Archive for 2014

বরবটি ভর্তা


উপকরণঃ
  • বরবটি – ৩০০ গ্রাম
  • পেঁয়াজকুচি – ১/২ কাপ
  • রসুনকুচি – ৩ টি কোয়া
  • কাঁচা মরিচ – ৪-৫টি
  • হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
  • লেবুর রস -১ টেবিল চামচ
  • লবন – ১/২ চা চামচ  অথবা স্বাদ মতো
  • সরিষার তেল – ২ টেবিল চামচ
  • ধনেপাতাকুচি – ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
পদ্ধতিঃ
  • বরবটি ধুয়ে ১ ইঞ্চি আকারে কেটে এক পাশে রাখুন।
  • একটি প্যান তেল গরম করুন। গরম তেলে পেঁয়াজকুচি এবং রসুনকুচি দিয়ে প্রায় ১ মিনিট ভাজুন।
  • তারপর বরবটি, কাঁচা মরিচ, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, লেবুর রস ও লবণ দিন এবং উপকরণগুলো নরম হয়ে আসা পর্যন্ত মাঝারি তাপে ভাজতে থাকুন ( প্রায় ১০-১২ মিনিটের কাছাকাছি )।
  • তারপর ধনে পাতাকুচি দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
  • রান্না বরবটি ঠাণ্ডা হলে শিলনোড়া বা চপারের সাহায্যে এটি ভর্তা করে নিন।
  • বরবটি ভর্তা গরম সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

ডাল-আলুর চচ্চড়ি

উপকরণঃ
  • মসুর ডাল -১ /২ কাপ
  • আলু - মাঝারি আকারের ২টি ( প্রায় ৪০০ গ্রাম )
  • পেঁয়াজকুচি - ২ টেবিল চামচ
  • রসুনকুচি – ৩ টি কোয়া
  • আদাকুচি  - ১ টেবিল চামচ
  • আস্ত লাল মরিচ – ২টি
  • তেজ পাতা – ১টি
  • মেথি - ১/৪ চা চামচ  (নিচের নোট দেখুন )
  • মৌরি – ১/৪ চা চামচ  (নিচে নোট দেখুন )
  • কালো জিরা – ১/৪ চা চামচ  (নিচে নোট দেখুন )
  • হলুদ গুঁড়া – ১/৪ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া -১/২ চা চামচ
  • লাল মরিচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
  • লবন – ১ চা চামচ  অথবা স্বাদ মতো
  • তেল – ৩ টেবিল চামচ
  • ধনে পাতাকুচি – ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক) 
দ্রষ্টব্য: আপনার যদি মেথি , মৌরি ও কালো জিরা আলাদা আলাদা না থাকে , এর পরিবর্তে আপনি ১ চা চামচ পাঁচ ফোঁড়ন ব্যবহার করতে পারেন।

পদ্ধতিঃ
  • আলুর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন এবং তারপর লম্বা করে চিকন করে কেটে এক পাশে রাখুন।
  • ডাল ধুয়ে নিন এবং ৪-৫ মিনিটের জন্য তা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর ডাল পানি থেকে ঝরিয়ে রাখুন।
  • একটি সস প্যানে তেল গরম করুন। গরম তেলে মেথি , মৌরি , কালো জিরা , লাল মরিচ এবং তেজ পাতা যোগ করে কয়েক সেকেন্ড নাড়ুন। তারপর রসুনকুচি , আদাকুচি এবং পেঁয়াজকুচি যোগ করে পেঁয়াজ নরম ও হালকা বাদামী হয়ে আসা পর্যন্ত ভাজুন।
  • এখন প্যানে ধুয়ে রাখা ডাল, হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া দিন এবং ১ মিনিটের মতো ভাজুন। তারপর মিশ্রণটিতে ২-৩ কাপ মত পানি দিন।
  • মাঝারি তাপে ডাল রান্না করুন যতক্ষন পর্যন্ত ডাল ৬০% মত রান্না হয়।
  • তারপর কাটা আলু ডালের সাথে যোগ করে নেড়ে দিন এবং সস প্যান ঢেকে দিন। আলু নরম হয়ে আসা পর্যন্ত মিশ্রণটি সিদ্ধ করুন (প্রায় ১০ মিনিটের মতো)।
  • তারপর ডালের মিশ্রণটির উপর ধনে পাতাকুচি ছড়িয়ে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
  • রুটি, পরোটা বা লুচির সাথে গরম গরম ডাল-আলুর চচ্চড়ি পরিবেশন করুন।
ধন্যবাদান্তে:   
মাকসুদা হোসেন
(Portland, Oregon, USA)

মরিচা

উপকরণঃ
  • কাঁচা মরিচ - ১০-১২ টি (কাঁচা মরিচের বোঁটা রেখে দিন)
  • বেসন - ১ / ৪ কাপ
  • চালের গুঁড়া - ১ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া - ১ / ৪ চা চামচ
  • লাল মরিচের গুঁড়া - ১ / ৪ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া - ১ / ৪ চা চামচ
  • বেকিং পাউডার - ১ / ৪ চা চামচ
  • লবন - ১ / ৪ চা চামচ
  • কুসুম গরম পানি - ৩ - ৪ টেবিল চামচের মতো
  • তেল- ডুবো তেলে ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ
  • একটি বাটিতে বেসন, চালের গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়া , জিরা গুঁড়া, বেকিং পাউডার এবং লবণ নিয়ে ভালো ভাবে মেশান যেন  সব উপকরণ সমান ভাবে মিশে যায় ।
  • এখন শুকনো মিশ্রনে পানি দিন এবং ভালো ভাবে মিশিয়ে মসৃন ব্যাটার তৈরি করুন ( খেয়াল রাখবেন ব্যাটার যেন বেশি ঘন বা পাতলা না হয়।) মিশ্রণটি ৩০ মিনিটের জন্য এক পাশে রেখে দিন।
  • সব কাঁচা মরিচ ধুয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে নিন । কাঁচা মরিচের মাঝ বরাবর অল্প একটু কেটে দিন (এভাবে কেটে দিলে ভাজার সময় মরিচ গরম হয়ে উঠলে তাঁতিয়ে উঠবেনা)
  • একটি প্যানে মাঝারি তাপে তেল গরম করুন। তেল পর্যাপ্ত পরিমান গরম হলে একটি মরিচ  বেসনের মিশ্রনে ডুবিয়ে সাবধানে গরম তেলে ছাড়ুন। এরপর তেলে আরও ৪/৫ টি মরিচ বেসনে ডুবিয়ে দিন এবং উভয় পাশ ভাজতে থাকুন সোনালি-বাদামি রং আসা পর্যন্ত।
  • ভাজা হয়ে গেলে মরিচা তেল থেকে তুলে একটি টিস্যুতে নিন যেন তা অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। একই প্রক্রিয়ায় বাকি মরিচাগুলো ভেজে তুলুন।
  • ছোলা বা মুড়ি দিয়ে মরিচা উপভোগ করুন ।

