Archive for April 2015
মিষ্টিকুমড়া দিয়ে পুঁই শাক
উপকরনঃ
- পুঁই শাক - ২০০ গ্রাম
- মিষ্টিকুমড়া (কিউব করে কাটা)- ১ কাপ
- চিংড়ি (মাঝারি আকারের)- ৭- ৮ টা
- রসুনকুচি - ১/২ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজকুচি - ২ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ(মাঝখানে চিরে নিন)- ৪-৫ টা
- আস্ত জিরা - ১/৪ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- লবন - ১ চা চামচ বা সাদ্মত
- চিনি - ১/২ চা চামচ
- তেল - ২ টেবিল চামচ
প্রণালীঃ
- পুঁই শাক ধুয়ে কুচি করে নিন।
- প্যানে তেলে গরম করে জিরার ফোড়ন দিন। তারপর রসুনকুচি ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- এবার চিংড়ি ও মিষ্টিকুমড়া দিয়ে লবন ও হলুদ গুঁড়া ছড়িয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ৫ মিনিট মত ভাজুন।
- তারপর পুঁই শাককুচি ও কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে দিন।
- প্যানে ঢাকনা দিয়ে মিষ্টিকুমড়া সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- ঢাকনা তুলে চিনি ছড়িয়ে দিয়ে কয়েক সেকেন্ড পর চুলা বন্ধ করে দিন।
- গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন পুঁই শাক মিষ্টিকুমড়ার তরকারি।
সরষে বেগুন
উপকরনঃ
- বেগুন - ১ টা মাঝারি আকারের (প্রায় ২০০ গ্রাম)
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- সাদা সরিষা বাটা - ২ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ বাটা- ১ চা চামচ
- নারিকেল কুচানো - ১ টেবিল চামচ
- কালিজিরা - ১/২ চা চামচ
- লবন- ১ চা চামচ
- তেল - ১/২ কাপ
প্রণালীঃ
- বেগুন ধুয়ে ১/২ ইঞ্চি আকারের স্লাইস করে নিন।
- বেগুনের টুকরাগুলো বাটিতে নিয়ে লাল মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া ও ১/২ চা চামচ লবন দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।
- প্যানে তেল গরম করে বেগুনের স্লাইসগুলো উভয় পাশে হালকা বাদামি করে ভেজে টিস্যুতে উঠিয়ে নিন অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য (টুকরাগুলো খুব বেশি যেন নরম হয়ে না যায় লক্ষ্য রাখতে হবে)।
- এবার প্যানে বাকি তেল গরম করে তাতে কালিজিরা দিয়ে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে সরিষা বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, কুচানো নারিকেল ও ১/২ চা চামচ লবন দিয়ে কষিয়ে নিন।
- মসলা থেকে তেল আলাদা হয়ে আসলে ১/৪ কাপ মত পানি দিয়ে ভাল করে মসলার সাথে মেশান।
- এবার সাবধানে ভাজা বেগুনগুলো মসলাতে দিয়ে ঢাকা দিয়ে ৩-৪ মিনিট রান্না করুন।
- ঝোল ঘন হয়ে আসলে বেগুনগুলো পরিবেশন পাত্রে তুলে নিন। উপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে সাজিয়ে পোলাও বা খিচুড়ির সাথে পরিবেশন করুন সরষে বেগুন।
শুঁটকি ভুনা
- শুঁটকি মাছ- ১০০ গ্রাম (ছুরি শুঁটকি বা লইট্টা শুঁটকি)
- রসুনকুচি- ২ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজকুচি- ১/৪ কাপ
- টমেটোকুচি - ১/৪ কাপ
- কাঁচামরিচ - ৩-৪ টা
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- ধনিয়া গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- তেল- ৪ টেবিল চামচ
- লবন- ১/২ চা চামচ বা স্বাদমত
- ধনেপাতাকুচি - ১ টেবিল চামচ
প্রণালীঃ
- শুঁটকি মাছ ৩-৪ মিনিট টেলে নিয়ে পানিতে ৩-৪ মিনিট সিদ্ধ করে নিন।
