটার
- ভিনেগার (সিরকা)/ লেবুর রস -১ / ৪ কাপ
- পানি ১ /৪ কাপ
- সুজি - ১ চা চামচ
- ময়দা - ২ চা চামচ
- চিনি - ২ চা চামচ
- চিনি - ৪ কাপ
- পানি - ৪ কাপ
- ছানা তৈরির লিঙ্কটা অনুসরন করে ছানা তৈরী করুন। Making Curd/Chaana(ছানা)
- ছানা তৈরী হয়ে গেলে দেড় ঘণ্টার মতো ঝুলিয়ে রাখুন পানি ঝরে যাওয়ার জন্য। তারপর একটি বাটিতে ছানা নিন এবং ছানা নরম না হওয়া পর্যন্ত ( প্রায় ১০-১৫ মিনিটের মতো) ভাল করে মাখান। (আপনি চাইলে ৪০ সেকেন্ডের জন্য ছানা চপার বা ফুড প্রসেসরে দিতে পারেন)
- এবার ছানার সাথে সুজি, ময়দা ও চিনি মিশিয়ে আবার ১০ মিনিটের মতো মাখান। (এই সময়ে চপার ব্যবহার করবেন না,অন্যথায় চিনি থেকে পানি বের হয়ে আসবে।)
- তারপর আপনার পছন্দের আকারের বল তৈরির জন্য ছানা আলাদা করুন (এই ছানার বলগুলো চমচমের আকারের অর্ধেক হবে,কারন সিরাতে দেয়ার পর এই বল দ্বিগুণ আকার ধারন করবে )।
- তারপর একটি ছানার বল হাতে নিয়ে চাপ দিয়ে ঘুরিয়ে চমচমের আকার করুন ।একই ভাবে বাকি বলগুলো তৈরি করুন ।
- একটি বড় প্যানে পানি এবং চিনি নিন এবং মাঝারি তাপে ফুটিয়ে নিন। যখন সিরা ফুটতে শুরু করবে তখন আস্তে আস্তে সবগুলো চমচম সিরাতে দিয়ে দিন এবং প্যানটি ঢেকে দিন ।
- চমচম ৪-৫ ঘন্টা ধরে সিরাতে মাঝারি আঁচে ফোটান অথবা যতক্ষন পর্যন্ত চমচম সোনালি বা বাদামী রং ধারন করছে ততক্ষন পর্যন্ত ফোটান। মাঝে মাঝে চমচম পরীক্ষা করুন, যদি সিরা ঘন হয়ে আসে তাহলে গরম পানি যোগ করুন । ( টিপস: ১ কাপ চিনি থেকে ক্যারামেলে করে তাতে ১ /২ কাপ পানি যোগ করুন এবং এক সাথে ফোটান। তারপর এটি সিরাপের মধ্যে ঢেলে দিন। এই প্রক্রিয়ায় চমচম ২-৩ ঘন্টার মধ্যে সোনালি বা বাদামী রং ধারন করবে । কিন্তু প্রথম প্রক্রিয়াটাই ভালো।)
- চমচম হয়ে গেলে ঠান্ডা করে মাওয়া দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
মাকসুদা হোসেন
(Portland, Oregon, USA)
তেলাপিয়ার দোপেঁয়াজা
উপকরনঃ
- তেলাপিয়া মাছ- ২ টা মাঝারি আকারের (চাইলে মাছের ফিলে ব্যবহার করতে পারেন।)
- পেঁয়াজকুচি - ১/২ কাপ
- টমেটো - ২ টা (১ টা কুচি করে নিন এবং ১ টা স্লাইস করে নিন )
- রসুন বাটা- ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ বা পছন্দমত
- কাঁচা মরিচ- ২ টা (ইচ্ছা)
- চিলি গারলিক সস- ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
- লবণ- ১ চা চামচ
- তেল - ১/৪ কাপ
- ধনিয়া পাতাকুচি- ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
পদ্ধতিঃ
- মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। তারপর ১/২ চা চামচ হলুদ ও ১/২ চা চামচ লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন।
- প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে মাছগুলো উভয়পাশ হাল্কা বাদামী করে ভেজে তুলুন।
- তারপর বাকি তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ও টমেটোকুচি দিয়ে ভাজুন। পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে রসুন বাটা, লাল মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, বাকি হলুদ গুঁড়া, লবণ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নাড়ুন। মসলা থেকে তেল আলাদা হয়ে আসলে ভাজা মাছ দিয়ে সাবধানে নেড়ে দিন।
- এবার ১/২ কাপ মত পানি দিন। টমেটো স্লাইসগুলো উপরে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন এবং ৭-৮ মিনিট মত রান্না করুন।
- তারপর ধনিয়াপাতা কুচিগুলো উপরে ছড়িয়ে দিয়ে ১ মিনিটমত অপেক্ষা করে চুলা বন্ধ করে দিন।
- মাছের দোপেঁয়াজা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।