আখনি পোলাউ


উপকরনঃ
২ জনের পরিবেশন উপযোগী।
পোলাউ এর জন্যঃ
  • বাসমতি চাল- ১ কাপ
  • ঘি/ বাটার/ তেল - ৩ টেবিল চামচ
  • পেয়াজকুচি - ১/২ কাপ
  • কাঁচামরিচকুচি - ৩ টা 
  • লবন ১/২ চা চামচ
  • চিনি- ১/২ চা চামচ
  • আলুবোখারা- ৩-৪ টা
  • কিসমিস - ৮-১০ টা
আখনির পানির জন্যঃ
  • পানি - ৪ কাপ
  • রসুন- ৩ কোয়া 
  • আদা কুচি - ২ টেবিল চামচ
  • এলাচ- ৪ টা
  • লবঙ্গ - ৪ টা 
  • দারচিনি - ২ টা মাঝারি টুকরা
  • তেজপাতা- ২ টা
  • আস্ত গোল মরিচ - ৬-৭ টা
পদ্ধতিঃ
  • একটি বড় পাত্রে ৪ কাপ পানি নিয়ে তাতে আখনির পানির জন্য যে উপকরণগুলো আছে তা  সব দিয়ে ফুটতে দিন। পানি ফুটে উঠলে চুলার আঁচ কম করে তাতে পানি ফুটাতে থাকুন। পানি কমে প্রায় ২ কাপ মত হয়ে আসলে মসলাগুলো ছেঁকে পানিটুকু আলাদা করে রাখুন (এই পানিটা আমরা পোলাউ রান্নায় ব্যবহার করব।)।
  • এখন চাল ধুয়ে ছাঁকনিতে ৫ মিনিটমত পানি ঝরার জন্য রাখুন।
  •  একটি পাত্রে তেল/ঘি গরম করুন। তেল গরম হলে অর্ধেক পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে উঠিয়ে নিন এবং একপাশে রাখুন।
  • তারপর বাকি পেঁয়াজকুচিগুলো দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তারপর ধুয়ে রাখা চাল, আলুবোখারা ও কিসমিস দিয়ে ৪-৫ মিনিট ভাজুন।
  • চাল ভাজা ভাজা হয়ে সুন্দর গন্ধ বের হলে ছেঁকে রাখা আখনি পানিটুকু, লবন ও চিনি দিয়ে দিন এবং ৫-৬ মিনিট বেশি আঁচে রাখুন। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন এবং দমে ১৮-২০ মিনিট মত রান্না করুন। 
  • পোলাউ রান্না হয়ে গেলে উপরে বেরেস্তা করে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

কলার পাউরুটি

উপকরনঃ
  • পাকা কলা- ২-৩ টা
  • ডিম- ২ টা
  • দুধ - ১/৪ কাপ
  • বাটার- ১/২ কাপ (গলিয়ে ঠান্ডা করে রাখুন)
  • ময়দা - ১ ও ৩/৪ কাপ
  • চিনি - ৩/৪ কাপ
  • বেকিং পাউডার- ১ চা চামচ
  • বেকিং সোডা - ১/৪ চা চামচ
  • লবন - ১/৪ চা চামচ
  • দারচিনি গুঁড়া - ১/২ চা চামচ- ১/২ চা চামচ (ইচ্ছা)
  • বাদাম (পিকান/ ওয়ালনাট/ কাজুবাদাম/ পেস্তাবাদাম) - ১ কাপ (ইচ্ছা)
পদ্ধতিঃ
  • পাউরুটির প্যান বা কাপ কেকের প্যানে হাল্কা তেল বা বাটার ব্রাশ করে তাতে পারচমেন্ট পেপার দিয়ে একপাশে রাখুন।
  • বাদাম হাল্কা করে ভেজে নিন এবং ঠান্ডা করে গুঁড়া করে নিন (মিহি করে গুঁড়া করতে হবে না)।
  • একটি বড় বাটিতে বাদাম, ময়দা, চিনি, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, দারচিনি গুঁড়া নিয়ে মিশিয়ে নিন।
  • অন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। পাকা কলা ভর্তা করে ফেটানো ডিমের সাথে মিশান। তারপর দুধ আর ঠান্ডা করে রাখা বাটার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
  • এবার ময়দার মিশ্রনের মাঝে ডিমের মিশ্রণটি ঢেলে দিন এবং সব উপকরন ভালকরে মিশে যাওয়া পর্যন্ত একটি কাঁটাচামচ দিয়ে মিশান।
  • তারপর মিশ্রণটি তৈরি করে রাখা প্যানে ঢেলে দিন। (কাপ কেকের প্যানে দিলে কাপগুলো অর্ধেক পর্যন্ত ভরাট করুন, কারন বেক করার পর তা ফুলে উঠবে।)
  • ওভেন ৩৫০ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা ১৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রিহিট করে নিন। বেকিং প্যানটি ওভেনের মাঝের তাকে রেখে ৫০-৫৫ মিনিট বা পাউরুটি সোনালী বাদামী রঙ হওয়া পর্যন্ত বেক করুন (পাউরুটি যেন বেশি বেক হয়ে না যায় সেজন্য ৩০-৩৫ মিনিট পর থেকে চেক করা শুরু করুন। একটা টুথপিক পাউরুটির ভেতরে ঢুকিয়ে বের করে আনুন। যদি তার গায়ে কিছু লেগে না থাকে তাহলে বুঝতে হবে পাউরুটি হয়ে গেছে। তখন ওভেন বন্ধ করে দিন।)।
  • বেক হয়ে গেলে পাউরুটি ওভেন থেকে বের করে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