- ছাঁকনি দিয়ে পানি ছেঁকে ফেলে মাছগুলো হাত দিয়ে ভেঙ্গে দিন। চাইলে বড় কাঁটা নিয়ে ফেলতে পারেন।
- এবার প্যানে তেল গরম করে রসুনকুচি দিয়ে কিছুক্ষন ভাজুন। তারপর পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন।
- পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে টমেটোকুচি, আস্ত কাঁচামরিচ, লাল মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া ও লবন দিয়ে তেল উঠে আসা পর্যন্ত কষাতে থাকুন।
- কষানো হয়ে গেলে সিদ্ধ করে রাখা মাছগুলো দিয়ে কিছুক্ষন নাড়ুন। তারপর অল্প পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।
- ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে কিছুক্ষন নাড়ুন। পানি শুকিয়ে আসলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
- সাদা ভাত বা খিছুড়ির সাথে পরিবেশন করুন শুঁটকি ভুনা।
ডিম মটরশুঁটির তরকারি
উপকরনঃ
- ডিম -৪ টা (ভাল করে সিদ্ধ করে কুচি করে নিতে হবে)
- মটরশুঁটি - ১/২ কাপ
- টমেটোকুচি- ২টা
- পেঁয়াজকুচি - ১ টা মাঝারি আকারের
- কাঁচামরিচ- ৩ টা(মাঝখানে চিরে নিন)
- লাল মরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- আদা বাটা - ১ চা চামচ
- রসুন বাটা- ১ চা চামচ
- এলাচ - ২ টা
- দারচিনি- ২ টা
- তেজপাতা - ১ টা
- তেল -আনুমানিক ৩ টেবিল চামচ
- লবন - ৩/৪ চা চামচ বা স্বাদমত
- পাত্রে তেল গরম করে আস্ত গরম মসলাগুলো দিয়ে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করুন। তারপর পেঁয়াজকুচি দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
- এবার লবন ও একে একে বাকি সব মসলা দিয়ে ১ মিনিট মত নাড়ুন। তারপর টমেটো ও মটরশুঁটি দিয়ে নাড়ুন।
- ১/২ কাপ পানি দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। পানি কমে তেল ভেসে উঠলে কুচানো সিদ্ধ ডিম দিয়ে সাবধানে নেড়ে দিন। ৩-৪ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিন।
- গরম গরম ভাত, রুটি বা পরটার সাথে পরিবেশন করুন ডিম মটরশুঁটির তরকারি।
চিচিঙ্গা ভাজি
উপকরনঃ
- চিচিঙ্গা - ২ টা
- ডিম- ২ টা (ফেটানো)
- পেঁয়াজকুচি - ১ টা মাঝারি আকারের
- কাঁচামরিচ - ৫-৬ টা
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- লবন - ৩/৪ চা চামচ বা স্বাদমত
- চিচিঙ্গা ধুয়ে ছিলে পাতলা করে কেটে নিন (বিচি ফেলে দিন)।
- কড়াই এ তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি দিন। পেঁয়াজ একটু নরম হয়ে আসলে চিচিঙ্গা দিয়ে কাঁচামরিচ, হলুদ ও লবন দিয়ে ভালকরে নেড়ে দিন। কিছুক্ষন পর ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে চিচিঙ্গা সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- তারপর ঢাকনা খুলে ফেটানো ডিম দিয়ে ভাল করে নেড়ে ২-৩ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দিন।
- সাদা ভাত বা রুটির সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম ভাজি।
ফুসকা
উপকরনঃ
ফুসকার জন্যঃ
ফুসকার জন্যঃ
- সুজি- ১ কাপ
- ময়দা- ১/২ কাপ
- বেকিং সোডা - ১/২ চা চামচ
- তালমাখনা - ১ ও ১/২ চা চামচ
- লবন - ১/৪ চা চামচ
- কুসুম গরম পানি - ১/২ কাপ
- তেল - ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- আলু- ৩ টা মাঝারি আকারের
- কাঁচামরিচকুচি - ৫ টা
- পেঁয়াজকুচি - ১ টা
- ধনেপাতা কুচি - ২ টেবিল চামচ
- লবন- ১/২ চা চামচ
- তেঁতুল - ৫০ গ্রাম
- ভাজা জিরার গুঁড়া - ৩/৪ চা চামচ
