ফুসকা
উপকরনঃ
ফুসকার জন্যঃ
ফুসকার জন্যঃ
- সুজি- ১ কাপ
- ময়দা- ১/২ কাপ
- বেকিং সোডা - ১/২ চা চামচ
- তালমাখনা - ১ ও ১/২ চা চামচ
- লবন - ১/৪ চা চামচ
- কুসুম গরম পানি - ১/২ কাপ
- তেল - ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- আলু- ৩ টা মাঝারি আকারের
- কাঁচামরিচকুচি - ৫ টা
- পেঁয়াজকুচি - ১ টা
- ধনেপাতা কুচি - ২ টেবিল চামচ
- লবন- ১/২ চা চামচ
- তেঁতুল - ৫০ গ্রাম
- ভাজা জিরার গুঁড়া - ৩/৪ চা চামচ
- ভাজা লাল মরিচ গুঁড়া -১/৪ চা চামচ
- লবন- ১ চা চামচ
- বীট লবন- ১/৪ চা চামচ
- চিনি - ২ চা চামচ
- একটি বাটিতে সুজি, ময়দা, লবন, বেকিং সোডা ও তালমাখনা নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মাখিয়ে শক্ত ডো তৈরি করুন। মাখানো হলে আধা ঘন্টা ঢেকে রেখে দিন।
- আলু ভাল করে সিদ্ধ করে ছিলে ভর্তা করে নিন। তাতে কাঁচামরিচ, লবন, পেঁয়াজ, ধনেপাতাকুচি দিয়ে মিশিয়ে একপাশে রাখুন।
- তেঁতুল ১ কাপ পানিতে আধা ঘন্টা মত ভিজিয়ে রেখে তা থেকে তেঁতুলের ক্বাথ বের করে নিন। তারপর তাতে সসের সব উপকরণ দিয়ে ভালভাবে বিট করে নিন।
- এবার মেখে রাখা ডো থেকে ৬ টা বল করে নিন।
- এক একটি বল থেকে রুটি বেলে দেড় ইঞ্ছি ব্যাসের কুকি কাটার বা গোল কিছু নিয়ে ছোট ছোট আকারে কেটে নিন। এভাবে সব গুলি রুটি থেকে ছোট রুটি কেটে নিন।
- কড়াই এ তেল গরম করুন। তেল ভালভাবে গরম হলে ফুসকাগুলো একটা একটা দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলুন।
- সব ভাজা হয়ে গেলে ফুসকা নিয়ে মাঝখানে ছিদ্র করুন। তাতে আলুর মেখে রাখা পুর দিয়ে তেঁতুলের সস দিয়ে পরিবেশন করুন।
কিমা মুগ পোলাও
উপকরনঃ
- কিমা (গরুর বা খাসির)- ১ কাপ
- চিনিগুঁড়া/কালিজিরা/ বাসমতি চাল- ১ কাপ
- মুগ ডাল- ১/৩ কাপ (হালকা করে ভেজে নিবেন।)
- পেঁয়াজকুচি- ১ কাপ
- হিজলি বাদামকুচি (Cashew nut)- ২ টেবিল চামচ
- টমেটোকুচি - ১ টা মঝারি আকারের
- পেঁয়াজ বাটা - ২ টেবিল চামচ
- আদা বাটা- ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
- জয়ফল গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- জয়ত্রী গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
- লবন- ২ চা চামচ বা স্বাদমত
- কাঁচা মরিচ - ৫-৬ টা
- ছোট এলাচ- ২ টা
- বড় এলাচ - ১ টা
- তেজপাতা - ২ টা
- দারচিনি- ১ টা ১ ইঞ্ছি আকারের
- তেল- ১/২ কাপ
- ঘি- ২ টেবিল চামচ
প্রনালিঃ
- কিমা ধুয়ে ছাকনিতে পানি ঝরাতে রাখুন। তারপর বাটিতে নিয়ে পেঁয়াজকুচি থেকে কাঁচামরিচ পর্যন্ত সব উপকরণ দিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিন।
- চাল ও ডাল ধুয়ে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছাকনিতে নিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
- একটি বড় পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ও আস্ত গরম মসলাগুলো দিয়ে বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার টমেটোকুচি ও বাদামকুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন।
- টমেটো নরম হয়ে আসলে মাখিয়ে রাখা কিমা দিয়ে দিন এবং তেল মসলা থেকে আলাদা হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। অল্প একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন এবং ৫ মিনিট মত রান্না করুন।
- কিমাতে পানি থাকলে ঢাকনা খুলে পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন।
- এবার পানি ঝরিয়ে রাখা চাল ও ডাল দিয়ে ৫ মিনিট মত ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে ৩ কাপ মত পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট মত রাখুন। তারপর উপরে ঘি ছড়িয়ে দিয়ে ভালভাবে ঢেকে দিন যেন ভাপ বের হতে না পারে।
- ২০ মিনিট মত কম আঁচে পোলাও ভাপে রাখুন।
- সাবধানে পাত্রের ঢাকনা খুলে পোলাও মিশিয়ে নিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।
পেঁপের সেমাই
Click here for English.