ক্যাপসিকাম দিয়ে গরুর মাংস


উপকরনঃ
  • হাড়ছাড়া গরুর মাংস- ৫০০ গ্রাম
  • ক্যাপসিকাম - ২ টা ছোট আকারের (রিং আকারে বা কিউব করে কেটে নিন)
  • পেঁয়াজ - ১ ট বড় আকারের (১ ইঞ্ছি কিউব করে কেটে নিন)
  • টক দই - ১/৪ কাপ
  • আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা- ১ চা চামচ
  • লাল মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া - ১/২  চা চামচ
  • জিরার গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়া - ১/ ২ চা চামচ
  • জয়ফল গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
  • তেজপাতা - ২ টা  
  • তেল - ৬ টেবিল চামচ + ১ টেবিল চামচ
  • লবন - ১ চা চামচ
পদ্ধতিঃ
  • গরুর মাংস পাতলা পাতলা করে কেটে নিন।
  • সব গুঁড়া মসলা, বাটা মসলা, লবন ও টক দই দিয়ে মাংসগুলো ভাল করে মাখিয়ে ১ ঘন্টা মত ম্যারিনেট করে রাখুন।
  • প্যানে ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজগুলো দিন এবং এক চিমটি লবন ছিটিয়ে দিয়ে নাড়ুন। পেঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম নরম হয়ে আসলে প্যান থেকে একটি পাত্রে তুলে পাশে রাখুন।
  • এবার ৬ টেবিল চামচ মত তেল গরম করে তেজপাতা ও ম্যারিনেট করে রাখা মাংসগুলো দিয়ে ভালকরে নেড়ে দিন। মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন।(মাংস সিদ্ধ হওয়ার জন্য দরকার হলে একটু কুসুম গরম পানি দিতে পারেন।)
  • মাংস রান্না হয়ে গেলে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিয়ে উপরে ভাজা ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজগুলো ছড়িয়ে দিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।

অরেঞ্জ সিফন কেক


উপকরনঃ
  • ডিমের সাদা অংশ - ৭ টা
  • ডিমের কুসুম - ৬ টা
  • কেকের ময়দা - ২ ও ১/৪ কাপ (২২৫ গ্রাম) (টিপসঃ ১)
  • চিনি - ১ ও ১/৪ কাপ + ১/৪ কাপ
  • বেকিং পাউডার - ১ টেবিল চামচ
  • তেল - ১/২ কাপ
  • লবন - ১/২ চা চামচ
  • অরেঞ্জ এর চামড়ার মিহি ঝুরি- ১ টেবিল চামচ
  • অরেঞ্জ জুস - ৩/৪ কাপ (অরেঞ্জ থেকে সরাসরি জুস করে নিলে ভাল হয় )
  • ক্রিম অফ টারটার - ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক) (টিপসঃ ২)
  • কনফেকশনারি সুগার(গুঁড়া চিনি/আইসিং সুগার)-কেকের উপরে ছিঠিয়ে দেওয়ার জন্য(ঐচ্ছিক)
পদ্ধতিঃ
  • ডিম ঠান্ডা থাকতে ৬ টি ডিম আলাদা করে কুসুম একটি বাটিতে এবং সাদা অংশ অপর একটি বাটিতে নিন। সাদা অংশের সাথে অতিরিক্ত একটি ডিমের সাদা অংশ যোগ করুন। তারপর বাটি দুইটি ঢেকে একপাশে রেখে দিন যেন ডিমের ঠান্ডাটুকু কেটে যায়।
  • একটি ১০ ইঞ্চি আকারের টিউব প্যান নিয়ে রাখুন। প্যানে কোনো তেল বা বাটার ব্রাশ করতে হবে না।
  • ওভেন ৩২৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা ১৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রিহিট হতে দিন।
  • একটি বড় বাটিতে ময়দা, ১ ও ১/৪ কাপ চিনি, বেকিং পাউডার, লবন, অরেঞ্জ এর চামড়ার মিহি ঝুরি নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর মাঝখানে একটু খালি করে তাতে ডিমের কুসুম, তেল ও অরেঞ্জ জুস দিন এবং বিটার দিয়ে বিট করুন। সব উপকরন মিশে মসৃণ একটা ব্যাটার হয়ে আসা পর্যন্ত বিট করুন।
  • এবার ডিমের সাদা অংশ অপর একটি বড় বাটিতে নিন এবং বিটার দিয়ে বিট করতে শুরু করুন।(টিপসঃ ৪ ও ৫) (খেয়াল রাখবেন বাটিটি যেন যথেস্ট বড় হয়, কারন ডিমের সাদা অংশ বিট করলে তা ফুলে প্রায় দিগুন আকার ধারন করে।) বিট করার মাঝে ১/৪ কাপ চিনি ও ক্রিম অফ টারটার যোগ করে আবার বিট করতে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত সাদা অংশ ফুলে স্টিফ পিক আকারে না আসে (নিচের ছবিতে দেখুন)।
  • সাদা অংশ বিট করা হয়ে গেলে একটি লম্বা চামচ দিয়ে ফোমটুকু তিনবারে ময়দা ও কুসুমের মিশ্রণের সাথে সাবধানে মিশান (ব্যাটারটি খুব বেশি মিশাবেন না, তাহলে ডিমের ফোম ভেঙ্গে পানি হয়ে উঠবে)। তারপর ব্যাটারটি প্যানে ঢেলে উপরটা সমান করে দিন এবং ওভেনের মাঝের তাকে বেক করতে দিন।
  • কেকটি প্রায় ৫৫-৬০ মিনিট বেক করুন। ৪০ মিনিট পর থেকে কেক চেক করা শুরু করুন। যদি কেকের উপরের অংশ সোনালি রঙ হয়ে আসে তাহলে একটি টুথপিক বা চিকন কাঠি ঢুকিয়ে চেক করুন কেক ভিতরে হয়েছে কিনা। যদি কাঠিটির গায়ে কোনো আঠালো কিছু লেগে না থেকে তা পরিষ্কারভাবে বের হয়ে আসে তাহলে বুঝতে হবে কেক হয়ে গেছে। ওভেন বন্ধ করে কেক বের করে আনুন। 
  • কেক ওভেন থেকে বের করে প্যানটি উল্টিয়ে একটি গ্লাস এর উপরে বসিয়ে রাখুন। এভাবে কেকটি প্রায় ১ ঘন্টা মত ঠান্ডা হতে রাখুন।
  • ১ ঘন্টা পরে একটি ছুরি দিয়ে কেকটিকে প্যানের পাশ ও নিচ থেকে ছাড়িয়ে দিন এবং তারপর তা উল্টিয়ে প্লেটে নিয়ে নিন। এবার উপরে কনফেকশনারি সুগার (গুঁড়া চিনি/আইসিং সুগার) ছড়িয়ে দিন।
  • কেক পছন্দমত আকারে কেটে আইস্ক্রিম বা নরম হুইপিং ক্রিম ও ফল দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
** এই রেসিপিটি আমি নিচের ওয়েবসাইটটি থেকে  (http://www.joyofbaking) অনুসরন করেছি। প্রদত্ত ওয়েবসাইটটি থেকে আপনি অনেক ভাল ভাল বেকিং এর রেসিপি পেতে পারেন।