- ভাজা লাল মরিচ গুঁড়া -১/৪ চা চামচ
- লবন- ১ চা চামচ
- বীট লবন- ১/৪ চা চামচ
- চিনি - ২ চা চামচ
- একটি বাটিতে সুজি, ময়দা, লবন, বেকিং সোডা ও তালমাখনা নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মাখিয়ে শক্ত ডো তৈরি করুন। মাখানো হলে আধা ঘন্টা ঢেকে রেখে দিন।
- আলু ভাল করে সিদ্ধ করে ছিলে ভর্তা করে নিন। তাতে কাঁচামরিচ, লবন, পেঁয়াজ, ধনেপাতাকুচি দিয়ে মিশিয়ে একপাশে রাখুন।
- তেঁতুল ১ কাপ পানিতে আধা ঘন্টা মত ভিজিয়ে রেখে তা থেকে তেঁতুলের ক্বাথ বের করে নিন। তারপর তাতে সসের সব উপকরণ দিয়ে ভালভাবে বিট করে নিন।
- এবার মেখে রাখা ডো থেকে ৬ টা বল করে নিন।
- এক একটি বল থেকে রুটি বেলে দেড় ইঞ্ছি ব্যাসের কুকি কাটার বা গোল কিছু নিয়ে ছোট ছোট আকারে কেটে নিন। এভাবে সব গুলি রুটি থেকে ছোট রুটি কেটে নিন।
- কড়াই এ তেল গরম করুন। তেল ভালভাবে গরম হলে ফুসকাগুলো একটা একটা দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলুন।
- সব ভাজা হয়ে গেলে ফুসকা নিয়ে মাঝখানে ছিদ্র করুন। তাতে আলুর মেখে রাখা পুর দিয়ে তেঁতুলের সস দিয়ে পরিবেশন করুন।
কিমা মুগ পোলাও
উপকরনঃ
- কিমা (গরুর বা খাসির)- ১ কাপ
- চিনিগুঁড়া/কালিজিরা/ বাসমতি চাল- ১ কাপ
- মুগ ডাল- ১/৩ কাপ (হালকা করে ভেজে নিবেন।)
- পেঁয়াজকুচি- ১ কাপ
- হিজলি বাদামকুচি (Cashew nut)- ২ টেবিল চামচ
- টমেটোকুচি - ১ টা মঝারি আকারের
- পেঁয়াজ বাটা - ২ টেবিল চামচ
- আদা বাটা- ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
- জয়ফল গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- জয়ত্রী গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- লবন- ২ চা চামচ বা স্বাদমত
- কাঁচা মরিচ - ৫-৬ টা
- ছোট এলাচ- ২ টা
- বড় এলাচ - ১ টা
- তেজপাতা - ২ টা
- দারচিনি- ১ টা ১ ইঞ্ছি আকারের
- তেল- ১/২ কাপ
- ঘি- ২ টেবিল চামচ
প্রনালিঃ
- কিমা ধুয়ে ছাকনিতে পানি ঝরাতে রাখুন। তারপর বাটিতে নিয়ে পেঁয়াজকুচি থেকে কাঁচামরিচ পর্যন্ত সব উপকরণ দিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিন।
- চাল ও ডাল ধুয়ে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছাকনিতে নিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
- একটি বড় পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ও আস্ত গরম মসলাগুলো দিয়ে বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার টমেটোকুচি ও বাদামকুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন।
- টমেটো নরম হয়ে আসলে মাখিয়ে রাখা কিমা দিয়ে দিন এবং তেল মসলা থেকে আলাদা হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। অল্প একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন এবং ৫ মিনিট মত রান্না করুন।
- কিমাতে পানি থাকলে ঢাকনা খুলে পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন।
- এবার পানি ঝরিয়ে রাখা চাল ও ডাল দিয়ে ৫ মিনিট মত ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে ৩ কাপ মত পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট মত রাখুন। তারপর উপরে ঘি ছড়িয়ে দিয়ে ভালভাবে ঢেকে দিন যেন ভাপ বের হতে না পারে।
- ২০ মিনিট মত কম আঁচে পোলাও ভাপে রাখুন।
- সাবধানে পাত্রের ঢাকনা খুলে পোলাও মিশিয়ে নিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।