উপকরনঃ
- কাঁচা পেঁপে কুচানো - ২ কাপ
- দুধ- ৫০০ মি.লি.
- চিনি - ১/৪ কাপ বা আপনার স্বাদমত
- এলাচ- ২ টা
- তেজাপাতা - ১টা
- দারচিনি- ১ টা
- লবন- ১ চিমটি
- ঘি -১/২ কাপ
- গুঁড়ো দুধ- ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা)
- কাঠবাদাম (এলমন্ড) কুচি - ১/৪ কাপ
প্রনালিঃ
- একটি পাত্রে ৪ কাপ মত পানি ফুটান। ফুটে উঠলে তাতে কুচানো পেঁপে ও এক চিমটি লবন দিয়ে ১ মিনিট মত ফুটান। তারপর ঝাঁঝরিতে ঢেলে পানি ঝরিয়ে একপাশে রাখুন।
- দুধ সিদ্ধ করে ৩/৪ অংশ মত করে নামিয়ে রাখুন।
- এবার একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে এলাচ, তেজপাতা, দারচিনি, অর্ধেক এলমন্ডকুচি ও সিদ্ধ করে রাখা পেঁপে দিয়ে ৫ মিনিটমত মাঝারি আঁচে ভাজুন।
- ভাজা হয়ে গেলে ধীরে ধীরে দুধ মিশাতে থাকুন আর নাড়তে থাকুন ( দুধ একসাথে পেঁপেতে দিয়ে দিবেন না তাহলে দুধ ফেটে যেতে পারে)।
- তারপর চিনি দিয়ে নেড়ে দিন এবং ৫ মিনিটমত সিদ্ধ করুন।
- শেষে গুঁড়ো দুধ দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে ১ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দিন।
- পরিবেশন পাত্রে সেমাই ঢেলে উপরে বাকি বাদামকুচি ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু পেঁপের সেমাই।
আচার মাংস
উপকরণঃ
- গরুর মাংস - ১ কেজি
- পেঁয়াজকুচি - ১ কাপ
- লাল মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১ চা চামচ
- আদা বাটা - ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
- এলাচ - ৭-৮ টা
- দারচিনি - ৪ টুকরা
- তেজপাতা- ৪ টা
- পাঁচ ফোড়ন - ৩ চা চামচ
- টমেটোকুচি - ২ টা বড় আকারের
- টক দই - ১/২ কাপ
- সরিষার তেল - ১/২ কাপ
- লবন - ১ চা চামচ বা স্বাদমত
- গরুর মাংস মাঝারি আকারের করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
- পাত্রে তেল গরম করে এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা ও পাঁচ ফোড়ন দিয়ে ১ মিনিট মত নাড়াচাড়া করুন। এবার পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি করে ভাজুন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে বাকি মসলাগুলো ও টমেটোকুচি দিয়ে কিছুক্ষন কষিয়ে নিন। মসলা থেকে তেল আলাদা হলে গরুর মাংস দিয়ে দিন এবং ভালকরে মসলার সাথে মেশান।
- মাংসের পানি বের হয়ে শুকিয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন। মাঝে মাঝে মাংস নেড়ে দিন যেন নিচে লেগে না যায়। এবার ৩ কাপ মত পানি দিয়ে পাত্র ঢেকে দিন। মঝারি আঁচে মাংস সিদ্ধ হয়ে ঘন হয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন। (আপনি চাইলে প্রেশার কুকারও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাংস কষানো হয়ে গেলে ২ কাপমত পানি দিন। ফুটে উঠলে কুকারের ঢাকনা দিয় ১৫-১৮ মিনিটমত রান্না করুন।)
- রান্না হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন খিচুড়ি বা পরটা দিয়ে।
মগজের কাবাব
- ছাগলের মগজ-২
- পেঁয়াজকুচি- ১ টা মাঝারি আকারের
- রসুন বাটা - ১ চা চামচ
- আদা বাটা- ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
- কাঁচামরিচকুচি - ২টা
- ব্রেডক্রাম্ব- ১ কাপ
- ডিম - ২ টা (ফেটিয়ে রাখুন)
- লবন - ১ চা চামচ বা স্বাদমত
- ধনেপাতাকুচি - ২ টেবিল চামচ
- তেল - ডুবো তেলে ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ
- মগজ ভালভাবে ধুয়ে অল্প পানিতে লবন ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। তারপর পানি ঝরিয়ে ঠান্ডা করুন।
- এবার একটি পাত্রে সিদ্ধ করা মগজ নিয়ে তাতে একে একে পেঁয়াজকুচি, কাঁচামরিচকুচি, ধনেপাতাকুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরার গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে নিন।
- তারপর মিশ্রণ থেকে মাঝারি আকারের গোল করে কাবাব বানিয়ে নিন।
- এবার কাবাবগুলো একটা একটা করে ডিমে ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। ভাজার সুবিধার জন্য কাবাবগুলোকে একটি প্লেটে একস্তরে সাজিয়ে কিছুক্ষন ডিপফ্রিযে রেখে দিন।
- কড়াই এ তেল গরম গরম করে কাবাব সোনালি বাদামি করে ভেজে নিন।
- ভাজা হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার মগজের কাবাব।
বরবটি ভর্তা
উপকরণঃ
- বরবটি – ৩০০ গ্রাম
- পেঁয়াজকুচি – ১/২ কাপ
- রসুনকুচি – ৩ টি কোয়া
- কাঁচা মরিচ – ৪-৫টি
- হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- লেবুর রস -১ টেবিল চামচ
- লবন – ১/২ চা চামচ অথবা স্বাদ মতো
- সরিষার তেল – ২ টেবিল চামচ
- ধনেপাতাকুচি – ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
পদ্ধতিঃ
- বরবটি ধুয়ে ১ ইঞ্চি আকারে কেটে এক পাশে রাখুন।
- একটি প্যান তেল গরম করুন। গরম তেলে পেঁয়াজকুচি এবং রসুনকুচি দিয়ে প্রায় ১ মিনিট ভাজুন।
- তারপর বরবটি, কাঁচা মরিচ, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, লেবুর রস ও লবণ দিন এবং উপকরণগুলো নরম হয়ে আসা পর্যন্ত মাঝারি তাপে ভাজতে থাকুন ( প্রায় ১০-১২ মিনিটের কাছাকাছি )।
- তারপর ধনে পাতাকুচি দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
- রান্না বরবটি ঠাণ্ডা হলে শিলনোড়া বা চপারের সাহায্যে এটি ভর্তা করে নিন।
- বরবটি ভর্তা গরম সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
ডাল-আলুর চচ্চড়ি
- মসুর ডাল -১ /২ কাপ
- আলু - মাঝারি আকারের ২টি ( প্রায় ৪০০ গ্রাম )
- পেঁয়াজকুচি - ২ টেবিল চামচ
- রসুনকুচি – ৩ টি কোয়া
- আদাকুচি - ১ টেবিল চামচ
- আস্ত লাল মরিচ – ২টি
- তেজ পাতা – ১টি
- মেথি - ১/৪ চা চামচ (নিচের নোট দেখুন )
- মৌরি – ১/৪ চা চামচ (নিচে নোট দেখুন )
- কালো জিরা – ১/৪ চা চামচ (নিচে নোট দেখুন )
- হলুদ গুঁড়া – ১/৪ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া -১/২ চা চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- লবন – ১ চা চামচ অথবা স্বাদ মতো
- তেল – ৩ টেবিল চামচ
- ধনে পাতাকুচি – ১ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
পদ্ধতিঃ
- আলুর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন এবং তারপর লম্বা করে চিকন করে কেটে এক পাশে রাখুন।
- ডাল ধুয়ে নিন এবং ৪-৫ মিনিটের জন্য তা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর ডাল পানি থেকে ঝরিয়ে রাখুন।
- একটি সস প্যানে তেল গরম করুন। গরম তেলে মেথি , মৌরি , কালো জিরা , লাল মরিচ এবং তেজ পাতা যোগ করে কয়েক সেকেন্ড নাড়ুন। তারপর রসুনকুচি , আদাকুচি এবং পেঁয়াজকুচি যোগ করে পেঁয়াজ নরম ও হালকা বাদামী হয়ে আসা পর্যন্ত ভাজুন।
- এখন প্যানে ধুয়ে রাখা ডাল, হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া দিন এবং ১ মিনিটের মতো ভাজুন। তারপর মিশ্রণটিতে ২-৩ কাপ মত পানি দিন।