টিপসঃ
১. কেকের ময়দাঃ ১ কাপ কেকের ময়দার পরিবর্তে আপনি ৩/৪ কাপ সাধারন ময়দার (১০০গ্রাম) সাথে ২ টেবিল চামচ (২০ গ্রাম) কর্ণস্টার্চ (কর্ণফ্লাওয়ার) মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
২. ক্রিম অফ টারটারঃ ১/২ চা চামচ ক্রিম অফ টারটারের পরিবর্তে ১/২ চা চামচ সাদা ভিনেগার বা ১/২ চা চামচ লেউর রস ব্যবহার করতে পারেন।
৩. ডিম ঠান্ডা থাকতে কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করতে সহজ হয়।
৪. কেকের জন্য ডিম বিট করার সময় ডিমের ঠান্ডা কাটিয়ে সাধারণ তাপমাত্রায় নিয়ে আসুন, না হলে ডিম বিট করলে ঠিকভাবে ফুলে উঠবে না।
৫. ডিমের সাদা অংশ বিট করার সময় লক্ষ্য রাখবেন যেন বাটি ও বিটার শুকনো থাকে। না হলে সাদা অংশ থেকে ফোম হবে না।

লাউ এর খোসা ভর্তা

উপকরনঃ
  • লাউ এর খোসা- আনুমানিক ১ ও ১/২ পাউন্ড লাউ থেকে ছিলে নিন 
  • কাঁচামরিচ - ৩ টা
  • পেঁয়াজকুচি - ২ টেবিল চামচ
  • হলুদ গুঁড়া- ১ চিমটি
  • জিরা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
  • লবন - ১/২ চা চামচ বা স্বাদমত
  • ডিম- ১ টা (আপনি চাইলে ডিম ব্যবহার নাও করতে পারেন)
  • ধনেপাতা কুচি- ১ টেবিল চামচ
  • তেল- ১/২ টেবিল চামচ
পদ্ধতিঃ
  • একটি প্যানে অল্প পানি নিয়ে তাতে লাউ এর খোসা, কাঁচামরিচ ও লবন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। খোসা নরম হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা হতে রাখুন।
  • ঠান্ডা হলে সিদ্ধ খোসা ও কাঁচামরিচ শিল-পাটায় নিয়ে পিষে নিন। আপনি চাইলে চপারে দিয়েও খোসা পেস্ট করে নিতে পারেন।
  • এবার প্যানে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি দিন এবং হাল্কা নরম হয়ে আসা পর্যন্ত ভাজুন। তারপর বেটে রাখা খোসা তাতে দিয়ে, সামান্য হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া ও লবন দিন এবং ভালভাবে নেড়ে দিন।
  • মিশ্রণটি ২ মিনিটমত ভেজে ডিম দিন এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যেন ডিম ভালভাবে মিশ্রণটির সাথে মিশে যায়।
  • মিশ্রনটি থেকে পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত ভাজুন। তারপর ধনেপাতাকুচি উপরে ছড়িয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
  • লাউ এর খোসা ভর্তা গরম ভাতে সাথে পরিবেশন করুন। 

টমেটো ভর্তা


উপকরণঃ
  • টমেটো - ২ টা মাঝারি আকারের
  • কাঁচামরিচ - ৩-৪ টা
  • পেঁয়াজকুচি- ২ টেবিলচামচ
  • লবন - ১/২ চা চামচ বা স্বাদমত
  • সরিষার তেল- ১ চা চামচ + ১ চা চামচ
  • ধনিয়াপাতা কুচি - ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
পদ্ধতিঃ
  • টমেটোর গায়ে সামান্য তেল মাখিয়ে একটি প্যানে নিয়ে মাঝারি আঁচে টেলে নিন (মাঝে মাঝে টমেটো নেড়ে দিন)। আপনি চাইলে প্যান ঢেকে দিয়ে টমেটো পুড়াতে পারেন।
  • টমেটো নরম ও পোড়া পোড়া হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা হতে রাখুন।
  • প্যানে কাঁচামরিচ নিয়ে মাঝারি আঁচে নরম ও হাল্কা পোড়া পোড়া হয়ে আসা পর্যন্ত টেলে নিন।
  • এবার টমেটোর চামড়া ছাড়িয়ে একটি বাটিতে নিন। তাতে মরিচ পোড়া, পেঁয়াজকুচি, ধনিয়াপাতাকুচি, লবন ও সরিষার তেল দিয়ে একটি চামচ বা হাত দিয়ে ভাল করে ভর্তা করে নিন। আপনি চাইলে চপারে দিয়েও ভর্তা করতে পারেন।
  • টমেটো ভর্তা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

মরিচ ভর্তা


উপকরণঃ
  • কাঁচামরিচ - ১২-১৫ টা
  • পেঁয়াজকুচি- ২ টেবিলচামচ
  • লবন - ১/২ চা চামচ বা স্বাদমত
  • সরিষার তেল- ১/২ চা চামচ
পদ্ধতিঃ
  • একটি প্যানে কাঁচামরিচ নিয়ে টেলে নিন। কাঁচামরিচ নরম ও হাল্কা পোড়া পোড়া হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা হতে রাখুন।
  • বাটিতে কাঁচামরিচ, পেয়াজকুচি, লবন ও সরিষার তেল নিয়ে একটি চামচ বা হাত দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। আপনি চাইলে চপারে দিয়েও মরিচ ভর্তা করে নিতে পারেন।
  • মরিচ ভর্তা গরম ভাত বা খিচুড়ির সাথে পরিবেশন করুন।

ফুলকপি ভাজি


উপকরণঃ
  • ফুলকপি (ছোট করে কাটা)- ২ কাপ
  • কাল জিরা- ১/৪ চা চামচ
  • আস্ত লাল মরিচ - ২ টা
  • পেঁয়াজকুচি - ২ টেবিল চামচ
  • রসুনকুচি- ১ চা চামচ
  • আদাকুচি- ১ চা চামচ
  • কাঁচামরিচকুচি - ১ টেবিল চামচ
  • হলুদ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
  • লবন - ১/২ চা চামচ বা স্বাদমত
  • টমেটো সস- ১ ও ১/২ টেবিল চামচ 
  • সয়া সস- ১ টেবিল চামচ
  • ধনিয়া পাতাকুচি- ১ টেবিল চামচ
  • তেল - ৩ টেবিল চামচ
পদ্ধতিঃ
  • প্যানে তেল গরম করে তাতে কাল জিরা ও আস্ত লাল মরিচ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভাজুন। তারপর রসুনকুচি ও আদা কুচি দিয়ে আরও কয়েক সেকেন্ড ভেজে পেঁয়াজকুচি দিন এবং আধা মিনিট মত ভাজুন।
  • এবার ফুলকপি, কাঁচামরিচকুচি, লবন, হলুদ গুঁড়া ও জিরা গুঁড়া দিয়ে সাবধানে নেড়ে দিন যেন সব কিছু ভালভাবে মিশে এবং ৫-৬ মিনিটমত ফুলকপি ভাজুন (মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যেন পুড়ে না যায়)। 
  • ফুলকপি আধা সিদ্ধ হয়ে আসলে টমেটো সস ও সয়া সস দিয়ে নেড়ে দিন।
  • তারপর প্যানে ঢাকনা দিয়ে ৩-৪ মিনিট মত বা ফুলকপি সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • ফুলকপি সিদ্ধ হয়ে গেলে ধনিয়া পাতাকুচি উপরে ছড়িয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
  • ফুলকপি ভাজি সাদা ভাত বা রুটি বা পরটার সাথে পরিবেশন করুন।

ডিমের হালুয়া

উপকরণঃ
  • ডিম-  ৪ টা 
  • মাওয়া - ১ কাপ
  • কাজু বাদাম- ৪০/৪৫ টা
  • দুধ - ১/৪ কাপ
  •  ৩/৪ কাপ
  • জয়ফল গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
  • জাফরান/ ফুড কালার - ১ চিমটি (ঐচ্ছিক) 
  • ঘি/গলানো বাটার - ৪ টেবিল চামচ + ১ টেবিল চামচ (প্যানে ব্রাশ করার জন্য) 
  • লবন - ১ চিমটি 
পদ্ধতিঃ
  • সব উপকরন ব্লেন্ডারে নিয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন।
  • যেই পাত্রে হালুয়া বসাবেন তাতে ঘি ব্রাশ করে একপাশে রাখুন।
  • এবার মিশ্রনটি হাঁড়িতে নিয়ে মাঝারি আঁচে চুলায় দিন এবং নাড়তে থাকুন।
  • মিশ্রনটি ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যতক্ষন পর্যন্ত তা ঘন হয়ে হাঁড়ির পাশ থেকে আলাদা হয়ে আসছে।
  • হালুয়া হয়ে গেলে ঘি ব্রাশ করে রাখা পাত্রে ঢেলে নিন এবং চামচ বা ছুরি দিয়ে উপরটা সমান করে নিন। তারপর তা ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন।
  • হালুয়া ঠান্ডা হয়ে গেলে পছন্দমত আকারে কেটে পরিবেশন করুন।

বাটার কুকি


উপকরণঃ
  • বাটার - ১ পাউণ্ড (সাধারন তাপমাত্রায়)
  • অরেঞ্জ ব্লোজোম ওয়াটার - ৬ টেবিল চামচ
  • তেল - ৬ টেবিল চামচ
  • চিনি - ৬ টেবিল চামচ
  • বেকিং পাউডার - ২ চা চামচ
  • ময়দা - ৪ কাপের মতো
  • কাঠ বাদাম স্লাইস করা / চকলেটের টুকরা - সাজানোর জন্য (ঐচ্ছিক)
  •  কুকি কাটার
পদ্ধতিঃ
  • একটি হ্যান্ড মিক্সার দিয়ে বাটার বিট করুন যতক্ষন পর্যন্ত তা নরম হয়ে যাচ্ছে। (হ্যান্ড মিক্সারের পরিবর্তে আপনি কাঁটাচামচ ব্যবহার করতে পারেন )
  • এবার বাটারের সাথে তেল, চিনি, অরেঞ্জ ব্লোজোম ওয়াটার যোগ করুন এবং আবার কয়েক মিনিট বিট করুন ।
  • এখন বেকিং পাউডার এবং অল্প অল্প করে ময়দা মিশাতে থাকুন আর বিট করুন। ময়দা বাটারের সাথে মিশে নরম ডো হওয়া পর্যন্ত ময়দা যোগ করুন ( ডো পিঁড়িতে বেলতে পারার মত নরম হবে।)
  • একটি বেকিং ট্রেতে ওয়াক্স পেপার বা পারচমেন্ট পেপার দিয়ে তাতে সামান্য তেল স্প্রে করে এক পাশে রাখুন ।
  • রুটি বেলার পিঁড়িতে কিছু ময়দা ছিটিয়ে দিন এবং এর উপর খামির রেখে বেলন দিয়ে তা ১/৪ ইঞ্চি পুরু করে বেলুন। এরপর কুকি কাটার বা ছুরি দিয়ে আপনার পছন্দের আকৃতিতে কুকি কেটে নিয়ে বেকিং ট্রেতে রাখুন । 
  • ওভেন ৩৫০ ফা এ প্রীহিট করে নিন। বেকিং ট্রে ওভেনে দিয়ে ১০-১২ মিনিট বেক করুন অথবা কুকিগুলোর রং হাল্কা বাদামি হয়ে আসা পর্যন্ত বেক করুন ।
  • বেক হয়ে গেলে ট্রে ওভেন থেকে বের করে আনুন এবং কুকি ঠান্ডা হতে দিন ।
  • কুকি পরিবেশন করুন। বাকি কুকিগুলো একটি বায়ুরোধী কন্টেইনারে সংরক্ষন করতে পারেন।
ধন্যবাদান্তে  ঃ  
মাকসুদা হোসেন
(Portland, Oregon, USA)

ফিশ ফিঙ্গার


উপকরনঃ
  • মাছের ফিলে - ৫০০ গ্রাম
  • হলুদ গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
  • লাল মরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
  • ধনিয়া গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
  • আদা- রসুন পাউডার - ১ চা চামচ (পাউডার এর পরিবর্তে বাটাও ব্যবহার করতে পারেন)
  • গরম মসলা পাউডার - ১/২ চা চামচ
  • লেবুর রস - ১/২ লেবুর রস
  • লবন - ১ চা চামচ
  • বেসন- ৩ টেবিল চামচ
  • পাউরুটির গুঁড়া / ব্রেড ক্রাম্বস - 3 টেবিল চামচ
  • তেল - ডুবো তেলে ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ
  • মাছের ফিলে ভালকরে ধুয়ে পানি শুকিয়ে নিন। তারপর ফিলেগুলো লম্বালম্বি করে কেটে নিন।
  • লেবুর রস ও বাকি সব উপকরন (বেসন, পাউরুটির গুঁড়া ও তেল ছাড়া)  দিয়ে মাছের টুকরোগুলো ভালকরে মাখিয়ে ১৫-৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন।
  • এবার একটি পাত্রে বেসন ও পাউড়ুটির গুঁড়া মিশিয়ে নিন। তারপর মাছে টুকরাগুলো বেসনের মিশ্রনে গড়িয়ে পাত্রে রাখুন (মিশ্রনে এমনভাবে গড়িয়ে নিন যেন মাছের সবদিকে বেসনের মিশ্রন ভালভাবে লাগে)।
  • প্যানে মাঝারি আঁচে তেল গরম করে মাছের টুকরাগুলো সুন্দর বাদামি রঙ করে ভেজে তুলুন।
  • সব মাছ ভাজা হয়ে গেলে গরম গরম কেচাপ বা সস দিয়ে পরিবেশন করুন। 