- মাঝারি তাপে ডাল রান্না করুন যতক্ষন পর্যন্ত ডাল ৬০% মত রান্না হয়।
- তারপর কাটা আলু ডালের সাথে যোগ করে নেড়ে দিন এবং সস প্যান ঢেকে দিন। আলু নরম হয়ে আসা পর্যন্ত মিশ্রণটি সিদ্ধ করুন (প্রায় ১০ মিনিটের মতো)।
- তারপর ডালের মিশ্রণটির উপর ধনে পাতাকুচি ছড়িয়ে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
- রুটি, পরোটা বা লুচির সাথে গরম গরম ডাল-আলুর চচ্চড়ি পরিবেশন করুন।
ধন্যবাদান্তে:
মাকসুদা হোসেন
(Portland, Oregon, USA)
মাকসুদা হোসেন
(Portland, Oregon, USA)
মরিচা
উপকরণঃ
- কাঁচা মরিচ - ১০-১২ টি (কাঁচা মরিচের বোঁটা রেখে দিন)
- বেসন - ১ / ৪ কাপ
- চালের গুঁড়া - ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১ / ৪ চা চামচ
- লাল মরিচের গুঁড়া - ১ / ৪ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া - ১ / ৪ চা চামচ
- বেকিং পাউডার - ১ / ৪ চা চামচ
- লবন - ১ / ৪ চা চামচ
- কুসুম গরম পানি - ৩ - ৪ টেবিল চামচের মতো
- তেল- ডুবো তেলে ভাজার জন্য
- একটি বাটিতে বেসন, চালের গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়া , জিরা গুঁড়া, বেকিং পাউডার এবং লবণ নিয়ে ভালো ভাবে মেশান যেন সব উপকরণ সমান ভাবে মিশে যায় ।
- এখন শুকনো মিশ্রনে পানি দিন এবং ভালো ভাবে মিশিয়ে মসৃন ব্যাটার তৈরি করুন ( খেয়াল রাখবেন ব্যাটার যেন বেশি ঘন বা পাতলা না হয়।) মিশ্রণটি ৩০ মিনিটের জন্য এক পাশে রেখে দিন।
- সব কাঁচা মরিচ ধুয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে নিন । কাঁচা মরিচের মাঝ বরাবর অল্প একটু কেটে দিন (এভাবে কেটে দিলে ভাজার সময় মরিচ গরম হয়ে উঠলে তাঁতিয়ে উঠবেনা)
- একটি প্যানে মাঝারি তাপে তেল গরম করুন। তেল পর্যাপ্ত পরিমান গরম হলে একটি মরিচ বেসনের মিশ্রনে ডুবিয়ে সাবধানে গরম তেলে ছাড়ুন। এরপর তেলে আরও ৪/৫ টি মরিচ বেসনে ডুবিয়ে দিন এবং উভয় পাশ ভাজতে থাকুন সোনালি-বাদামি রং আসা পর্যন্ত।
- ভাজা হয়ে গেলে মরিচা তেল থেকে তুলে একটি টিস্যুতে নিন যেন তা অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। একই প্রক্রিয়ায় বাকি মরিচাগুলো ভেজে তুলুন।
- ছোলা বা মুড়ি দিয়ে মরিচা উপভোগ করুন ।
আখনি পোলাউ
পোলাউ এর জন্যঃ
| আখনির পানির জন্যঃ
|
পদ্ধতিঃ
- একটি বড় পাত্রে ৪ কাপ পানি নিয়ে তাতে আখনির পানির জন্য যে উপকরণগুলো আছে তা সব দিয়ে ফুটতে দিন। পানি ফুটে উঠলে চুলার আঁচ কম করে তাতে পানি ফুটাতে থাকুন। পানি কমে প্রায় ২ কাপ মত হয়ে আসলে মসলাগুলো ছেঁকে পানিটুকু আলাদা করে রাখুন (এই পানিটা আমরা পোলাউ রান্নায় ব্যবহার করব।)।
- এখন চাল ধুয়ে ছাঁকনিতে ৫ মিনিটমত পানি ঝরার জন্য রাখুন।
- একটি পাত্রে তেল/ঘি গরম করুন। তেল গরম হলে অর্ধেক পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে উঠিয়ে নিন এবং একপাশে রাখুন।
- তারপর বাকি পেঁয়াজকুচিগুলো দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তারপর ধুয়ে রাখা চাল, আলুবোখারা ও কিসমিস দিয়ে ৪-৫ মিনিট ভাজুন।
- চাল ভাজা ভাজা হয়ে সুন্দর গন্ধ বের হলে ছেঁকে রাখা আখনি পানিটুকু, লবন ও চিনি দিয়ে দিন এবং ৫-৬ মিনিট বেশি আঁচে রাখুন। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন এবং দমে ১৮-২০ মিনিট মত রান্না করুন।
- পোলাউ রান্না হয়ে গেলে উপরে বেরেস্তা করে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।