ফ্রেঞ্চ টোস্ট

ঝাল টোস্টঃ
উপকরনঃ
  • ডিম- ২
  • পাউরুটি -৪ টুকরা
  • পেঁয়াজকুচি - ২ টেবিল চামচ
  • কাঁচামরিচকুচি - ১ টেবিল চামচ
  • দুধ - ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
  • লবন - ১/২ চা চামচ
  • চিনি - ১/৪ চা চামচ
  • তেল- ৪ টেবিল চামচ
পদ্ধতিঃ
  • তেল ছাড়া সব উপকরন বাটিতে নিয়ে ভালকরে বিট করুন।
  • এবার একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ তেল গরম করুন। একটি পাউরুটি বিট করা ডিমে ডুবান এবং কিছু পেঁয়াজকুচি ও কাঁচামরিচকুচি ডিম থেকে পাউরুটির উপর ছড়িয়ে দিন। তারপর সাবধানে তা গরম তেলে দিন। ৩০-৪০ সেকেন্ড বা সুন্দর বাদামী রঙ আসা পর্যন্ত ভাজুন। তারপর অপর পাশ উল্টিয়ে বাদামী রঙ আসা পর্যন্ত ভাজুন।
  • ভাজা হয়ে গেলে কিচান টিস্যুতে উঠিয়ে নিন। একইভাবে বাকি পাউরুটিগুলো ভাজুন।
  • সব ভাজা হয়ে গেলে গরম গরম কেচাপ দিয়ে পরিবেশন করুন।
মিষ্টি টোস্টঃ
উপকরনঃ
  • ডিম- ২
  • পাউরুটি -৪ টুকরা
  • চিনি - ৩ টেবিল চামচ
  • দুধ - ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
  • লবন - ১/৮ চা চামচ
  • তেল- ৪ টেবিল চামচ
পদ্ধতিঃ
  • তেল ছাড়া সব উপকরন বাটিতে নিয়ে ভালকরে বিট করুন।
  • এবার একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ তেল গরম করুন। একটি পাউরুটি বিট করা ডিমে ডুবান এবং সাবধানে তা গরম তেলে দিন। ৩০-৪০ সেকেন্ড বা সুন্দর বাদামী রঙ আসা পর্যন্ত ভাজুন। তারপর অপর পাশ উল্টিয়ে বাদামী রঙ আসা পর্যন্ত ভাজুন।
  • ভাজা হয়ে গেলে কিচান টিস্যুতে উঠিয়ে নিন। একইভাবে বাকি পাউরুটিগুলো ভাজুন।
  • সব ভাজা হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ডিমের জর্দা

উপকরনঃ
  • ডিম - ৩
  • পাউডার দুধ - ১/৪ কাপ
  • দুধ - ১/৪ কাপ
  • চিনি - ৬ টেবিল চামচ বা স্বাদমত
  • লবণ - ১ চিমটি 
  • ঘি/ গলানো বাটার - ৬ টেবিল চামচ
  • এলাচ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
  • দারচিনি গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
  • কেওড়া - ১ চা চামচ
  • জাফরান / অরেঞ্জ ফুড কালার - ১ চিমটি 
  • কিসমিস - ১২ টা
  • বাদামকুচি - ১ টেবিল চামচ 
সাজানোর জন্য: (ইচ্ছা)
  • কিসমিস - ৬/৭ টা
  • বাদামকুচি - ১ টেবিল চামচ
  • খেজুরকুচি - ১ টেবিল চামচ
পদ্ধতিঃ
  • ঘি/ গলানো বাটার ছাড়া সব উপকরন একটি বাটিতে নিয়ে ভালভাবে বিট করে নিন।
  • ডিমের মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন আর আস্তে আস্তে ঘি/গলানো বাটার মিশাতে থাকুন। (আপনি যদি বাটার ব্যবহার করেন তাহলে গরম বাটার ডিমের মিশ্রনে মিশাবেন না। বাটার মিশ্রনে মিশানোর আগে ঠান্ডা করে নিন, নাহলে এটি ডিমের মিশ্রনে দানা হয়ে থাকবে।)
  • এবার মিশ্রণটি একটি পাত্রে নিয়ে মাঝারি আঁচে চুলায় দিন এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে যখন পানি শুকিয়ে দানা দানা হয়ে আসবে তখন চুলা বন্ধ করে জরদা নামিয়ে নিন।
  • ডিমের জরদা পরিবেশন পাত্রে নিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ব্রয়ল করা লবস্টার টেইল


উপকরনঃ
  • আস্ত লবস্টার টেইল- ৪ টা
  • লাল মরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
  • সয়া সস- ১ চা চামচ
  • লেবুর রস - ১ চা চামচ
  • তেল- ১ টেবিল চামচ
  • লবণ- ১/২ চা চামচ বা স্বাদমত
  • তেল - ব্রাশ করার জন্য
সাজানোর জন্যঃ (ইচ্ছা):
  • পেঁয়াজ, গাজর, বেল পেপার (সব কিউব করে কাটা)- ৭-৮ টুকরা
  • লবণ - ১/৪ চা চামচ
  • গোল মরিচ গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
পদ্ধতিঃ
  • ধারালো ছুরি বা কাঁচি দিয়ে লবস্টারের চামড়া লম্বালম্বিভাবে কেটে একটু আলগা করে নিন।
  • সব মসলা একটি বাটিতে নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এবার কাটা লবস্টারগুলো মসলাতে ভালভাবে মাখিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
  • সাজানোর জন্য কাটা পেঁয়াজ, গাজর, বেল পেপারগুলো লবণ ও গোল মরিচ গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে একপাশে রাখুন।
  • ওভেন ব্রয়ল সেটিং এ প্রিহিট করে নিন।
  • বেকিং ট্রেতে তেল ব্রাশ করে মসলা মাখানো লবস্টারগুলো রাখুন। লবস্টারের উপরেও হাল্কা তেল ব্রাশ করে ট্রে ওভেনে দিয়ে দিন।
  • ৮-১০ মিনিট লবস্টারগুলো ব্রয়ল করুন। ব্রয়ল শেষ হওয়ার ৩-৪ মিনিট আগে মাখিয়ে রাখা পেঁয়াজ, গাজর, বেল পেপারগুলো ট্রেতে ছড়িয়ে দিন এবং ব্রয়ল করুন।(ব্রয়ল করার সময় লক্ষ্য রাখবেন যেন লবস্টার বেশি পুড়ে না যায়।)
  • ব্রয়ল হয়ে গেলে ওভেন থেকে বের করে গরম গরম পরিবেশন করুন।(স্বাদ বাড়ানোর জন্য আপনি চাইলে ট্রে ওভেন থেকে বের করার সাথে সাথে গরম লবস্টারের উপর হাল্কা লেবুর রস ছিঠিয়ে দিতে পারেন।)
ধন্যবাদান্তে  ঃ 
মাকসুদা হোসেন
(Portland, Oregon, USA)

নারিকেলের নরম কুকি


উপকরনঃ
  • কুরানো নারিকেল- ১ ও ১/২ কাপ (১৫০ গ্রাম)
  • মিহি বাদামকুচি (এলমন্ড/পিকেন )- ৩/৪ কাপ
  • ডিম- ২ টা
  • চিনি - ৩/৪ কাপ (১৫০ গ্রাম)
  • বেকিং পাউডার - ১/২ চা চামচ
  • অরেঞ্জ/ লেবুর চামড়ার মিহি ঝুরি - ১ টা অরেঞ্জ/ লেবুর
  • অরেঞ্জ ব্লসম ওয়াটার - ১/২ কাপ
  • পাউডার সুগার - ১/২ কাপ + ২ টেবিল চামচ (কুকির উপর ছিঠিয়ে দেওয়ার জন্য)
পদ্ধতিঃ
  • বেকিং ট্রেতে ওয়াক্স পেপার বা পারচমেন্ট পেপার বিছিয়ে তেল বা বাটার ব্রাশ করে নিন।
  • একটি বাটিতে ডিম বিট করুন। তারপর তাতে মিহি বাদামকুচি, কুরানো নারিকেল, চিনি, বেকিং পাউডার এবং অরেঞ্জ/ লেবুর চামড়ার মিহি ঝুরি দিয়ে ভালকরে মিশিয়ে নিন।
  • দুইটি আলাদা পাত্রে অরেঞ্জ ব্লসম ওয়াটার ও পাউডার সুগার নিয়ে পাশাপাশি রাখুন। এবার ১ টেবিল চামচ মত কুকির মিশ্রন হাতে নিয়ে অরেঞ্জ ব্লসম ওয়াটারে ডুবান এবং তারপর পাউডার সুগারে গড়িয়ে ট্রেতে রাখুন। এভাবে বাকি কুকিগুলো রাখুন। (লক্ষ্য রাখবেন যেন ট্রেতে কুকিগুলোর মাঝে ১/২ ইঞ্চি মত ফাঁকা থাকে।)
  • সব কুকিগুলো সাজনোর পর উপরে পাউডার সুগার ছিঠিয়ে দিন।
  • ওভেন ৩৫০ ডিগ্রি ফা. এ প্রিহিট করে নিন। বেকিং ট্রেটি ওভেনের মাঝের তাকে দিয়ে ১০-১২ মিনিট বা কুকি হাল্কা বাদামী রঙ হওয়া পর্যন্ত বেক করুন।
  • কুকি হয়ে গেলে ওভেন থেকে বের করে ঠান্ডা হতে রাখুন।
  • পরিবেশন করুন মজাদার নারিকেলের কুকি। কুকি আপনি চাইলে বাতাস ঢুকবে না এমন একটি জারে ভালভাবে মুখ বন্ধ করে সংরক্ষন করতে পারেন।
ধন্যবাদান্তে  ঃ 
মাকসুদা হোসেন
(Portland, Oregon, USA)

ডাল চচ্চড়ি

উপকরনঃ
  • মসুর ডাল- ১/২ কাপ
  • পেঁয়াজকুচি- ১/৪ কাপ
  • কাঁচামরিচ (মাঝখানে চিরে নিন)- ৭-৮ টা 
  • হলুদ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
  • লবণ- ১/২ চা চামচ
  • তেল- ২ টেবিল চামচ
  • ধনিয়াপাতাকুচি- ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
পদ্ধতিঃ
  • ডাল ১৫-২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালকরে ধুয়ে রাখুন।
  • প্যানে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি ও কাঁচা মরিচকুচি দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভাজুন। তারপর ডাল, হলুদ গুঁড়া ও লবন দিয়ে আরও ৩-৪ মিনিট ভাজুন। 
  • এবার ৩/৪ কাপ মত পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন এবং ৪-৫ মিনিট মত মাঝারি আঁচে রান্না করুন। এই সময়ে ডাল সিদ্ধ না হলে আরও কিছুক্ষন চুলায় রাখুন। (লক্ষ রাখবেন ডাল যেন বেশি নরম না হয়ে যায়) ধনিয়াপাতাকুচি উপরে ছড়িয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
  • ডাল চচ্চড়ি রুটি বা পরটা দিয়ে পরিবেশন করুন।

রোজ ব্রেড

উপকরণঃ
ব্রেডের জন্যঃ
  • ময়দা- ৩ কাপের মত
  • ঈস্ট - ১ টেবিল চামচ
  • দুধ (কুসুম গরম) -১ কাপ
  • ফেটানো ডিম -১টি
  • তেল বা গলানো মাখন - ৫ টেবিল চামচ + ১ টেবিল চামচ ব্রাশ করার জন্য
  • চিনি - ২ টেবিল চামচ
  • গুঁড়া দুধ -২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
  • লবণ - ১ চা চামচ
  • ডিমের কুসুম - ১ টা
  • কালো জিরা / তিল - ১ টেবিল চামচ
পুরের জন্যঃ
  • রান্না মাংসের কিমা - ১ কাপ ( গরুর মাংস বা মুরগীর)
  • পেঁয়াজকুঁচি -১ কাপ
  • তেল - ২ টেবিল চামচের মত
  • লবণ - একটি চিমটি
প্রনালীঃ
  • একটি বড় বাটিতে ঈস্ট নিয়ে গরম দুধ ও এক চিমটি চিনি দিয়ে ঈস্ট মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়ুন এবং প্রায় ১০ মিনিটমত রেখে দিন।
  • তারপর তাতে তেল, চিনি, লবণ, গুঁড়া দুধ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
  • এরপর ঈস্ট আর দুধের মিশ্রনে ধীরে ধীরে ময়দা মেশাতে থাকুন। খামির না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ময়দা যোগ করতে থাকুন।যদি খামির খুব নরম মনে হয়,তাহলে আরও অল্প ময়দা যোগ করুন।খামির তৈরী হয়ে গেলে ১ ঘন্টামত ঢেকে রেখে দিন (ভাল ফলাফলের জন্য উষ্ণ স্থানে রাখুন)। ১ ঘন্টা পর খামির ফুলে আকারে প্রায় দ্বিগুণ হবে।
  • একটি প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি দিন। পেঁয়াজকুচির উপর এক চিমটি লবন ছড়িয়ে দিন এবং পেঁয়াজ বাদামি না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। এরপর মাংসের কিমা দিয়ে মাঝারি তাপে ৭-৮ মিনিট বা কিমা শুকনা না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এরপর কিমা প্যান থেকে বাটিতে উঠিয়ে একপাশে রাখুন।
  • বেকিং প্যানে ১ টেবিল চামচ তেল স্প্রে করুন বা ব্রাশ দিয়ে তেলটা ছড়িয়ে দিন। ডিমের কুসুমটি ভালো করে বিট করে পাশে রেখে দিন।
  • এরপর খামির  ভাগ করে সমান ১০-১২টি বল করে নিন। একটি বল নিয়ে প্রায় ৪" ব্যাসের রুটি তৈরী করুন (রুটি তৈরির সময় হাল্কা ময়দা ব্যবহার করতে পারেন)।
  • এরপর রুটির মাঝখানটা ভরাট রেখে কোনাকুনি করে চারদিকে কেটে নিন এবং মাঝখানে এক টেবিল চামচ কিমা দিন। এরপর রুটির একটা কাটা অংশ তুলে কিমার সাথে লাগিয়ে দুই পাশ লাগিয়ে দিন এবং পরে বিপরীত পাশটা তুলে প্রথম অংশের সাথে লাগিয়ে দিন।
  • একই ভাবে অপর দুই পাশ তুলে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিয়ে ভালো ভাবে বন্ধ করে দিন। (পুরো পদ্ধতিটি ছবিতে দেখুন)
  • একইভাবে বাকি বলগুলো দিয়ে গোলাপ তৈরী করে ফেলুন। এরপর বেকিং ট্রেতে সব গোলাপ রাখুন।
  •  ওভেন ৩৫০ ডিগ্রী ফাঃ বা ১৭৫ ডিগ্রী সে এ প্রিহিট করে নিন। এরপর ব্রাশ দিয়ে রুটির উপর ডিমের কুসুম ব্রাশ করে কালো জিরা/ তিল ছড়িয়ে দিন এবং বেকিং ট্রেটি ওভেনে দিয়ে দিন।
  • ব্রেড প্রায় ১৫ মিনিটমত বা রুটির উপর সোনালী রঙ আসা পর্যন্ত বেক করুন।
  • এরপর ট্রেটি নামিয়ে পরিবেশন করুন রোজ ব্রেড।

সাবুদানার পায়েস


উপকরনঃ

  • সাবুদানা - ১/৪ কাপ
  • দুধ- ২ লিটার + ১ কাপ
  • চিনি- ১/২ কাপ অথবা স্বাদমত
  • কিসমিস- ১৫-১৬ টা
  • দারচিনি - ২ টুকরা
  • এলাচ - ২ টুকরা
  • বাদামকুচি - ২ টেবিল চামচ (কাজুবাদাম/ পেস্তাবাদাম)
  • কাস্টার্ড পাউডার- ২ চা চামচ (ইচ্ছা)
প্রনালীঃ
  • সাবুদানা ১ কাপ দুধে ১ ঘন্টা মত ভিজিয়ে রাখুন।
  • ২ লিটার দুধকে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক মত করুন।(সিদ্ধ করার সময় দুধ ঘন ঘন নাড়তে থাকুন যেন নিচে লেগে না যায়।) এলাচ ও দারচিনি দুধের মাঝে দিয়ে দিন।
  • সাবুদানা ভিজিয়ে রাখা দুধে কাস্টার্ড পাউডার ভালকরে মিশিয়ে নিন।(কাস্টার্ড পাউডার গরম দুধের সাথে মিশাবেন না, দানা হয়ে যেতে পারে।) তারপর মিশ্রনটি সিদ্ধ দুধের সাথে মিশিয়ে দিন। মিশানোর সময় নাড়তে থাকুন যেন দানা দানা হয়ে না যায়।
  • এবার চিনি মিশিয়ে পায়েস নাড়তে থাকুন। সবুদানা ফুলে আকারে দ্বিগুণ ও স্বচ্ছ হয়ে উঠলে বাদামকুচিগুলো দিয়ে আরও ৬-১০ মিনিট মত সিদ্ধ করে নামিয়ে রাখুন।
  • পায়েস ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

চিংড়ি খিচুড়ি



উপকরণ :
  • চিংড়ি (মাঝারি আকারের)- ১/২ পাউন্ড
  • বাসমতি চাল - ১ কাপ
  • মসুর ডাল - ১/২ কাপ 
  • মুগ ডাল - ১/২ কাপ 
  • টমেটোকুচি - ১টি বড় আকারের
  • পেঁয়াজকুচি - ১ টি মাঝারি আকারের
  • কাঁচা মরিচ - ৪-৫ টি 
  • লাল মরিচের গুঁড়া - ১/২ চা চামচ 
  • হলুদ গুঁড়া - ১ চা চামচ 
  • এলাচ - ৫-৬ টি
  • দারচিনি - ৪ টি 
  • তেজপাতা - ৪ টি 
  • আদা বাটা - ১ টেবিল চামচ 
  • রসুন বাটা - ১ টেবিল চামচ 
  • তেল - অনিমানিক ৪ টেবিল চামচ 
  • লবন - ১ চা চামচ বা স্বাদমত 
পদ্ধতি :
  • চাল ও ডাল একসাথে ধুয়ে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিন।
  • প্যান এ তেল গরম করে তাতে এলাচ ,দারচিনি ও তেজপাতা দিন। তারপর তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পেঁয়াজ নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। পেঁয়াজ ভাজা হলে তাতে চিংড়ি দিয়ে আরো ১ মিনিট এর মত ভাজুন। এবার চাল ও ডাল ছাড়া বাকি সব উপকরণ প্যানে দিয়ে প্রায় ৩-৪ মিনিট  বা মসলা তেল থেকে আলাদা হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
  •  তারপর চাল ও ডাল দিয়ে সব উপকরণের সাথে মিশিয়ে আরো ৩-৪ মিনিট নাড়ুন।
  • এখন ৪ কাপ গরম পানি দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিন ও মাঝারি আঁচে রান্না করুন। খিচুড়ি প্রায় হয়ে এলে আঁচ একদম কমিয়ে দিন। (প্রয়োজনে সামান্য গরম পানি দিন ) খিচুড়ি পুরাপুরি হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। 
  • সালাদ দিয়ে গরম গরম খিচুড়ি পরিবেশন।

- Copyright © টক ঝাল মিষ্টি - Powered by Blogger - Thanks to Johanes Djogan -